ইসির নিবন্ধন পেল গণসংহতি আন্দোলন
রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বাধীন এ দলটিকে গতকাল মঙ্গলবার নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি সচিবালয়।
গণসংহতি আন্দোলনের নিবন্ধন নম্বর ৫৩। দলীয় প্রতীক ‘মাথাল’। ইসি সচিব শফিউল আজিম গতকাল গণসংহতি আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দলের কাছে দলটির নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গণসংহতি আন্দোলনকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে।
ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ইসির কাছে আবেদন করে গণসংহতি আন্দোলন। তৎকালীন কে এম নুরুল হুদা কমিশন ওই আবেদন নাকচ করে দেয়। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নির্বাচন কমিশনের করা আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। একই দিনে দলটির বিষয়ে কারও কোনো দাবি আপত্তি রয়েছে কিনা, সে জন্য ৬ দিনের সময় দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি সচিবালয়ের সচিব।
এদিকে গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি সচিব বলেন, এনআইডি সেবাটা ভোটার তালিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ছবিসহ ভোটার তালিকার উপজাতসহ এই এনআইডি। এর সম্পূর্ণ তথ্যভান্ডার ইসির কাছে রয়েছে। এটা খুবই স্পর্শকাতর এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বেশি সুরক্ষিত থাকবে। এনআইডি একটি কারিগরি কাজ। নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের কর্মীরা এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। হঠাৎ করে এনআইডিকে অন্য কোনো নির্বাহী বিভাগের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে ভোটার তালিকার বিশ্বস্ততা ও এনআইডি সেবা নিয়ে হয়তো প্রশ্ন উঠতে পারে।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সচিবদের বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে ইসি সচিব বলেন, ওই দিন প্রধান উপদেষ্টা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জনগণের সেবা ও সহজীকরণ ও দুর্নীতিমুক্ত করা। জনগণকে আস্থায় নিয়ে আসা। এ নির্দেশনার আলোকে ইসি সচিবালয় এক মাসের একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে।