London ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমে উঠেছে শীত কাপড়ের বেচাকেনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

হিমালয় কন্যা নামে পরিচিত দেশের উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে ঠাকুরগাঁও অন্যতম। গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে পুরো জেলা। সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চলে। দুপুরের পর কোনো কোনো দিন সূর্য উঠলেও থাকছে কম তাপমাত্রা। ফলে চাহিদা বেড়েছে শীতের পোশাকের।

এ অবস্থায় মার্কেট, ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে কেনাকাটা। আর এই সুযোগে বিক্রেতারাও পোশাকের দাম বেশি চাইছেন।এদিকে শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি।

পৌর শহরের রোড যুব সংসদ মাঠের কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ও শিশুরা এসেছে। তারা শীতের পোশাক কিনছে। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার এমনকি ১০ হাজার টাকা দামের পোশাক বিক্রি হচ্ছে।হরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের শীতের শুরুর দিকে হকার্স মার্কেট বসলেও জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সেটি আর বসছে না। ফলে ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় হচ্ছে বেশি।

রোড যুব সংসদ মাঠে কাপড় কিনতে আসা মফিজুল ইসলাম বলেন, শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে ভেবে এখানে নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য কাপড় কিনতে এসেছি। ভালো মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায়। তবে দাম অনেক বেশি।

হাফিজুল ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার পোশাকপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা দাম বেশি দিতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মতো শ্রমিক ও গরিব মানুষের আয় তো আরও কমেছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে শীত কাপড়ের বেচাকেনা

গরম কাপড়ের ব্যবসায়ী রাসেল হাসান জানান, এবছর ভালো মানের শীতের কাপড় এসেছে। শীত থাকলে বেচাকেনা আরও বাড়বে। তবে গতবারের তুলনায় এবার তেমন বেশি দাম বাড়েনি।এদিকে জেলা প্রশাসন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কিছু স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, এরই মধ্যে নগদ অর্থ ও ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত কিছু শীতবস্ত্র রয়েছে সেগুলো দ্রুত সময় শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি ও দুপুরে সর্বোচ্চ ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১০:৫০:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
১৬
Translate »

জমে উঠেছে শীত কাপড়ের বেচাকেনা

আপডেট : ১০:৫০:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

হিমালয় কন্যা নামে পরিচিত দেশের উত্তরের জেলাগুলোর মধ্যে ঠাকুরগাঁও অন্যতম। গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে পুরো জেলা। সূর্যের দেখা মিলছে না বললেই চলে। দুপুরের পর কোনো কোনো দিন সূর্য উঠলেও থাকছে কম তাপমাত্রা। ফলে চাহিদা বেড়েছে শীতের পোশাকের।

এ অবস্থায় মার্কেট, ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে কেনাকাটা। আর এই সুযোগে বিক্রেতারাও পোশাকের দাম বেশি চাইছেন।এদিকে শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যাই বেশি।

পৌর শহরের রোড যুব সংসদ মাঠের কাপড়ের মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ ও শিশুরা এসেছে। তারা শীতের পোশাক কিনছে। ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার এমনকি ১০ হাজার টাকা দামের পোশাক বিক্রি হচ্ছে।হরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের শীতের শুরুর দিকে হকার্স মার্কেট বসলেও জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সেটি আর বসছে না। ফলে ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় হচ্ছে বেশি।

রোড যুব সংসদ মাঠে কাপড় কিনতে আসা মফিজুল ইসলাম বলেন, শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে ভেবে এখানে নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য কাপড় কিনতে এসেছি। ভালো মানের কাপড় এখানে পাওয়া যায়। তবে দাম অনেক বেশি।

হাফিজুল ইসলাম নামে আরেক ক্রেতা বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার পোশাকপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা দাম বেশি দিতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মতো শ্রমিক ও গরিব মানুষের আয় তো আরও কমেছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে শীত কাপড়ের বেচাকেনা

গরম কাপড়ের ব্যবসায়ী রাসেল হাসান জানান, এবছর ভালো মানের শীতের কাপড় এসেছে। শীত থাকলে বেচাকেনা আরও বাড়বে। তবে গতবারের তুলনায় এবার তেমন বেশি দাম বাড়েনি।এদিকে জেলা প্রশাসন ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কিছু স্থানে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, এরই মধ্যে নগদ অর্থ ও ৮০ হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত কিছু শীতবস্ত্র রয়েছে সেগুলো দ্রুত সময় শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি ও দুপুরে সর্বোচ্চ ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।