London ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নির্যাতন নিপীড়ন সত্ত্বেও রাজপথে অবিচল তৃণমূলের আস্থার প্রতীক-মির্জা মোস্তফা জামান সিরাজগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে প্রস্তুতি সভা সলঙ্গায় পানিতে ডুবে ৪ বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু গোবিন্দগঞ্জে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা থ্রী হুইলার উল্টে নিহত ১ : আহত ১ বসুন্ধরা শুভসংঘের শেরপুর জেলা কমিটি গঠন : সভাপতি মিনহাজ, সম্পাদক শামীম লন্ডনে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বারের লন্ডন রিজিওনাল কমিটির অভিষেক রাইসা মনি”র, কবর জিয়ারত করতে জামায়াত ইসলামির ড.ইলিয়াস মোল্লা কাঁকনহাটে কৃষকদের বিক্ষোভ ইউটিউব বদলে দিল ভাগ্য: ভিডিও বানিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় করছেন বদলগাছীর তানভীর রায়হান মাইলস্টোন ট্র‍্যাজেডিতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দুর্গাপুরে দোয়া মাহফিল

বড়দিন-থার্টি ফার্স্টে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে ঢাকার আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

সভায় জানানো হয়, বড়দিনে এবার ঢাকার প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপন করা হবে। এ দুটি বড় উৎসব ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

তিনি বলেন, বড়দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এ ছাড়া নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষ্যে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতাও বাড়ানো হবে। উন্মুক্ত কোনো স্থানে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গুলশান, হাতিরঝিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ছাড়া উৎসব দুটি উপলক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে বলে জানান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
৬৩
Translate »

বড়দিন-থার্টি ফার্স্টে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা

আপডেট : ০২:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট সামনে রেখে ঢাকার আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

সভায় জানানো হয়, বড়দিনে এবার ঢাকার প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ফাটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষদিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্‌যাপন করা হবে। এ দুটি বড় উৎসব ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

তিনি বলেন, বড়দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রতিটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। এ ছাড়া নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে আসা যাবে না।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষ্যে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতাও বাড়ানো হবে। উন্মুক্ত কোনো স্থানে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইডি কার্ড ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। গুলশান, হাতিরঝিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ছাড়া উৎসব দুটি উপলক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে বলে জানান তিনি।