London ১১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
কালিয়াকৈরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সেই কথিত যুবদল নেতা আবার চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক। নীরব পুলিশ! রাজশাহীতে করোনা সনাক্ত আখাউড়ায় প্রবাসীর বাড়িতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, ২১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার – পুলিশের অভিযানে আটক ১ মরহুম মীর্জা আব্দুল জব্বার বাবু স্মৃতি ফুটবল প্রীতি ম্যাচে অনুষ্ঠিত কালিয়াকৈরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল সিরাজগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ও গর্ভবতী কার্ড প্রদানের কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ সলঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত-চালক আহত দুর্গাপুরে সীমান্ত এলাকা থেকে ১১০ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ বিয়ের দাবিতে হিন্দু প্রেমিকের বাড়িতে মুসলিম নারী

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার কার্যক্রম বাতিল

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি, নাশকতার অভিযোগে করা ১০টিসহ ১১টি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা পৃথক ১১টি আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রুল চূড়ান্ত (অ্যাবসলিউট) করে এ রায় দেন।

আইনজীবী সূত্রগুলো বলছে, ১১টি মামলার মধ্যে রাজধানীর দারুস সালাম থানার ৭টি, যাত্রাবাড়ী থানার ৩টি ও রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি মামলা। এসব মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন জামিন ছিলেন।

আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, ১১টি মামলার কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন খালেদা জিয়া। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের বিভিন্ন সময় হাইকোর্ট রুলসহ মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন। এই রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনজীবী কায়সার কামাল, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, এইচ এম সানজীদ সিদ্দিকী ও মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি নিয়ে আদালত ওই সব মামলায় রুল অ্যাসলিউট করেছেন। এর অর্থ হলো, মামলাগুলো বাতিল হয়ে গেল। এই মামলাগুলো আর থাকল না। একটি ছিল রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। এখানে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল। সরকারে অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা যায় না। এ মামলা দায়েরে সরকারের কোনো অনুমতি ছিল না। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়। অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়। রুল শুনানি শেষে এই মামলার কার্যক্রমও বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। অর্থাৎ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করা এসব মামলা থেকে তাঁকে আজ অব্যাহতি দেওয়া হলো।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৭:৩৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪
৪৬
Translate »

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার কার্যক্রম বাতিল

আপডেট : ০৭:৩৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি, নাশকতার অভিযোগে করা ১০টিসহ ১১টি মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।

মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা পৃথক ১১টি আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রুল চূড়ান্ত (অ্যাবসলিউট) করে এ রায় দেন।

আইনজীবী সূত্রগুলো বলছে, ১১টি মামলার মধ্যে রাজধানীর দারুস সালাম থানার ৭টি, যাত্রাবাড়ী থানার ৩টি ও রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি মামলা। এসব মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন জামিন ছিলেন।

আইনজীবীর তথ্য অনুসারে, ১১টি মামলার কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন খালেদা জিয়া। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের বিভিন্ন সময় হাইকোর্ট রুলসহ মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন। এই রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনজীবী কায়সার কামাল, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, এইচ এম সানজীদ সিদ্দিকী ও মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি নিয়ে আদালত ওই সব মামলায় রুল অ্যাসলিউট করেছেন। এর অর্থ হলো, মামলাগুলো বাতিল হয়ে গেল। এই মামলাগুলো আর থাকল না। একটি ছিল রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। এখানে খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করা হয়েছিল। সরকারে অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা যায় না। এ মামলা দায়েরে সরকারের কোনো অনুমতি ছিল না। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়। অভিযোগপত্রও দেওয়া হয়। রুল শুনানি শেষে এই মামলার কার্যক্রমও বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। অর্থাৎ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করা এসব মামলা থেকে তাঁকে আজ অব্যাহতি দেওয়া হলো।