London ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৃত্যুর ১৫৮ বছর পর কিশোরীর মাথার খুলি উদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুর ১৫৮ বছর পর এক কিশোরীর মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। একটি বাড়ির দেয়ালে আবিষ্কৃত একটি মাথার খুলি থেকে ওই কিশোরীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

কেন কাউন্টি করোনার অফিসের দেওয়া টাইমলাইন অনুসারে, ১৯৭৮ সালে ইলিনয়ের বাটাভিয়ায় বাড়িটি সংস্কার করার সময় ওই বাড়ির মালিক মাথার খুলিটি খুঁজে পান। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে মাথার খুলিটি সংরক্ষণের জন্য বাটাভিয়া ডিপো জাদুঘরে পাঠানো হয়।২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই খুলি নিয়ে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। পরে জাদুঘরের সুপারভাইজাররা একটি ইনভেন্টরি অডিটের সময় এটি দেখতে পান এবং এটি পুলিশের মাধ্যমে করোনার অফিসে পাঠান।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করা টেক্সাসের একটি ফরেনসিক ল্যাবরেটরি ওথরাম ল্যাবরেটরিজের সঙ্গে কাজ করে করোনার অফিস মাথার খুলি থেকে একটি ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করতে সক্ষম হয়।

জানা যায়, এটি ১৮৮৬ সালে ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের মেরিলভিলের এথার গ্রেঞ্জার নামের এক কিশোরীর। ১৭ বছর বয়সে সন্তান প্রসবের সময় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়।

গ্রেঞ্জারের নাতি ওয়েন সিলভারের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচ হয়েছে। এরপর গত আগস্টে শহরের পশ্চিম বাটাভিয়া কবরস্থানে মাথার খুলিটি পুঁতে দেওয়া হয়।

তবে গ্রেঞ্জারের মাথার খুলি কীভাবে বাটাভিয়ায় গেল, তা স্পষ্ট নয়। রেকর্ড থেকে জানা যায়, তাকে ইন্ডিয়ানার লেক কাউন্টিতে সমাহিত করা হয়। কেইন কাউন্টির করোনার রব রাসেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দস্যুরা চিকিৎসকদের কাছে বিক্রির জন্য তার কবর খনন করে থাকতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:০৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
২১
Translate »

মৃত্যুর ১৫৮ বছর পর কিশোরীর মাথার খুলি উদ্ধার

আপডেট : ১২:০৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে মৃত্যুর ১৫৮ বছর পর এক কিশোরীর মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। একটি বাড়ির দেয়ালে আবিষ্কৃত একটি মাথার খুলি থেকে ওই কিশোরীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।

কেন কাউন্টি করোনার অফিসের দেওয়া টাইমলাইন অনুসারে, ১৯৭৮ সালে ইলিনয়ের বাটাভিয়ায় বাড়িটি সংস্কার করার সময় ওই বাড়ির মালিক মাথার খুলিটি খুঁজে পান। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে মাথার খুলিটি সংরক্ষণের জন্য বাটাভিয়া ডিপো জাদুঘরে পাঠানো হয়।২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই খুলি নিয়ে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। পরে জাদুঘরের সুপারভাইজাররা একটি ইনভেন্টরি অডিটের সময় এটি দেখতে পান এবং এটি পুলিশের মাধ্যমে করোনার অফিসে পাঠান।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করা টেক্সাসের একটি ফরেনসিক ল্যাবরেটরি ওথরাম ল্যাবরেটরিজের সঙ্গে কাজ করে করোনার অফিস মাথার খুলি থেকে একটি ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করতে সক্ষম হয়।

জানা যায়, এটি ১৮৮৬ সালে ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের মেরিলভিলের এথার গ্রেঞ্জার নামের এক কিশোরীর। ১৭ বছর বয়সে সন্তান প্রসবের সময় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়।

গ্রেঞ্জারের নাতি ওয়েন সিলভারের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচ হয়েছে। এরপর গত আগস্টে শহরের পশ্চিম বাটাভিয়া কবরস্থানে মাথার খুলিটি পুঁতে দেওয়া হয়।

তবে গ্রেঞ্জারের মাথার খুলি কীভাবে বাটাভিয়ায় গেল, তা স্পষ্ট নয়। রেকর্ড থেকে জানা যায়, তাকে ইন্ডিয়ানার লেক কাউন্টিতে সমাহিত করা হয়। কেইন কাউন্টির করোনার রব রাসেল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দস্যুরা চিকিৎসকদের কাছে বিক্রির জন্য তার কবর খনন করে থাকতে পারে।