London ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই’র দিকনির্দেশনামূলক সুপারিশ: আগামীর উন্নত জাতি গঠনের রূপরেখা নাটোর বিএনপির প্রার্থী ও ভোটের রাজনীতি রাজশাহীতে হত্যা মামলার মুল আসামি গ্রেপ্তার অবহেলিত জনগণের সেবা করতে চাই — সাটিয়াজুরীতে আলহাজ্ব সৈয়দ মোঃ ফয়সল কালিয়াকৈরে মিথ্যা-ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার প্রতিবাদে সাবেক মেয়রের সংবাদ সম্মেলন কসবায় অগ্রভাগীয় সাহিত্য সংগঠন (সি.টি.এল.) এর ২৪৭তম আর্থিক ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সম্পন্ন দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত দুর্গাপুরে হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেউলী উৎসব অনুষ্ঠিত ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরহি নিহত কালিয়াকৈরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত

কালকিনিতে আপত্তির মুখে ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির বাড়ির মেলার আয়োজন বন্ধ করল প্রশাসন

মাদারীপুরের ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা বন্ধের দাবিতে কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয় ১২ জন ব্যক্তিছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় দীপাবলি ও কালীপূজা উপলক্ষে প্রায় আড়াই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলার আয়োজন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা।

মেলা আয়োজনের ইজারাদার আকবর হোসেন সরদার বলেন, ‘প্রায় আড়াই শ বছর ধরে কুন্ডুবাড়ির মেলা হয়ে আসছে। কেউ কোনো দিন কোনো প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু এবার প্রশাসনের কাছে ইসলামী আন্দোলনের নেতা ও আলেম সমাজের প্রতিনিধিরা কিছু অভিযোগ তুলে লিখিত দিয়েছেন। কিন্তু তারা (নেতারা) আমার কাছে এসে বলেছে, হিন্দুদের মেলায় মুসলমানরা যাবে না। তাই এখানে মেলা করা যাবে না। আমাকে তারা মেলা না করার জন্য নিষেধ করেছে। এদিকে আমি পৌরসভা থেকে মেলার ইজারা নিয়ে কয়েক শ দোকানির কাছে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছি। এসব দোকানি ঋণ করে মালামাল মেলায় বিক্রি করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এখন এই মেলা না হলে এসব দোকানি ঋণের জালে জড়িয়ে পড়বেন। আমারও আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতি হবে।’

উপজেলা প্রশাসন, আয়োজক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি ও কালীপূজা। এই উৎসব ঘিরে কালকিনি উপজেলার ভূরঘাটা এলাকায় ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ি মেলার আয়োজন করা হয়। প্রায় ২৫০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা অনুষ্ঠিত হলেও এবার স্থানীয় ১২ জন ব্যক্তি ৯টি কারণ উপস্থাপন করে মেলাটি বন্ধের দাবি জানান। পরে কালকিনি পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন সভা করে গত বৃহস্পতিবার এই মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

একই সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল পৌরসভার পক্ষ থেকে ৮০ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যে আকবর হোসেন সরদার নামের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মেলা আয়োজনের ইজারা দেওয়া হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে আওয়ামী লীগের নেতার ওই ইজারা বাতিলের দাবি জানায় একটি মহল। পরে সেটি করতে ব্যর্থ হলে তারা ৯টি কারণ দেখিয়ে মেলা পুরোপুরি বন্ধ করতে কালকিনি পৌরসভা ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। পরে প্রশাসন অনেকটা চাপের মুখেই মেলাটি বন্ধের নির্দেশনা দেয়।

ভূরঘাটা কুন্ডুবাড়ি কালীপূজা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কুন্ডু বলেন, ‘কালীপূজা ঘিরেই এই মেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসপত্র ওঠে। হাজারো দোকানপাট বসে। লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। এটি দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী মেলা। এই মেলা বন্ধ করতে রাতের আঁধারে কিছু মানুষ ব্যানার টাঙিয়ে মেলা বন্ধের ঘোষণা দিয়ে গেছে। এটা দেখে আমরা অবাক। আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ প্রশাসন থেকে কেউ করেনি। আমরা এ ঘটনায় আতঙ্কিত ও মর্মাহত।’

কালকিনি পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, স্থানীয় কয়েকজন এই মেলার বিভিন্ন সমস্যা উল্লেখ করে স্থায়ী বন্ধ করার জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের ঝামেলা এড়াতে কালকিনি পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন এবার মেলার আয়োজন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মাদারীপুরের ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে ব্যানার টাঙিনে দেওয়া হয়

মাদারীপুরের ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে ব্যানার টাঙিনে দেওয়া হয়ছবি: সংগৃহীত

ওই ১২ জন ব্যক্তির দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিবছর এই মেলায় মারামারি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া জুয়া, মদ ও গাঁজার আড্ডা, নারী ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, সামাজিক অবক্ষয় ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এসব কারণে এই মেলা তাঁরা বন্ধের দাবি জানান। অভিযোগপত্রে ১২ জন স্বাক্ষর করেছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো।

ভূরঘাটা বাজার মসজিদের ইমাম ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা যারা মেলাটি বন্ধের দাবি জানিয়েছি, তারা বেশির ভাগই ইসলামী আন্দোলনের কর্মী। আমরা শুনেছি, কুন্ডুবাড়ির মেলায় অপ্রীতিকর অনেক কিছুই ঘটে। স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছে। তাই আমরা মেলা বন্ধের দাবি জানিয়েছি। তবে মেলা যে হতে পারবেই না, হতে দেব না, এমন দায়িত্ব আমরা নিইনি।’

নয়টি অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কালকিনি কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও অভিযোগকারী গোলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থানীয় মানুষের অভিযোগ আমরা তুলে ধরেছি। স্থানীয়দের থেকে যা শুনব, আমরা তো তাই বলব। কারও নাম আমরা শনাক্ত করতে চাই না।’ অভিযোগের সত্যতা যাচাই–বাছাই করেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

জানতে চাইলে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘মেলা সংস্কৃতির অংশ। আর যেহেতু কুন্ডুবাড়ির মেলাটি ঐতিহ্যবাহী, তাই মেলাটি বন্ধের পক্ষে নয় জেলা প্রশাসন। মেলাটি বন্ধ চেয়ে যারা আবেদন করেছে, তাদের নিয়ে আমরা আলোচনায় বসে সমাধান করার চেষ্টা করব।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
৭৮
Translate »

কালকিনিতে আপত্তির মুখে ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির বাড়ির মেলার আয়োজন বন্ধ করল প্রশাসন

আপডেট : ১২:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

মাদারীপুরের ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা বন্ধের দাবিতে কালকিনি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয় ১২ জন ব্যক্তিছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় দীপাবলি ও কালীপূজা উপলক্ষে প্রায় আড়াই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলার আয়োজন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা।

মেলা আয়োজনের ইজারাদার আকবর হোসেন সরদার বলেন, ‘প্রায় আড়াই শ বছর ধরে কুন্ডুবাড়ির মেলা হয়ে আসছে। কেউ কোনো দিন কোনো প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু এবার প্রশাসনের কাছে ইসলামী আন্দোলনের নেতা ও আলেম সমাজের প্রতিনিধিরা কিছু অভিযোগ তুলে লিখিত দিয়েছেন। কিন্তু তারা (নেতারা) আমার কাছে এসে বলেছে, হিন্দুদের মেলায় মুসলমানরা যাবে না। তাই এখানে মেলা করা যাবে না। আমাকে তারা মেলা না করার জন্য নিষেধ করেছে। এদিকে আমি পৌরসভা থেকে মেলার ইজারা নিয়ে কয়েক শ দোকানির কাছে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছি। এসব দোকানি ঋণ করে মালামাল মেলায় বিক্রি করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এখন এই মেলা না হলে এসব দোকানি ঋণের জালে জড়িয়ে পড়বেন। আমারও আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতি হবে।’

উপজেলা প্রশাসন, আয়োজক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি ও কালীপূজা। এই উৎসব ঘিরে কালকিনি উপজেলার ভূরঘাটা এলাকায় ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ি মেলার আয়োজন করা হয়। প্রায় ২৫০ বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী এই মেলা অনুষ্ঠিত হলেও এবার স্থানীয় ১২ জন ব্যক্তি ৯টি কারণ উপস্থাপন করে মেলাটি বন্ধের দাবি জানান। পরে কালকিনি পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন সভা করে গত বৃহস্পতিবার এই মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

একই সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল পৌরসভার পক্ষ থেকে ৮০ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যে আকবর হোসেন সরদার নামের আওয়ামী লীগের এক নেতাকে মেলা আয়োজনের ইজারা দেওয়া হয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে আওয়ামী লীগের নেতার ওই ইজারা বাতিলের দাবি জানায় একটি মহল। পরে সেটি করতে ব্যর্থ হলে তারা ৯টি কারণ দেখিয়ে মেলা পুরোপুরি বন্ধ করতে কালকিনি পৌরসভা ও প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। পরে প্রশাসন অনেকটা চাপের মুখেই মেলাটি বন্ধের নির্দেশনা দেয়।

ভূরঘাটা কুন্ডুবাড়ি কালীপূজা উদ্‌যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কুন্ডু বলেন, ‘কালীপূজা ঘিরেই এই মেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসপত্র ওঠে। হাজারো দোকানপাট বসে। লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। এটি দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী মেলা। এই মেলা বন্ধ করতে রাতের আঁধারে কিছু মানুষ ব্যানার টাঙিয়ে মেলা বন্ধের ঘোষণা দিয়ে গেছে। এটা দেখে আমরা অবাক। আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ প্রশাসন থেকে কেউ করেনি। আমরা এ ঘটনায় আতঙ্কিত ও মর্মাহত।’

কালকিনি পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাশ বলেন, স্থানীয় কয়েকজন এই মেলার বিভিন্ন সমস্যা উল্লেখ করে স্থায়ী বন্ধ করার জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের ঝামেলা এড়াতে কালকিনি পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন এবার মেলার আয়োজন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মাদারীপুরের ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে ব্যানার টাঙিনে দেওয়া হয়

মাদারীপুরের ঐতিহ্যবাহী কুন্ডুবাড়ির মেলা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে ব্যানার টাঙিনে দেওয়া হয়ছবি: সংগৃহীত

ওই ১২ জন ব্যক্তির দেওয়া লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিবছর এই মেলায় মারামারি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া জুয়া, মদ ও গাঁজার আড্ডা, নারী ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, সামাজিক অবক্ষয় ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এসব কারণে এই মেলা তাঁরা বন্ধের দাবি জানান। অভিযোগপত্রে ১২ জন স্বাক্ষর করেছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো।

ভূরঘাটা বাজার মসজিদের ইমাম ওমর ফারুক বলেন, ‘আমরা যারা মেলাটি বন্ধের দাবি জানিয়েছি, তারা বেশির ভাগই ইসলামী আন্দোলনের কর্মী। আমরা শুনেছি, কুন্ডুবাড়ির মেলায় অপ্রীতিকর অনেক কিছুই ঘটে। স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছে। তাই আমরা মেলা বন্ধের দাবি জানিয়েছি। তবে মেলা যে হতে পারবেই না, হতে দেব না, এমন দায়িত্ব আমরা নিইনি।’

নয়টি অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কালকিনি কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও অভিযোগকারী গোলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্থানীয় মানুষের অভিযোগ আমরা তুলে ধরেছি। স্থানীয়দের থেকে যা শুনব, আমরা তো তাই বলব। কারও নাম আমরা শনাক্ত করতে চাই না।’ অভিযোগের সত্যতা যাচাই–বাছাই করেছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন।

জানতে চাইলে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘মেলা সংস্কৃতির অংশ। আর যেহেতু কুন্ডুবাড়ির মেলাটি ঐতিহ্যবাহী, তাই মেলাটি বন্ধের পক্ষে নয় জেলা প্রশাসন। মেলাটি বন্ধ চেয়ে যারা আবেদন করেছে, তাদের নিয়ে আমরা আলোচনায় বসে সমাধান করার চেষ্টা করব।’