London ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশে বাংলাদেশের নিগার

সদ্য শেষ হওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরমেন্স উজ্জ্বল ছিল না। চার ম্যাচের মাত্র একটিতে জয়। আর এটি ১২ বছর পর মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয়।

নিগার সুলতানার দল অনুমিতভাবে স্কটল্যান্ডকে হারালেও অন্য তিন ম্যাচে যে হেরেছে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না গড়েই। প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়া দলটির হয়ে বলার মতো পারফরম্যান্স ছিল শুধু অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির। বিশ্বকাপে চার ম্যাচে ১০৪ রান করা নিগার উইকেটের পেছনে নিয়েছেন একটি ক্যাচ, করেছেন ৬টি স্টাম্পিং। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে নজর কাড়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে সদ্যসমাপ্ত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে তাকে রাখা হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড প্রথমবারের মতো মেয়েদের ২০ ওভারের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরদিন সোমবার (২১ অক্টোবর) আইসিসি ঘোষণা করেছে আসরের সেরা একাদশ।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮ রান করে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন নিগার। ওই ম্যাচে জিতলেও পরের তিন ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। নিগার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৯ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। উইকেটের পেছনেও দারুণ চটপটে ছিলেন তিনি। ছয়টি স্টাম্পিংয়ের সঙ্গে নেন একটি ক্যাচ।

সেরা একাদশে সর্বোচ্চ তিনজন আছেন রানার্সআপ দক্ষিণ আফ্রিকা দলের। তারা হলেন দুই ওপেনার লরা উলভার্ট ও টাজমিন ব্রিটস। আরেকজন হলেন পেসার ননকুলুলেকো এমলাবা। উলভার্টকে দেওয়া হয়েছে অধিনায়কের দায়িত্ব। তিনি ৬ ম্যাচ খেলে আসরের সর্বোচ্চ ২২৩ রান করেন ৪৪.৬০ গড় ও ১১৩.১৯ স্ট্রাইক রেটে।

শিরোপাজয়ী নিউজিল্যান্ডের দুজন হলেন অলরাউন্ডার অ্যামিলিয়া কার ও পেসার রোজমেরি মেয়ার। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পাশাপাশি কার জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ব্যাট হাতে ১৩৫ রান করেন তিনি। লেগ স্পিনে নেন ১৫ উইকেট। এটি বিশ্বকাপের এক আসরে কোনো বোলারের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের নজির।

দুজন আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকেও। তারা হলেন অলরাউন্ডার ডিয়ান্ড্রা ডটিন ও স্পিনার অ্যাফি ফ্লেচার। সব মিলিয়ে সাত দেশের ক্রিকেটার আছেন আসরের সেরা একাদশে। বাংলাদেশের নিগার ছাড়া বাকিরা হলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার ড্যানি ওয়াট-হজ, ভারতের ব্যাটার হারমানপ্রিত কৌর ও অস্ট্রেলিয়ার পেসার মেগান শাট।

২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশ: লরা উলভার্ট (অধিনায়ক, দক্ষিণ আফ্রিকা), টাজমিন ব্রিটস (দক্ষিণ আফ্রিকা), ড্যানি ওয়াট-হজ (ইংল্যান্ড), অ্যামিলিয়া কার (নিউজিল্যান্ড), হারমানপ্রিত কৌর (ভারত), ডিয়ান্ড্রা ডটিন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), নিগার সুলতানা (উইকেটরক্ষক, বাংলাদেশ), অ্যাফি ফ্লেচার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রোজমেরি মেয়ার (নিউজিল্যান্ড), মেগান শাট (অস্ট্রেলিয়া), ননকুলুলেকো এমলাবা (দক্ষিণ আফ্রিকা)।

দ্বাদশ খেলোয়াড়: ইডেন কার্সন (নিউজিল্যান্ড)।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:১৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
২৭
Translate »

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশে বাংলাদেশের নিগার

আপডেট : ০৩:১৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

সদ্য শেষ হওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরমেন্স উজ্জ্বল ছিল না। চার ম্যাচের মাত্র একটিতে জয়। আর এটি ১২ বছর পর মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম জয়।

নিগার সুলতানার দল অনুমিতভাবে স্কটল্যান্ডকে হারালেও অন্য তিন ম্যাচে যে হেরেছে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না গড়েই। প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়া দলটির হয়ে বলার মতো পারফরম্যান্স ছিল শুধু অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির। বিশ্বকাপে চার ম্যাচে ১০৪ রান করা নিগার উইকেটের পেছনে নিয়েছেন একটি ক্যাচ, করেছেন ৬টি স্টাম্পিং। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে নজর কাড়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে সদ্যসমাপ্ত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে তাকে রাখা হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নিউজিল্যান্ড প্রথমবারের মতো মেয়েদের ২০ ওভারের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরদিন সোমবার (২১ অক্টোবর) আইসিসি ঘোষণা করেছে আসরের সেরা একাদশ।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮ রান করে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন নিগার। ওই ম্যাচে জিতলেও পরের তিন ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। নিগার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৯ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। উইকেটের পেছনেও দারুণ চটপটে ছিলেন তিনি। ছয়টি স্টাম্পিংয়ের সঙ্গে নেন একটি ক্যাচ।

সেরা একাদশে সর্বোচ্চ তিনজন আছেন রানার্সআপ দক্ষিণ আফ্রিকা দলের। তারা হলেন দুই ওপেনার লরা উলভার্ট ও টাজমিন ব্রিটস। আরেকজন হলেন পেসার ননকুলুলেকো এমলাবা। উলভার্টকে দেওয়া হয়েছে অধিনায়কের দায়িত্ব। তিনি ৬ ম্যাচ খেলে আসরের সর্বোচ্চ ২২৩ রান করেন ৪৪.৬০ গড় ও ১১৩.১৯ স্ট্রাইক রেটে।

শিরোপাজয়ী নিউজিল্যান্ডের দুজন হলেন অলরাউন্ডার অ্যামিলিয়া কার ও পেসার রোজমেরি মেয়ার। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পাশাপাশি কার জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ব্যাট হাতে ১৩৫ রান করেন তিনি। লেগ স্পিনে নেন ১৫ উইকেট। এটি বিশ্বকাপের এক আসরে কোনো বোলারের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের নজির।

দুজন আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকেও। তারা হলেন অলরাউন্ডার ডিয়ান্ড্রা ডটিন ও স্পিনার অ্যাফি ফ্লেচার। সব মিলিয়ে সাত দেশের ক্রিকেটার আছেন আসরের সেরা একাদশে। বাংলাদেশের নিগার ছাড়া বাকিরা হলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার ড্যানি ওয়াট-হজ, ভারতের ব্যাটার হারমানপ্রিত কৌর ও অস্ট্রেলিয়ার পেসার মেগান শাট।

২০২৪ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশ: লরা উলভার্ট (অধিনায়ক, দক্ষিণ আফ্রিকা), টাজমিন ব্রিটস (দক্ষিণ আফ্রিকা), ড্যানি ওয়াট-হজ (ইংল্যান্ড), অ্যামিলিয়া কার (নিউজিল্যান্ড), হারমানপ্রিত কৌর (ভারত), ডিয়ান্ড্রা ডটিন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), নিগার সুলতানা (উইকেটরক্ষক, বাংলাদেশ), অ্যাফি ফ্লেচার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রোজমেরি মেয়ার (নিউজিল্যান্ড), মেগান শাট (অস্ট্রেলিয়া), ননকুলুলেকো এমলাবা (দক্ষিণ আফ্রিকা)।

দ্বাদশ খেলোয়াড়: ইডেন কার্সন (নিউজিল্যান্ড)।