London ০১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
মহাসড়ক বন্ধ করে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের সমাবেশ- যান চলাচল বন্ধ; ভোগান্তি চরমে। পাবিপ্রবিতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালন ও পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ, স্বপ্ন দেখছেন আমচাষীরা সিরিয়া থেকে সব সেনা সরিয়ে নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ভাঙা হলো বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ রূপগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২ ১২২ বস্তা সার পাচারের অভিযোগে বিএনপি-যুবদলের ৫ নেতাকে বহিষ্কার শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনতেই হবে,তারেক রহমান নেত্রকোণার দুর্গাপুরে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের নতুন কমিটি গঠিত

ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে রিভিউ আবেদনের শুনানি আজ

হাইকোর্ট ভবন ফাইল ছবি

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী এনেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে আনা হয়েছিল সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী। এই সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল রেখেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। সেটা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি শুনানির জন্য আজ রোববার সর্বোচ্চ আদালতে উঠছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের আজকের কার্যতালিকায় ১ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে এই রিভিউ আবেদন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে রিভিউ আবেদনটি করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান গতকাল শনিবার বলেন, ‘আমরা শুনানির জন্য প্রস্তুত। প্রয়োজন হলে বাড়তি কোনো যুক্তি তুলে ধরা হবে।’

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল আনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে পাস হয়।

পরে এর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নয়জন আইনজীবী। ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। একই বছরের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে আপিল খারিজ করে রায় দেন। ফলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ১ আগস্ট। বিচারপতি সিনহা তাঁর লেখা রায়ে গণতন্ত্র, রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, সুশাসন, দুর্নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেন। রায়ে তাঁর বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সরকারের মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও দলটির সমর্থক আইনজীবীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতি সিনহার পদত্যাগের দাবি তোলেন।

একপর্যায়ে বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশে চলে যান। তাঁকে অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও তখন আলোচনা ছিল। যদিও ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর বিদেশে যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি অসুস্থ নন, ক্ষমতাসীনদের সমালোচনায় তিনি বিব্রত। পরে অবশ্য বিদেশে থাকা অবস্থায়ই তিনি পদত্যাগ করেন। আর দেশে ফেরেননি।

এদিকে ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গতকাল বলেন, ‘আমরা শুনানির জন্য প্রস্তুত। আপিল বিভাগের রায় অনুসারে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা রিভিউ আবেদন শুনানির মধ্য দিয়ে বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হবে।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:১৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪
২৫
Translate »

ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে রিভিউ আবেদনের শুনানি আজ

আপডেট : ০৩:১৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪

হাইকোর্ট ভবন ফাইল ছবি

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী এনেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে আনা হয়েছিল সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী। এই সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল রেখেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। সেটা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি শুনানির জন্য আজ রোববার সর্বোচ্চ আদালতে উঠছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের আজকের কার্যতালিকায় ১ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে এই রিভিউ আবেদন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আমলে রিভিউ আবেদনটি করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান গতকাল শনিবার বলেন, ‘আমরা শুনানির জন্য প্রস্তুত। প্রয়োজন হলে বাড়তি কোনো যুক্তি তুলে ধরা হবে।’

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বিল আনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে পাস হয়।

পরে এর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নয়জন আইনজীবী। ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। একই বছরের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে আপিল খারিজ করে রায় দেন। ফলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ১ আগস্ট। বিচারপতি সিনহা তাঁর লেখা রায়ে গণতন্ত্র, রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, সুশাসন, দুর্নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেন। রায়ে তাঁর বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সরকারের মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও দলটির সমর্থক আইনজীবীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতি সিনহার পদত্যাগের দাবি তোলেন।

একপর্যায়ে বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশে চলে যান। তাঁকে অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও তখন আলোচনা ছিল। যদিও ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর বিদেশে যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি অসুস্থ নন, ক্ষমতাসীনদের সমালোচনায় তিনি বিব্রত। পরে অবশ্য বিদেশে থাকা অবস্থায়ই তিনি পদত্যাগ করেন। আর দেশে ফেরেননি।

এদিকে ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গতকাল বলেন, ‘আমরা শুনানির জন্য প্রস্তুত। আপিল বিভাগের রায় অনুসারে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতি অপসারণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা রিভিউ আবেদন শুনানির মধ্য দিয়ে বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হবে।’