London ১০:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
কালিয়াকৈরে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন ” ক্ষুদ্র শিল্প ক্ষুদ্র নয়, দিনে দিনে বড় হয” এ শ্লোগান নিয়ে পটুয়াখালীতে বর্ণিল আয়োজনে ১০ দিন ব্যাপী বিসিক উদ্যোক্তা মেলা- ২০২৫ উদ্বোধন হয়েছে ডাল মিলকে ২ লাখ টাকা জড়িমানা বারহাট্টায় চোরাচালানের বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শাড়ী ও থ্রি পিসসহ আটক ২ সিংড়ায় ৩১ দফার প্রচারণায় বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদ কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন, আব্দুল হান্নান সভাপতি, মকিস মনসুর, সম্পাদক নির্বা‌চিত নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঝুমা তালুকদার ঢাকায় গ্রেপ্তার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিম (ভিপি) সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু ভূমি অধিগ্রহণের টাকা নয়ছয়ের মিথ্যা সংবাদে ক্ষোভ: সাবেক প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

মধ্যবিত্ত এবং উপশহরের ভোটারদের মধ্যে কমালার শক্ত অবস্থান

ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমালা হ্যারিস আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে মধ্যবিত্ত ও উপশহরের ভোটারদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে আছেন। রয়টার্স/ইপসসের এক বিশ্লেষণ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জুলাইয়ের ২১ তারিখে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পুনর্নির্বাচন প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর হ্যারিস দ্রুত সমর্থন বাড়িয়েছেন। উপশহর ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে তার সমর্থন বৃদ্ধির ফলে ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী সম্ভাবনা নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। যদিও ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনী প্রতিযোগিতা এখনো বেশ কাছাকাছি।উপশহরের ভোটাররা মার্কিন জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এবং জাতিগতভাবে বৈচিত্র্যময়। নির্বাচন জয়ের জন্য এই ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেন এই গোষ্ঠীর সমর্থনে প্রায় ছয় পয়েন্টে ট্রাম্পকে পরাজিত করেছিলেন।

তবে বাইডেন সরে যাওয়ার আগে, জুন ও জুলাই মাসের রয়টার্স/ইপসসের জরিপে ট্রাম্প উপশহরের ভোটারদের মধ্যে ৪৩% থেকে ৪০% এর ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু হ্যারিস তার প্রচারণা শুরু করার পর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে এই ব্যবধান কমে গেছে। এখন হ্যারিস উপশহরের ভোটারদের মধ্যে ৪৭% থেকে ৪১% এগিয়ে আছেন, যা ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে নয় পয়েন্টের পরিবর্তন নির্দেশ করে।

একইভাবে, মধ্যবিত্ত আয়ের (প্রায় $৫০,০০০ থেকে $১০০,০০০ উপার্জনকারী) ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্প শুরুতে ৪৪% থেকে ৩৭% এগিয়ে ছিলেন, কিন্তু হ্যারিস এখন ৪৫% থেকে ৪৩% ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।

 অর্থনীতি মার্কিন নির্বাচনের প্রধান ইস্যু হিসেবে দেখা যাচ্ছে। অক্টোবরে চালানো এক জরিপে ৪৬% ভোটার ট্রাম্পকে অর্থনীতির জন্য সেরা প্রার্থী মনে করেন, যা হ্যারিসের তুলনায় আট পয়েন্ট বেশি। তবুও হ্যারিস অর্থনৈতিক বিষয়গুলোতে, বিশেষত মধ্যবিত্তের জীবনের ব্যয়যোগ্যতা নিয়ে তার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ট্রাম্পের সুবিধা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।

হ্যারিসকে ভোটাররা গণতন্ত্র রক্ষা এবং রাজনৈতিক চরমপন্থার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য অধিক যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছেন। বিশ্লেষক ডেভিড ওয়াসারম্যান বলেছেন, হ্যারিস বিশেষ করে উপশহরের উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ভাল পারফর্ম করছেন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে তার সমর্থন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে তাদের জন্য তার ধারাবাহিক প্রতিশ্রুতি।

তবে নির্বাচন নির্ধারণে শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের ভোটারদের অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন ওয়াসারম্যান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:৪৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
১০৩
Translate »

মধ্যবিত্ত এবং উপশহরের ভোটারদের মধ্যে কমালার শক্ত অবস্থান

আপডেট : ১১:৪৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমালা হ্যারিস আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে মধ্যবিত্ত ও উপশহরের ভোটারদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে আছেন। রয়টার্স/ইপসসের এক বিশ্লেষণ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জুলাইয়ের ২১ তারিখে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পুনর্নির্বাচন প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর হ্যারিস দ্রুত সমর্থন বাড়িয়েছেন। উপশহর ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে তার সমর্থন বৃদ্ধির ফলে ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী সম্ভাবনা নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। যদিও ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনী প্রতিযোগিতা এখনো বেশ কাছাকাছি।উপশহরের ভোটাররা মার্কিন জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এবং জাতিগতভাবে বৈচিত্র্যময়। নির্বাচন জয়ের জন্য এই ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেন এই গোষ্ঠীর সমর্থনে প্রায় ছয় পয়েন্টে ট্রাম্পকে পরাজিত করেছিলেন।

তবে বাইডেন সরে যাওয়ার আগে, জুন ও জুলাই মাসের রয়টার্স/ইপসসের জরিপে ট্রাম্প উপশহরের ভোটারদের মধ্যে ৪৩% থেকে ৪০% এর ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু হ্যারিস তার প্রচারণা শুরু করার পর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের মধ্যে এই ব্যবধান কমে গেছে। এখন হ্যারিস উপশহরের ভোটারদের মধ্যে ৪৭% থেকে ৪১% এগিয়ে আছেন, যা ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে নয় পয়েন্টের পরিবর্তন নির্দেশ করে।

একইভাবে, মধ্যবিত্ত আয়ের (প্রায় $৫০,০০০ থেকে $১০০,০০০ উপার্জনকারী) ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্প শুরুতে ৪৪% থেকে ৩৭% এগিয়ে ছিলেন, কিন্তু হ্যারিস এখন ৪৫% থেকে ৪৩% ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন।

 অর্থনীতি মার্কিন নির্বাচনের প্রধান ইস্যু হিসেবে দেখা যাচ্ছে। অক্টোবরে চালানো এক জরিপে ৪৬% ভোটার ট্রাম্পকে অর্থনীতির জন্য সেরা প্রার্থী মনে করেন, যা হ্যারিসের তুলনায় আট পয়েন্ট বেশি। তবুও হ্যারিস অর্থনৈতিক বিষয়গুলোতে, বিশেষত মধ্যবিত্তের জীবনের ব্যয়যোগ্যতা নিয়ে তার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে ট্রাম্পের সুবিধা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।

হ্যারিসকে ভোটাররা গণতন্ত্র রক্ষা এবং রাজনৈতিক চরমপন্থার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য অধিক যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছেন। বিশ্লেষক ডেভিড ওয়াসারম্যান বলেছেন, হ্যারিস বিশেষ করে উপশহরের উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ভাল পারফর্ম করছেন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে তার সমর্থন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে তাদের জন্য তার ধারাবাহিক প্রতিশ্রুতি।

তবে নির্বাচন নির্ধারণে শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের ভোটারদের অংশগ্রহণও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন ওয়াসারম্যান।