London ১২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রুট-ব্রুকের ব্যাটে রেকর্ড, রেকর্ড ও রেকর্ড

হ্যারি ব্রুক ও জো রুটএএফপি

কখনো জো রুট তো কখনো হ্যারি ব্রুক! পালা করে নতুন নতুন রেকর্ড, কীর্তি গড়ছেন। নিজেরা ব্যাট উঁচিয়ে ধরছেন, কিন্তু পাকিস্তানি বোলারদের মাথা তুলতে দিচ্ছেন না। পাকিস্তানের বিপক্ষে মুলতান টেস্টে আজ চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে দুজনেই করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। খেলেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ৪৯২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের রান ৩ উইকেটে ৬৫৮, লিড ১০২ রানের। আজ প্রথম সেশনে রান উঠেছে ২৯ ওভারে ১৬৬।

২০

টেস্টে এক ইনিংসে দুজনের ডাবল সেঞ্চুরি দেখা গেল এ নিয়ে ২০ বার। পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয়বার।

ইংল্যান্ডের হয়ে এক ইনিংসে দুই ব্যাটসম্যানের ডাবল সেঞ্চুরির দ্বিতীয় ঘটনা এটি। রুট ও ব্রুকের আগে এই রেকর্ড ছিল গ্রায়েম ফাওলার ও মাইক গ্যাটিংয়ের, সেটি ৩৯ বছর আগে। ১৯৮৫ সালে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে দুজনে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন।

২৫৯* ও ২১৮*

টেস্টে এর আগে রুটের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ২৫৪। সেটিও তিনি খেলেছিলেন এই পাকিস্তানের বিপক্ষে, ২০১৬ সালে ম্যানচেস্টারে। আজ সেটিকে ছাড়িয়ে গেলেন। এর আগে ব্রুকের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারিতে ওয়েলিংটনে ১৮৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ব্রুক। আজ হেসেখেলে পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্রুকের সেঞ্চুরি করা আর পার্কে হেঁটে হেঁটে বাদাম খাওয়া একই কথা। পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে। তিনি এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছেন ৪টি। সেঞ্চুরি করেছেন সব কটিতে। যার একটি ডাবল সেঞ্চুরি, আবার তাঁর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস করেছিলেন ৮৭ রান।

ডাবল সেঞ্চুরির পর রুট

ডাবল সেঞ্চুরির পর রুটএএফপি

টেস্টে রুটের ডাবল সেঞ্চুরি এখন ৬টি। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ডাবল সেঞ্চুরি ওয়ালি হ্যামন্ডের। এই কিংবদন্তি ৮৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন ৭টি। তাঁর পরই অবস্থান রুটের। তালিকায় তৃতীয় অ্যালিস্টার কুক (৫)। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড কেড়ে নেওয়ার পর কুককে মুলতানে ডাবল সেঞ্চুরিতেও ছাড়িয়েছেন রুট।

২৫০ ছাড়ানো ইনিংস

২৫০ রান বা এর চেয়ে বেশি রানের ইনিংস হ্যামন্ড, কুক ও রুট খেলেছেন দুটি করে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রুট ছাড়া দুটি ২৫০ ছাড়ানো ইনিংস আছে শুধু ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগের।

রুটের ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতেও ডাবল সেঞ্চুরি আছে, সফরকারী ক্রিকেটারদের মধ্যে রুটই একমাত্র এই রেকর্ড গড়েছেন।

অবিচ্ছিন্ন ৪০৯ রানের জুটি ব্রুক ও রুট

অবিচ্ছিন্ন ৪০৯ রানের জুটি ব্রুক ও রুটএএফপি

২০০০০

আজকের ইনিংস খেলার পথে ২০০০০ আন্তর্জাতিক রানও করেছেন রুট। ৪৫৮ ইনিংসে ছুঁয়েছেন এই মাইলফলক, যা চতুর্থ দ্রুততম। সবচেয়ে দ্রুততম ২০০০০ রান করেছেন বিরাট কোহলি( ৪১৭ ইনিংসে।)

জুটিতেও রেকর্ড

জুটি হিসাবেও নতুন রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে এর আগে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল জস বাটলার ও জ্যাক ক্রলির। ২০২০ সালের ৩৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন এই দুজন। মুলতান সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন রুট, ব্রুক। গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৪০৯ রানের জুটি। পাকিস্তানি ফিল্ডারদের সাহায্য ছাড়া অবশ্য এই রেকর্ড গড়া সম্ভব ছিল না। ব্যক্তিগত ১৮৬ রানের সময়ে রুটের সহজ ক্যাচ ছাড়েন বাবর আজম। তখন ইংল্যান্ডের দলীয় রান ৫০৭।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৭:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
৪৫
Translate »

রুট-ব্রুকের ব্যাটে রেকর্ড, রেকর্ড ও রেকর্ড

আপডেট : ০৭:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

হ্যারি ব্রুক ও জো রুটএএফপি

কখনো জো রুট তো কখনো হ্যারি ব্রুক! পালা করে নতুন নতুন রেকর্ড, কীর্তি গড়ছেন। নিজেরা ব্যাট উঁচিয়ে ধরছেন, কিন্তু পাকিস্তানি বোলারদের মাথা তুলতে দিচ্ছেন না। পাকিস্তানের বিপক্ষে মুলতান টেস্টে আজ চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে দুজনেই করেছেন ডাবল সেঞ্চুরি। খেলেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ৪৯২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের রান ৩ উইকেটে ৬৫৮, লিড ১০২ রানের। আজ প্রথম সেশনে রান উঠেছে ২৯ ওভারে ১৬৬।

২০

টেস্টে এক ইনিংসে দুজনের ডাবল সেঞ্চুরি দেখা গেল এ নিয়ে ২০ বার। পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয়বার।

ইংল্যান্ডের হয়ে এক ইনিংসে দুই ব্যাটসম্যানের ডাবল সেঞ্চুরির দ্বিতীয় ঘটনা এটি। রুট ও ব্রুকের আগে এই রেকর্ড ছিল গ্রায়েম ফাওলার ও মাইক গ্যাটিংয়ের, সেটি ৩৯ বছর আগে। ১৯৮৫ সালে ভারতের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে দুজনে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন।

২৫৯* ও ২১৮*

টেস্টে এর আগে রুটের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ২৫৪। সেটিও তিনি খেলেছিলেন এই পাকিস্তানের বিপক্ষে, ২০১৬ সালে ম্যানচেস্টারে। আজ সেটিকে ছাড়িয়ে গেলেন। এর আগে ব্রুকের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারিতে ওয়েলিংটনে ১৮৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ব্রুক। আজ হেসেখেলে পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্রুকের সেঞ্চুরি করা আর পার্কে হেঁটে হেঁটে বাদাম খাওয়া একই কথা। পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে। তিনি এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছেন ৪টি। সেঞ্চুরি করেছেন সব কটিতে। যার একটি ডাবল সেঞ্চুরি, আবার তাঁর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস করেছিলেন ৮৭ রান।

ডাবল সেঞ্চুরির পর রুট

ডাবল সেঞ্চুরির পর রুটএএফপি

টেস্টে রুটের ডাবল সেঞ্চুরি এখন ৬টি। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ডাবল সেঞ্চুরি ওয়ালি হ্যামন্ডের। এই কিংবদন্তি ৮৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন ৭টি। তাঁর পরই অবস্থান রুটের। তালিকায় তৃতীয় অ্যালিস্টার কুক (৫)। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড কেড়ে নেওয়ার পর কুককে মুলতানে ডাবল সেঞ্চুরিতেও ছাড়িয়েছেন রুট।

২৫০ ছাড়ানো ইনিংস

২৫০ রান বা এর চেয়ে বেশি রানের ইনিংস হ্যামন্ড, কুক ও রুট খেলেছেন দুটি করে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রুট ছাড়া দুটি ২৫০ ছাড়ানো ইনিংস আছে শুধু ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগের।

রুটের ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতেও ডাবল সেঞ্চুরি আছে, সফরকারী ক্রিকেটারদের মধ্যে রুটই একমাত্র এই রেকর্ড গড়েছেন।

অবিচ্ছিন্ন ৪০৯ রানের জুটি ব্রুক ও রুট

অবিচ্ছিন্ন ৪০৯ রানের জুটি ব্রুক ও রুটএএফপি

২০০০০

আজকের ইনিংস খেলার পথে ২০০০০ আন্তর্জাতিক রানও করেছেন রুট। ৪৫৮ ইনিংসে ছুঁয়েছেন এই মাইলফলক, যা চতুর্থ দ্রুততম। সবচেয়ে দ্রুততম ২০০০০ রান করেছেন বিরাট কোহলি( ৪১৭ ইনিংসে।)

জুটিতেও রেকর্ড

জুটি হিসাবেও নতুন রেকর্ড গড়েছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে এর আগে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল জস বাটলার ও জ্যাক ক্রলির। ২০২০ সালের ৩৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন এই দুজন। মুলতান সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন রুট, ব্রুক। গড়েছেন অবিচ্ছিন্ন ৪০৯ রানের জুটি। পাকিস্তানি ফিল্ডারদের সাহায্য ছাড়া অবশ্য এই রেকর্ড গড়া সম্ভব ছিল না। ব্যক্তিগত ১৮৬ রানের সময়ে রুটের সহজ ক্যাচ ছাড়েন বাবর আজম। তখন ইংল্যান্ডের দলীয় রান ৫০৭।