London ১০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
কালিয়াকৈরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সেই কথিত যুবদল নেতা আবার চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক। নীরব পুলিশ! রাজশাহীতে করোনা সনাক্ত আখাউড়ায় প্রবাসীর বাড়িতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, ২১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার – পুলিশের অভিযানে আটক ১ মরহুম মীর্জা আব্দুল জব্বার বাবু স্মৃতি ফুটবল প্রীতি ম্যাচে অনুষ্ঠিত কালিয়াকৈরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল সিরাজগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ও গর্ভবতী কার্ড প্রদানের কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ সলঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত-চালক আহত দুর্গাপুরে সীমান্ত এলাকা থেকে ১১০ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ বিয়ের দাবিতে হিন্দু প্রেমিকের বাড়িতে মুসলিম নারী

টিকটকের কথা বলে চাচাতো ভাইকে হাত-পা বেঁধে খুন করে কিশোর

নোয়াখালীতে নিহত কিশোর ইয়াছিন আরাফাত ছবি সংগৃহীত

চড়-থাপ্পড় দেওয়ার জেরে চাচাতো ভাইকে স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা বেঁধে খুন করেছে এক কিশোর। হত্যার পর একটি দিঘির কচুরিপানার নিচে লাশও গুম করা হয়। এই ঘটনার ১১ দিন পর আজ সোমবার নিহত কিশোর ইয়াছিন আরাফাতের (১৫) লাশ উদ্ধার করেছে নোয়াখালীর কবিরহাট থানার পুলিশ। গত ২৬ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কবিরহাট ‍উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ঘোষবাগ গ্রামের গঙ্গার দিঘির পাড়ে আরাফাতকে হত্যার আগে টিকটক করার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়েছিল।

ইয়াছিন আরাফাত উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের উত্তমপুর লামছি গ্রামের মো. শহিদ উল্যাহর ছেলে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কবিরহাট থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বের হয় ইয়াছিন আরাফাত। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৮ সেপ্টেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। এরই মধ্যে নজরদারিতে নেওয়া হয় ইয়াছিনের সমবয়সী কিশোর চাচাতো ভাইকে। জিজ্ঞাসাবাদে তার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। গতকাল রোববার রাতে পরিবারের সহায়তায় তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ইয়াছিনের চাচাতো ভাই দেড় মাস আগে চড়-থাপ্পড় মারার জেরে তাকে খুন করার কথা স্বীকার করে।

আটক কিশোর পুলিশকে জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী সে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করে তার আরেক কিশোর বন্ধুর সঙ্গে। ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে টিকটক করার কথা বলে ইয়াছিনকে কবিরহাট পৌরসভার গঙ্গা দিঘির পাড়ে ডেকে নেয় তারা। সেখানে দুই বন্ধু মিলে ইয়াছিনের দুই হাত, দুই পা ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে ইয়াছিনকে দিঘির কচুরিপানার ভেতর মধ্যে ফেলে দেয় তারা। ইয়াছিনের মুঠোফোনটি নিয়ে যায় তার চাচাতো ভাইয়ের বন্ধু। সেটি জব্দ করা হয়েছে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন মিয়া বলেন, নিখোঁজ আরাফাতের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে সে কাদের সঙ্গে মেলামেশা করত, সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু নিহত ও অপরাধীরা সবাই কিশোর হওয়ায় নানা কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়। প্রায় আড়াই-তিন মাস আগে তারা ওই হত্যার পরিকল্পনা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটক দুই কিশোরকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কিশোর আদালতে পাঠানো হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:২৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪
৭২
Translate »

টিকটকের কথা বলে চাচাতো ভাইকে হাত-পা বেঁধে খুন করে কিশোর

আপডেট : ১১:২৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

নোয়াখালীতে নিহত কিশোর ইয়াছিন আরাফাত ছবি সংগৃহীত

চড়-থাপ্পড় দেওয়ার জেরে চাচাতো ভাইকে স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা বেঁধে খুন করেছে এক কিশোর। হত্যার পর একটি দিঘির কচুরিপানার নিচে লাশও গুম করা হয়। এই ঘটনার ১১ দিন পর আজ সোমবার নিহত কিশোর ইয়াছিন আরাফাতের (১৫) লাশ উদ্ধার করেছে নোয়াখালীর কবিরহাট থানার পুলিশ। গত ২৬ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর কবিরহাট ‍উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ঘোষবাগ গ্রামের গঙ্গার দিঘির পাড়ে আরাফাতকে হত্যার আগে টিকটক করার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে আনা হয়েছিল।

ইয়াছিন আরাফাত উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের উত্তমপুর লামছি গ্রামের মো. শহিদ উল্যাহর ছেলে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কবিরহাট থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে বের হয় ইয়াছিন আরাফাত। এরপর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২৮ সেপ্টেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। এরই মধ্যে নজরদারিতে নেওয়া হয় ইয়াছিনের সমবয়সী কিশোর চাচাতো ভাইকে। জিজ্ঞাসাবাদে তার কথাবার্তায় কিছুটা অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। গতকাল রোববার রাতে পরিবারের সহায়তায় তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ইয়াছিনের চাচাতো ভাই দেড় মাস আগে চড়-থাপ্পড় মারার জেরে তাকে খুন করার কথা স্বীকার করে।

আটক কিশোর পুলিশকে জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী সে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করে তার আরেক কিশোর বন্ধুর সঙ্গে। ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে টিকটক করার কথা বলে ইয়াছিনকে কবিরহাট পৌরসভার গঙ্গা দিঘির পাড়ে ডেকে নেয় তারা। সেখানে দুই বন্ধু মিলে ইয়াছিনের দুই হাত, দুই পা ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে ইয়াছিনকে দিঘির কচুরিপানার ভেতর মধ্যে ফেলে দেয় তারা। ইয়াছিনের মুঠোফোনটি নিয়ে যায় তার চাচাতো ভাইয়ের বন্ধু। সেটি জব্দ করা হয়েছে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন মিয়া বলেন, নিখোঁজ আরাফাতের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে সে কাদের সঙ্গে মেলামেশা করত, সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু নিহত ও অপরাধীরা সবাই কিশোর হওয়ায় নানা কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়। প্রায় আড়াই-তিন মাস আগে তারা ওই হত্যার পরিকল্পনা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটক দুই কিশোরকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কিশোর আদালতে পাঠানো হবে।