যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন ৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। মাসখানের আগে দায়িত্ব নেন এই পেশাদার কূটনীতিক। দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মাসে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। একান্ত ওই বৈঠকে বাইডেন ড. ইউনূসের সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই আলোচনার পথ ধরে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক। দুই দেশের সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য ৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। তবে তিনি ওয়াশিংটন থাকবেন ১০ থেকে ১২ অক্টোবর। এর আগে তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন দিনের ওয়াশিংটন সফরের সময় পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত আন্ডার সেক্রেটারি জন বাস, বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক লিন্ডসে ফোর্ড, সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। এসব বৈঠকের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ এবং শ্রম দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সর্বোচ্চ নেতৃত্বের পাশাপাশি নানা স্তরে এ নিয়ে তিন দফা আলোচনা হতে চলেছে। ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসেছিল যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। এরপর গত মাসের শেষ সপ্তাহে নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করেন জো বাইডেন ও অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনার অগ্রগতির দিকগুলো পররাষ্ট্রসচিবের সফরে গুরুত্ব পাবে। সামগ্রিকভাবে, বিভিন্ন খাতে সংস্কার, অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শ্রম ও মানবাধিকার, সুশাসন, সন্ত্রাসবাদ দমন, প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সংকটসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে।