London ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির শোক স্মরণে সিরাজগঞ্জে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর দোয়া মাহফিল রাজশাহীতে নাবিল গ্রুপকে ২ লাখ টাকা জরিমানা কিন্ডারগার্টেনের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না রাখায় গাইবান্ধায় প্রতিবাদ ও মানববন্ধন পটুয়াখালীতে চলতি বছরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা চরমে সিরাজগঞ্জে যমুনা শিশুপার্কের যাত্রা: খুশির নতুন ঠিকানা শিশুদের জন্য পাইকেরছড়া মডেল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ইজি ডেলিভারি সেবা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ গ্রেটার কামাল বাজার ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকে এর চ‍্যারিটি ব‍্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২৫ সম্পন্ন সুন্দরগঞ্জের ধর্মপুর কলেজে উপাধ্যক্ষ ও দুই প্রভাষক নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ বিমান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রাইসা মনির মৃত দেহর খোজ মিললো সিএমএইচয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গোবিন্দগঞ্জে আবারও ২ জন সক্রিয় হ্যাকার গ্রেফতার

রিমান্ড শেষ না হতেই পুলিশের দুই সদস্য কারাগারে

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে আদালতে আনার পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের কাছে রিমান্ডের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন না করায় আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রিমান্ডের সময় শেষের আগেই আসামিদের আদালতে উপস্থাপন, পুলিশ কর্মকর্তারা আসামি হলেও স্বপদে বহাল থাকা, নতুন করে কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া, নতুন করে রিমান্ড না নেওয়ায় পিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবীরা। সেই সঙ্গে সঠিক বিচার না পাওয়ারও শংঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

কোর্ট পরিদর্শক পৃথিশ কুমার সরকার বলেন, রিমান্ড শেষে আবু সাঈদ হত্যা মামলার দুই আসামিকে আজ আদালতে তোলা হয়েছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আদালত সেই প্রতিবেদন দেখে আসামিদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন করেনি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান রায়হান বলেন, ‘আদালতে আসামিদের উপস্থাপনের দিনে এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চেয়েছিল। পিবিআই সেই সময় আদালতের কাছে তাদের পাঁচ দিন রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তদন্তকারী সংস্থা রিমান্ডের তৃতীয় দিনেই আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করেছে এবং বলেছে আসামিরা অসুস্থ। আদালতে আসামিরা কোনো স্বীকারোক্তি দেননি। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তে অবহেলা ও খামখেয়ালি করছেন। সেই সঙ্গে সঠিক বিচার নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলার আসামি সবাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মামলা ফাইলের দিনে বিজ্ঞ আদালত নির্দেশনা দিয়েছিল, মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পুলিশের সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এখনো স্বপদে বহাল থাকায় তারা মামলাকে প্রভাবিত করতে পারে। রবিবারের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা পুনরায় রিমান্ড না চাইলে আমরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তন চাইব।’

বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, ‘দুই আসামি যাদের নির্দেশে গুলি চালিয়েছে, তাদের পেছনে পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তা ছিল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে বলেছে তারা রিমান্ডে আসামিদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখছেন। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে রিমান্ড চাইবেন।’

প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর পিবিআই দুই পুলিশ সদস্যের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:২১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৯৭
Translate »

রিমান্ড শেষ না হতেই পুলিশের দুই সদস্য কারাগারে

আপডেট : ০৪:২১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে আদালতে আনার পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের কাছে রিমান্ডের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন না করায় আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রিমান্ডের সময় শেষের আগেই আসামিদের আদালতে উপস্থাপন, পুলিশ কর্মকর্তারা আসামি হলেও স্বপদে বহাল থাকা, নতুন করে কোনো আসামি গ্রেপ্তার না হওয়া, নতুন করে রিমান্ড না নেওয়ায় পিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবীরা। সেই সঙ্গে সঠিক বিচার না পাওয়ারও শংঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

কোর্ট পরিদর্শক পৃথিশ কুমার সরকার বলেন, রিমান্ড শেষে আবু সাঈদ হত্যা মামলার দুই আসামিকে আজ আদালতে তোলা হয়েছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আদালত সেই প্রতিবেদন দেখে আসামিদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন করেনি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান রায়হান বলেন, ‘আদালতে আসামিদের উপস্থাপনের দিনে এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চেয়েছিল। পিবিআই সেই সময় আদালতের কাছে তাদের পাঁচ দিন রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তদন্তকারী সংস্থা রিমান্ডের তৃতীয় দিনেই আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করেছে এবং বলেছে আসামিরা অসুস্থ। আদালতে আসামিরা কোনো স্বীকারোক্তি দেননি। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তে অবহেলা ও খামখেয়ালি করছেন। সেই সঙ্গে সঠিক বিচার নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলার আসামি সবাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মামলা ফাইলের দিনে বিজ্ঞ আদালত নির্দেশনা দিয়েছিল, মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পুলিশের সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এখনো স্বপদে বহাল থাকায় তারা মামলাকে প্রভাবিত করতে পারে। রবিবারের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা পুনরায় রিমান্ড না চাইলে আমরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তন চাইব।’

বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, ‘দুই আসামি যাদের নির্দেশে গুলি চালিয়েছে, তাদের পেছনে পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তা ছিল তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে বলেছে তারা রিমান্ডে আসামিদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখছেন। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে রিমান্ড চাইবেন।’

প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর পিবিআই দুই পুলিশ সদস্যের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।