London ০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। 

শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন তিনি।আসিফ লেখেন, বর্তমানে আমার কোনও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম যে রাজনৈতিক উদ্যোগের সাথে যুক্ত ছিলাম (ছাত্র অধিকার পরিষদ) পরে দলীয় লেজুড়বৃত্তিসহ আরও কিছু কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি থাকা অবস্থায় কমিটির সকল সদস্য গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পদত্যাগ করি।

আসিফ মাহমুদের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো:

একটা বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে আমার কোনও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম যে রাজনৈতিক উদ্যোগের সাথে যুক্ত ছিলাম (ছাত্র অধিকার পরিষদ) পরে দলীয় লেজুড়বৃত্তিসহ আরও কিছু কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি থাকা অবস্থায় কমিটির সকল সদস্য গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পদত্যাগ করি।

যদিও এসব বিষয় সামনে আনতে চাইনি তবে, অনেক জায়গায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় স্পষ্ট করার প্রয়োজন অনুভূত হলো। এখন জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে সংস্কার ও পুনর্গঠনই অন্যতম লক্ষ্য।

উল্লেখ, ২০২৪ সালের কোটাসংস্কার আন্দোলনে আসিফ সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষার্থীদের হত্যা ও বিনা বিচারে আন্দোলনকারীদের নির্যাতনের জন্য অতিমানবীয় ভূমিকা পালন করেন তিনি ও তার সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এছাড়াও তিনি-সহ ওই সংগঠনের আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলম, যারা সারাদেশে একযোগে অসহযোগ আন্দোলন এবং পরিশেষে লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি সফলভাবে ডাক দেন। যার ফলশ্রুতিতে ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়।

আসিফ ২০১৮ সালের কোটাসংস্কার আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। এরপরে ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে রাজনীতি শুরু করেন। ২০২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

পরবর্তীতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আসিফের নেতৃত্বে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি পদত্যাগ করে। ২০২৩ সালে ৪ অক্টোবর গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির সূচনার পর সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পান তিনি।

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এর উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ৯ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। একই সঙ্গে ২০২৪ সালের ১৬ আগস্ট তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৮:১৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৪৮
Translate »

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ

আপডেট : ০৮:১৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। 

শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন তিনি।আসিফ লেখেন, বর্তমানে আমার কোনও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম যে রাজনৈতিক উদ্যোগের সাথে যুক্ত ছিলাম (ছাত্র অধিকার পরিষদ) পরে দলীয় লেজুড়বৃত্তিসহ আরও কিছু কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি থাকা অবস্থায় কমিটির সকল সদস্য গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পদত্যাগ করি।

আসিফ মাহমুদের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো:

একটা বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে আমার কোনও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথম যে রাজনৈতিক উদ্যোগের সাথে যুক্ত ছিলাম (ছাত্র অধিকার পরিষদ) পরে দলীয় লেজুড়বৃত্তিসহ আরও কিছু কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি থাকা অবস্থায় কমিটির সকল সদস্য গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পদত্যাগ করি।

যদিও এসব বিষয় সামনে আনতে চাইনি তবে, অনেক জায়গায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় স্পষ্ট করার প্রয়োজন অনুভূত হলো। এখন জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে সংস্কার ও পুনর্গঠনই অন্যতম লক্ষ্য।

উল্লেখ, ২০২৪ সালের কোটাসংস্কার আন্দোলনে আসিফ সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষার্থীদের হত্যা ও বিনা বিচারে আন্দোলনকারীদের নির্যাতনের জন্য অতিমানবীয় ভূমিকা পালন করেন তিনি ও তার সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এছাড়াও তিনি-সহ ওই সংগঠনের আরও দুই গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলম, যারা সারাদেশে একযোগে অসহযোগ আন্দোলন এবং পরিশেষে লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি সফলভাবে ডাক দেন। যার ফলশ্রুতিতে ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়।

আসিফ ২০১৮ সালের কোটাসংস্কার আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন। এরপরে ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে রাজনীতি শুরু করেন। ২০২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রথম সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

পরবর্তীতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আসিফের নেতৃত্বে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি পদত্যাগ করে। ২০২৩ সালে ৪ অক্টোবর গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির সূচনার পর সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পান তিনি।

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এর উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ৯ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। একই সঙ্গে ২০২৪ সালের ১৬ আগস্ট তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পান।