London ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঝুমা তালুকদার ঢাকায় গ্রেপ্তার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিম (ভিপি) সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু ভূমি অধিগ্রহণের টাকা নয়ছয়ের মিথ্যা সংবাদে ক্ষোভ: সাবেক প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা কাপাসিয়ায় বন খেকোদের হামলায় তিন সাংবাদিক আহত, আটক ৩ প্রিপেইড মিটার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন দুর্গাপুরে মাদক কেনাবেচার সময় ২৮০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে ধরা দুই মাদক কারবারি জনগণের সর্বোচ্চ ভোটে হবিগঞ্জ-৪ বিএনপিকে উপহার দিতে চাই : সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল সিরাজগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে নগদ টাকা ও হেরোইনসহ এক নারী গ্রেফতার বাঘায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্য

মধ্য রাতে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

মো: গোলাম কিবরিয়া,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনের ফেসবুক পোস্টে হিজাব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করে ঐ শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান।

ঘটনার সূত্রপাত হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অধ্যাপক মামুনের একটি পোস্ট ভাইরাল হওয়াকে কেন্দ্র করে। ওই পোস্টে তিনি রাকসুর নির্বাচিত হিজাবি নারী শিক্ষার্থীদের ছবি যুক্ত করে লেখেন,

“এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও মদ হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়ার্টার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদপান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!”

পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে ওই শিক্ষকের মন্তব্যের নিন্দা জানান এবং তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

রাত ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে অংশ নেয় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী। শুরুতে ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করলেও কিছু সময় পর ছাত্রীদের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দেন- “মামুনের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে”, “মদখোরের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না”।

পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, অধ্যাপক মামুনের মন্তব্য নারীদের মর্যাদা ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে অবমাননা করেছে। তারা বলেন, “একজন শিক্ষক হিসেবে এমন বক্তব্য নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশকে কলুষিত করেছে।”

শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দ্রুত তদন্তের মুখোমুখি করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে, অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসন নীরব থাকলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করবে। কোন ভাবেই একজন শিক্ষকের, এ ধরনের বাজে মন্তব্য গ্রহন যোগ্য নয় ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
১৫
Translate »

মধ্য রাতে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

আপডেট : ০২:০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনের ফেসবুক পোস্টে হিজাব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল করে ঐ শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান।

ঘটনার সূত্রপাত হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অধ্যাপক মামুনের একটি পোস্ট ভাইরাল হওয়াকে কেন্দ্র করে। ওই পোস্টে তিনি রাকসুর নির্বাচিত হিজাবি নারী শিক্ষার্থীদের ছবি যুক্ত করে লেখেন,

“এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও মদ হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়ার্টার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদপান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!”

পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। রাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে ওই শিক্ষকের মন্তব্যের নিন্দা জানান এবং তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান।

রাত ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে অংশ নেয় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী। শুরুতে ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করলেও কিছু সময় পর ছাত্রীদের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দেন- “মামুনের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে”, “মদখোরের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না”।

পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, অধ্যাপক মামুনের মন্তব্য নারীদের মর্যাদা ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে অবমাননা করেছে। তারা বলেন, “একজন শিক্ষক হিসেবে এমন বক্তব্য নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশকে কলুষিত করেছে।”

শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দ্রুত তদন্তের মুখোমুখি করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে, অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসন নীরব থাকলে আন্দোলন আরও বিস্তৃত আকার ধারণ করবে। কোন ভাবেই একজন শিক্ষকের, এ ধরনের বাজে মন্তব্য গ্রহন যোগ্য নয় ।