London ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
চারঘাটে ডোবা থেকে যুবকের লা’শ উদ্ধার কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ কালিয়াকৈর উপজেলা সূত্রাপুর এলাকায় চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আগুনে পুড়ে ছাই কালিয়াকৈর ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারনে চরম ভোগান্তিতে দৈনন্দিন জনজীবন কালিয়া হরিপুরে নারীদের ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে তৃণমূল নারীদের জাগরণে ইব্রাহিম মোল্লা রাণীনগরে মৌসুমীর উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বিএনপির নতুন সদস্য সংহের ফরম বিতরন ও নবায়ন কমসুচি ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার সিরাজগঞ্জে চুরির মহামারি: সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি, নাগরিকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ কালিয়াকৈরে হাজী বাড়ী ফুটবল প্রিমিয়ার লীগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

কথা-কবিতা-গানে সোমেশ্বরী নদীর চরে শরৎ উৎসব উদযাপন

মামুন রণবীর, নেত্রকোনা

কথা-কবিতা-গানে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হলো শরৎ উৎসব ১৪৩২৷ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) উপজেলার শহীদ সন্তোষ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সোমেশ্বরী নদীর চরে জেগে ওঠা কাশবাগানে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি বিরিশিরি এর পরিচালক কবি পরাগ রিছিল। সংগঠনের সভাপতি পলাশ সাহার সভাপতিত্বে ও কবি মামুন রণবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি এম এ জিন্নাহ,আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল,কবি এনামূল হক পলাশ,সাংবাদিক পল্লব চক্রবর্তী,এডভোকেট মানেশ সাহা,কবি জীবন চক্রবর্তী, কবি জন ক্রসওয়েল খকসি,কবি দুনিয়া মামুন,সাংবাদিক দিলোয়ার হোসেন তালুকদার, কাজল মিয়া,টুকন সরকার,সায়মন খান,জাহাঙ্গীর আলম রিপন এবং উমর ফারুক।

এই উৎসবে অতিথিরা বলেন, শরৎ প্রকৃতিতে স্নিগ্ধ রূপ নিয়ে হাজির হয়। সোমেশ্বরী নদীর বিস্তীর্ণ চরে শুভ্র কাশফুলের দোলা,নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা,অদূরে গারো পাহাড় সবমিলিয়ে শরৎ এখানে অনেক বেশি নৈসর্গিক। ঋতু বৈচিত্র্যের এই বাংলাদেশে শরৎ আমাদের কাছে পরম আরাধ্য এক ঋতু। শরতের আবহ এই সোমেশ্বরীর চরে নান্দনিকভাবে ফুটে উঠেছে। শরৎ উৎসব আমাদের নাগরিক জীবনে এক ভিন্ন আমেজ ও আনন্দ যোগ করেছে। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের যে সম্পর্ক সেটি এখানেই ধরা দিয়েছে।

এই নাগরিক উৎসবে গান পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী আরজ আলী এবং বাউল পথিক লোকমান।

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, নাগরিক জীবনে একরাশ প্রশান্তি এনে দেয় শরৎ। যাপিত ব্যস্ততার ভীড়ে পরস্পর কিছু সুন্দর মুহূর্ত উদযাপনের উপলক্ষ্য এনে দেওয়া ও আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য লালন করেই এই শরৎ উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসব সকলের মগজে মননে এনে দিয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের বার্তা। বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
Translate »

কথা-কবিতা-গানে সোমেশ্বরী নদীর চরে শরৎ উৎসব উদযাপন

আপডেট : ০৩:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

কথা-কবিতা-গানে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হলো শরৎ উৎসব ১৪৩২৷ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) উপজেলার শহীদ সন্তোষ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সোমেশ্বরী নদীর চরে জেগে ওঠা কাশবাগানে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি বিরিশিরি এর পরিচালক কবি পরাগ রিছিল। সংগঠনের সভাপতি পলাশ সাহার সভাপতিত্বে ও কবি মামুন রণবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি এম এ জিন্নাহ,আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল,কবি এনামূল হক পলাশ,সাংবাদিক পল্লব চক্রবর্তী,এডভোকেট মানেশ সাহা,কবি জীবন চক্রবর্তী, কবি জন ক্রসওয়েল খকসি,কবি দুনিয়া মামুন,সাংবাদিক দিলোয়ার হোসেন তালুকদার, কাজল মিয়া,টুকন সরকার,সায়মন খান,জাহাঙ্গীর আলম রিপন এবং উমর ফারুক।

এই উৎসবে অতিথিরা বলেন, শরৎ প্রকৃতিতে স্নিগ্ধ রূপ নিয়ে হাজির হয়। সোমেশ্বরী নদীর বিস্তীর্ণ চরে শুভ্র কাশফুলের দোলা,নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা,অদূরে গারো পাহাড় সবমিলিয়ে শরৎ এখানে অনেক বেশি নৈসর্গিক। ঋতু বৈচিত্র্যের এই বাংলাদেশে শরৎ আমাদের কাছে পরম আরাধ্য এক ঋতু। শরতের আবহ এই সোমেশ্বরীর চরে নান্দনিকভাবে ফুটে উঠেছে। শরৎ উৎসব আমাদের নাগরিক জীবনে এক ভিন্ন আমেজ ও আনন্দ যোগ করেছে। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের যে সম্পর্ক সেটি এখানেই ধরা দিয়েছে।

এই নাগরিক উৎসবে গান পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী আরজ আলী এবং বাউল পথিক লোকমান।

অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, নাগরিক জীবনে একরাশ প্রশান্তি এনে দেয় শরৎ। যাপিত ব্যস্ততার ভীড়ে পরস্পর কিছু সুন্দর মুহূর্ত উদযাপনের উপলক্ষ্য এনে দেওয়া ও আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য লালন করেই এই শরৎ উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসব সকলের মগজে মননে এনে দিয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের বার্তা। বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।