London ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
মেডিকেল ক্যাম্প–রক্তদানে ব্যতিক্রমী আয়োজন, পালিত হলো প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গার ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিনব্যাপী সেবামূলক কার্যক্রমে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন ভাই আজাদসহ দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত রাজশাহীতে চলছে ট্রাফিক সপ্তাহ ২০২৫ কালিয়াকৈর ৫ নং ওয়ার্ড পৌর বি এন পির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা ও মতবিনিময় বিক্ষোভ সমাবেশে ক্ষোভের বিস্ফোরণ: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক রায়ের প্রতিবাদে লন্ডনে প্রবাসীদের গণজমায়েত রাজশাহীতে চলছে উদ্যোক্তা মেলা গাজীপুর-১ আসন কালিয়াকৈরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে নানিয়ারচর জোন (১৭ই বেংগল) এর উদ্যোগে বিনামূল্যে শীতবস্ত্র বিতরণ সিরাজগঞ্জ সততা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে নবনির্বাচিত পরিচালক হাজী মোঃ আব্দুস সাত্তারকে সংবর্ধনা

রেললাইনে পাথরের সঙ্গে ইটের খোয়া

মো: গোলাম কিবরিয়া,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগ টেন্ডার ও ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াই রাজশাহীর রেললাইনে পাথর ফেলেছে এমন অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া পাথরের সঙ্গে ইটের খোয়ারও দেখা মিলেছে কোথাও কোথাও। রাজশাহী থেকে আব্দুলপুর ৫০ কিলোমিটার লাইনে ফেলা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯০ ঘনমিটার বা ৪০ হাজার সিএফটি পাথর। এতে রেল চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রেলওয়ে সদর দপ্তর দাবি করেছে, তারা এ বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানত না। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, রেললাইনে শুধুমাত্র পাথর দেওয়া হয়। ইটের খোয়া দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রেলপথের বিভিন্ন স্থানে এসব পাথর ফেলা হয়। স্থানীয়রা জানান, নতুন পাথরগুলোর সঙ্গে ছিল মাটি ও ধুলো। বৃষ্টির পর ধুয়ে গেলে পাথরের মাঝে ইটের লাল খোয়া স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

রাজশাহীর নতুন বুধপাড়া থেকে হাজরাপুকুর পর্যন্ত রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে পুরো পথজুড়ে নয়, যেসব জায়গায় পাথরের ঘাটতি ছিল, কেবল সেসব স্থানে নতুন পাথর দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় এক বসবাসকারী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমরা রেললাইনের পাশে বসবাস করি। অনেক আগে রেললাইনে ইটের খোয়া দেওয়া ছিল। কমপক্ষে ২০ বছর আগে সেগুলো তুলে নতুন করে পাথর দেওয়া হয়েছে। সেইবার কাঠের স্লিপার পরিবর্তন করা হয়। এরপরে দেওয়া হয় লোহার স্লিপার। সেই থেকে ইটের খোয়া তুলে দেওয়া হয়। আর কখনও ইটের খোয়া দেয়া হয়নি রেললাইনে। কিছুদিন আগে পাথর ফেলে গেছে। সেই পাথরের সঙ্গে ইটের খোয়া রয়েছে। এছাড়া মাটিযুক্ত পাথর দেওয়া হয়েছে। পাথর ফেলার পরের দিন বৃষ্টির পানিতে ধূলা-মাটি ধুয়ে গেছে। এরপর থেকে ইটের খোয়াগুলো বেশি চোখে পড়ছে।

অন্য এক স্থানীয় বলেন, পাথরের অভাবে এখন স্লিপারগুলো খালি দেখা যায় ।

রেলওয়ে সদর দপ্তর দাবি করেছে, তারা এ বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানত না। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, রেললাইনে শুধুমাত্র পাথর দেওয়া হয়। ইটের খোয়া দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রেলপথের বিভিন্ন স্থানে এসব পাথর ফেলা হয়। স্থানীয়রা জানান, নতুন পাথরগুলোর সঙ্গে ছিল মাটি ও ধুলো। বৃষ্টির পর ধুয়ে গেলে পাথরের মাঝে ইটের লাল খোয়া স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

রাজশাহীর নতুন বুধপাড়া থেকে হাজরাপুকুর পর্যন্ত রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে পুরো পথজুড়ে নয়, যেসব জায়গায় পাথরের ঘাটতি ছিল, কেবল সেসব স্থানে নতুন পাথর দেওয়া হয়েছে।

অন্য এক স্থানীয় বলেন, পাথরের অভাবে এখন স্লিপারগুলো খালি দেখা যাচ্ছে। ট্রেনের সংখ্যা ও গতি দুটোই বেড়েছে। রেলপথ মেরামতে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত।

রেলওয়ের একাধিক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রেললাইনে শুধুমাত্র পরিষ্কার ও মানসম্মত পাথর ব্যবহার হয়। ইটের খোয়া ব্যবহার নিষেধ। আমরা ছোট কর্মচারী, তাই ঊর্ধ্বতনদের কিছু বলতে পারি না। তবে তারা রেললাইন পরিদর্শনে গেলে নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখেছেন।

রেলপথে ব্যবহৃত পাথরকে ব্যালাস্ট বলা হয়। স্লিপার ও রেললাইন স্থির রাখতে এবং ট্রেনের ভার সহনীয় করার জন্য এসব পাথর ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, ব্যালাস্ট পাথর গাছ-গাছালি গজাতে বাধা দেয় এবং বৃষ্টির পানি রোধ করে নিচের মাটি নরম হওয়া থেকে রক্ষা করে।

রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর হরিয়ান স্টেশন থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন পর্যন্ত পাথর ফেলা হয়। সেই সময় ওয়েম্যানরাও উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের নির্দেশনায় পাথর দেওয়া হয়। পাথরের মধ্যে ছিল লাল রঙের ইটের খোয়া, যা দূর থেকে স্পষ্ট দেখা যায়।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজশাহী থেকে কাঁকনহাট পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রেলপথে পাথর বিছানোসহ আরও কিছু উন্নয়নকাজে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল।

রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক) আহসান জাবিরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) ফরিদ আহমেদ বলেন, রেললাইনে ব্যালাস্ট পাথরের সঙ্গে অন্য কিছু মেশানোর কোনো সুযোগ নেই। কোথাও দায়িত্বে অবহেলা হয়ে থাকলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

সিডিআইআরের (সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ) রাজশাহী শাখার প্রধান পরামর্শক সুব্রত কুমার পাল বলেন, রেললাইনে ইট ব্যবহার করা সম্পূর্ণ অনিয়ম। ইট ক্ষয়যোগ্য, আর পাথর নয়। এতে যাত্রীদের ঝাঁকুনির মাত্রা বেড়ে যায় এবং অনেকে আতঙ্কিত বোধ করেন। এটি একটি দুর্নীতি। যারা এই কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে এমন ঘটনা বারবার ঘটবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
৬৫
Translate »

রেললাইনে পাথরের সঙ্গে ইটের খোয়া

আপডেট : ০২:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগ টেন্ডার ও ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াই রাজশাহীর রেললাইনে পাথর ফেলেছে এমন অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া পাথরের সঙ্গে ইটের খোয়ারও দেখা মিলেছে কোথাও কোথাও। রাজশাহী থেকে আব্দুলপুর ৫০ কিলোমিটার লাইনে ফেলা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৯০ ঘনমিটার বা ৪০ হাজার সিএফটি পাথর। এতে রেল চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

রেলওয়ে সদর দপ্তর দাবি করেছে, তারা এ বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানত না। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, রেললাইনে শুধুমাত্র পাথর দেওয়া হয়। ইটের খোয়া দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রেলপথের বিভিন্ন স্থানে এসব পাথর ফেলা হয়। স্থানীয়রা জানান, নতুন পাথরগুলোর সঙ্গে ছিল মাটি ও ধুলো। বৃষ্টির পর ধুয়ে গেলে পাথরের মাঝে ইটের লাল খোয়া স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

রাজশাহীর নতুন বুধপাড়া থেকে হাজরাপুকুর পর্যন্ত রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে পুরো পথজুড়ে নয়, যেসব জায়গায় পাথরের ঘাটতি ছিল, কেবল সেসব স্থানে নতুন পাথর দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় এক বসবাসকারী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমরা রেললাইনের পাশে বসবাস করি। অনেক আগে রেললাইনে ইটের খোয়া দেওয়া ছিল। কমপক্ষে ২০ বছর আগে সেগুলো তুলে নতুন করে পাথর দেওয়া হয়েছে। সেইবার কাঠের স্লিপার পরিবর্তন করা হয়। এরপরে দেওয়া হয় লোহার স্লিপার। সেই থেকে ইটের খোয়া তুলে দেওয়া হয়। আর কখনও ইটের খোয়া দেয়া হয়নি রেললাইনে। কিছুদিন আগে পাথর ফেলে গেছে। সেই পাথরের সঙ্গে ইটের খোয়া রয়েছে। এছাড়া মাটিযুক্ত পাথর দেওয়া হয়েছে। পাথর ফেলার পরের দিন বৃষ্টির পানিতে ধূলা-মাটি ধুয়ে গেছে। এরপর থেকে ইটের খোয়াগুলো বেশি চোখে পড়ছে।

অন্য এক স্থানীয় বলেন, পাথরের অভাবে এখন স্লিপারগুলো খালি দেখা যায় ।

রেলওয়ে সদর দপ্তর দাবি করেছে, তারা এ বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানত না। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, রেললাইনে শুধুমাত্র পাথর দেওয়া হয়। ইটের খোয়া দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রেলপথের বিভিন্ন স্থানে এসব পাথর ফেলা হয়। স্থানীয়রা জানান, নতুন পাথরগুলোর সঙ্গে ছিল মাটি ও ধুলো। বৃষ্টির পর ধুয়ে গেলে পাথরের মাঝে ইটের লাল খোয়া স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

রাজশাহীর নতুন বুধপাড়া থেকে হাজরাপুকুর পর্যন্ত রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে পুরো পথজুড়ে নয়, যেসব জায়গায় পাথরের ঘাটতি ছিল, কেবল সেসব স্থানে নতুন পাথর দেওয়া হয়েছে।

অন্য এক স্থানীয় বলেন, পাথরের অভাবে এখন স্লিপারগুলো খালি দেখা যাচ্ছে। ট্রেনের সংখ্যা ও গতি দুটোই বেড়েছে। রেলপথ মেরামতে আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত।

রেলওয়ের একাধিক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রেললাইনে শুধুমাত্র পরিষ্কার ও মানসম্মত পাথর ব্যবহার হয়। ইটের খোয়া ব্যবহার নিষেধ। আমরা ছোট কর্মচারী, তাই ঊর্ধ্বতনদের কিছু বলতে পারি না। তবে তারা রেললাইন পরিদর্শনে গেলে নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখেছেন।

রেলপথে ব্যবহৃত পাথরকে ব্যালাস্ট বলা হয়। স্লিপার ও রেললাইন স্থির রাখতে এবং ট্রেনের ভার সহনীয় করার জন্য এসব পাথর ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, ব্যালাস্ট পাথর গাছ-গাছালি গজাতে বাধা দেয় এবং বৃষ্টির পানি রোধ করে নিচের মাটি নরম হওয়া থেকে রক্ষা করে।

রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর হরিয়ান স্টেশন থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন পর্যন্ত পাথর ফেলা হয়। সেই সময় ওয়েম্যানরাও উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের নির্দেশনায় পাথর দেওয়া হয়। পাথরের মধ্যে ছিল লাল রঙের ইটের খোয়া, যা দূর থেকে স্পষ্ট দেখা যায়।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজশাহী থেকে কাঁকনহাট পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রেলপথে পাথর বিছানোসহ আরও কিছু উন্নয়নকাজে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল।

রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক) আহসান জাবিরের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) ফরিদ আহমেদ বলেন, রেললাইনে ব্যালাস্ট পাথরের সঙ্গে অন্য কিছু মেশানোর কোনো সুযোগ নেই। কোথাও দায়িত্বে অবহেলা হয়ে থাকলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

সিডিআইআরের (সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ) রাজশাহী শাখার প্রধান পরামর্শক সুব্রত কুমার পাল বলেন, রেললাইনে ইট ব্যবহার করা সম্পূর্ণ অনিয়ম। ইট ক্ষয়যোগ্য, আর পাথর নয়। এতে যাত্রীদের ঝাঁকুনির মাত্রা বেড়ে যায় এবং অনেকে আতঙ্কিত বোধ করেন। এটি একটি দুর্নীতি। যারা এই কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে এমন ঘটনা বারবার ঘটবে।