London ১১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
টাওয়ার হ্যামলেটসে ইউকিপ এর বিক্ষোভ নিষিদ্ধ: শনিবার হবে শান্তি মিছিল শান্তি সমাবেশে অংশ নিতে মেয়র লুৎফর রহমান ও ড. গ্লিন রবিনসের আহবান পটুয়াখালীতে শহীদ কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলায় তিন কিশোরের কারাদণ্ড নানিয়ারচর জোনের তত্ত্বাবধানে বাকছড়ি ও জাহানাতলীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ অনু‌ষ্ঠিত আনোয়ারা সাব রেজিস্ট্রার এর দুর্নীতির বিরুদ্ধে দলিল লিখক সমিতির লাগাতার কলম বিরতি পুঠিয়ায় সাংবাদিকে হত্যার হুমকি পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ ঢাকায় গ্রেফতার কালিয়াকৈর তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ছুটে চলেছেন ৫নং ওয়ার্ডের অঙ্গসংগঠনের সকল নেতা বৃন্দ নওগাঁর রাণীনগরে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত চারঘাটে ডোবা থেকে যুবকের লা’শ উদ্ধার কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ পটুয়াখালীর রোগীরা

মুহাম্মাদ রাকিব, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালী সদর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে প্রায় দুই শতাধিক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা।

সদর হাসপাতালে রিপ্রেজেন্টেটিভদের চাপে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন তাদের দেখাতে বাধ্য করায় এখন গলার কাঁটা বলে মনে করছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। প্রেসক্রিপশন দেখে নেওয়ায় রোগীদের গোপনীয়তা রক্ষা হচ্ছে না।এতে হাসপাতালে চিকিৎসার পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোসহ মোবাইল কোর্টের আওতায় চান সচেতনরা।

রবিবার জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে জোট বেঁধে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা সংখ্যায় কমপক্ষে ১৫-২০ জন। তাদের হাতে ও কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো আছে ব্রিফকেসের ভিতরে চিকিৎসকদের জন্য আনা নানা উপহার সামগ্রী।

ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ক্লিনিকের মালিক, চিকিৎসক এবং ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা ও উপহার সামগ্রী নিয়ে ডাক্তাররা নিম্নমানের এবং বিনা কারণে বাড়তি ওষুধ লিখে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কোনো রোগী ও তাদের স্বজনরা চিকিৎসকদের চেম্বার থেকে বের হতেই হাসপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিকে তাদের ঘিরে ধরে মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভরা। তাদের নানারকম প্রশ্নে রোগী ও স্বজনরা হন বিব্রত। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ জেলা সদরের হেভেন কেয়ার ক্লিনিক , পানামা ডায়গনেষ্টিক সেন্টার , প্রাইম ক্লিনিক, ডক্টর পয়েন্টস সহ বেশ কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র।

এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার তিন-চার জন পুরুষ ও মহিলা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, তারা শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। হাসপাতালের চিকিৎসকের ঘর থেকে ওষধ বিতরণ স্থানের গেটে বের হতেই বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির ১৫-২০জন প্রতিনিধি বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে রোগীদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে ছবি তুলে তাদের নানারকম প্রশ্ন করতে থাকে। এতে তারা বিব্রত হন এবং তাদের এখন গলার কাঁটা। পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের প্রধান গেট ও টিকিট ক্রয় কেন্দ্র থেকে অটো গাড়িতে উঠা পর্যন্ত এবং বিভিন্ন ক্লিনিক তারা ৩-৪টি গ্রুপের নানা ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ করেন।

সাংবাদিকের পরিচয় গোপন রেখে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের পুরাতন টিকিট ক্রয় কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওষুধ কোম্পানির ১৫-২০ জন মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভের সকাল ১১টায় ছবি তুলতে লাগলে এবং নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। শীর্ঘই এ অবস্থা থেকে রেহাই চান পটুয়াখালীর রোগীসহ তাদের স্বজনরা ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
৮২
Translate »

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ পটুয়াখালীর রোগীরা

আপডেট : ০৪:২৭:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

পটুয়াখালী সদর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে প্রায় দুই শতাধিক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রোগী ও স্বজনরা।

সদর হাসপাতালে রিপ্রেজেন্টেটিভদের চাপে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন তাদের দেখাতে বাধ্য করায় এখন গলার কাঁটা বলে মনে করছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। প্রেসক্রিপশন দেখে নেওয়ায় রোগীদের গোপনীয়তা রক্ষা হচ্ছে না।এতে হাসপাতালে চিকিৎসার পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোসহ মোবাইল কোর্টের আওতায় চান সচেতনরা।

রবিবার জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে জোট বেঁধে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা সংখ্যায় কমপক্ষে ১৫-২০ জন। তাদের হাতে ও কাঁধে ব্যাগ ঝোলানো আছে ব্রিফকেসের ভিতরে চিকিৎসকদের জন্য আনা নানা উপহার সামগ্রী।

ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ক্লিনিকের মালিক, চিকিৎসক এবং ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা ও উপহার সামগ্রী নিয়ে ডাক্তাররা নিম্নমানের এবং বিনা কারণে বাড়তি ওষুধ লিখে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। কোনো রোগী ও তাদের স্বজনরা চিকিৎসকদের চেম্বার থেকে বের হতেই হাসপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিকে তাদের ঘিরে ধরে মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভরা। তাদের নানারকম প্রশ্নে রোগী ও স্বজনরা হন বিব্রত। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালসহ জেলা সদরের হেভেন কেয়ার ক্লিনিক , পানামা ডায়গনেষ্টিক সেন্টার , প্রাইম ক্লিনিক, ডক্টর পয়েন্টস সহ বেশ কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র।

এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার তিন-চার জন পুরুষ ও মহিলা নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, তারা শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। হাসপাতালের চিকিৎসকের ঘর থেকে ওষধ বিতরণ স্থানের গেটে বের হতেই বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির ১৫-২০জন প্রতিনিধি বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে রোগীদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে ছবি তুলে তাদের নানারকম প্রশ্ন করতে থাকে। এতে তারা বিব্রত হন এবং তাদের এখন গলার কাঁটা। পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের প্রধান গেট ও টিকিট ক্রয় কেন্দ্র থেকে অটো গাড়িতে উঠা পর্যন্ত এবং বিভিন্ন ক্লিনিক তারা ৩-৪টি গ্রুপের নানা ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ করেন।

সাংবাদিকের পরিচয় গোপন রেখে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের পুরাতন টিকিট ক্রয় কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওষুধ কোম্পানির ১৫-২০ জন মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভের সকাল ১১টায় ছবি তুলতে লাগলে এবং নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। শীর্ঘই এ অবস্থা থেকে রেহাই চান পটুয়াখালীর রোগীসহ তাদের স্বজনরা ।