London ১১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায় আরো ৪৬ জন বিনামূল্যে পাচ্ছেন চোখের চিকিৎসা কালিয়াকৈরে ট্রাক ও কভারভ্যান সংঘর্ষে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কভারভ্যান পুকুরে পড়ে যায় দুই মাথা নিয়ে জন্ম হলো শিশুর পটুয়াখালীতে আপন ভাইদের দাপটে ১০ বছর বাড়িছাড়া, আদালত প্রাঙ্গন থেকে গুম ও হত্যাচেষ্টা হাটিকুমরুলে ট্রানজিট মিক্সচার উল্টে চালকের মৃত্যু রাণীনগরে মৌসুমী সমৃদ্ধির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি রাজশাহীতে চলছে বিভাগীয় বৃক্ষমেলা বাগমারায় সাব্বির ক্লিনিক এ অতিরিক্ত বিল নেয়ার অভিযোগ পটুয়াখালীতে একদিনে মিলল পাঁচ লাশ বরগুনাতে চাঁদা না দেয়ায় জেলেকে কুপিয়ে জখম, হাসপাতালে এসে হত্যার হুমকি।

রাজশাহীতে চলছে বিভাগীয় বৃক্ষমেলা

মো: গোলাম কিবরিয়া,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক জনাব শামীম আহম্মেদ এর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জনাব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জনাব বিজয় বসাক, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জনাব নরেশ চাকমা ও বগুড়া অঞ্চলের বন বিভাগের সামাজিক বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।

শুরুতে সুধিবৃন্দের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে “গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে ধারন করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বক্তব্য প্রদান করে রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব মো: রফিকুজ্জামান শাহ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্রকে সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য। তাই বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নেই। বৃক্ষ থেকে আমরা জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন গ্রহন করে থাকি আর আমাদের ত্যাগকৃত কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃক্ষ গ্রহন করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই বেশী করে বৃক্ষ রোপনের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বেশী করে ফলদ বৃক্ষ রোপন করতে হবে, কারণ ফলদ বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। ঠিক তেমনি খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পুরন করে, আসবাবপত্র ও গৃহনির্মান সামগ্রী তৈরীতে অবদান রাখতে পারে। তিনি ফলদ বৃক্ষের পাশাপাশি বনজ ও ঔষধী বৃক্ষ রোপনের জন্য প্রত্যেককে অন্তত ৩ টি করে বৃক্ষের চারা সংগ্রহ করে রোপন করার অনুরোধ জানান।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, দেশী ফলে বেশী পুষ্টি গুন বিবেচনায় বেশী করে বিলুপ্ত প্রায় দেশী ফল গাছের চারা লাগানো ও নার্সারী মালিকদের চারা উৎপাদনের জন্য স্টল স্থাপনকারি নার্সারী মালিকদের অনুরোধ জানান।

২০ দিন ব্যাপী মেলায় সামাজিক বন বিভাগ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারীসহ ৬২ টি স্টল অংশ গ্রহন করে। আলোচনা শেষে উপকারভোগী ও ভুমি মালিক সংস্থার মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ ও মেলার ষ্টল পরিদর্শন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বন বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারী ছাড়াও আটশতাধিক কৃষক/ কিষাণী উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
Translate »

রাজশাহীতে চলছে বিভাগীয় বৃক্ষমেলা

আপডেট : ০৩:৩৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক জনাব শামীম আহম্মেদ এর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জনাব ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জনাব বিজয় বসাক, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জনাব নরেশ চাকমা ও বগুড়া অঞ্চলের বন বিভাগের সামাজিক বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।

শুরুতে সুধিবৃন্দের শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে “গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে ধারন করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বক্তব্য প্রদান করে রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জনাব মো: রফিকুজ্জামান শাহ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্রকে সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য। তাই বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নেই। বৃক্ষ থেকে আমরা জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন গ্রহন করে থাকি আর আমাদের ত্যাগকৃত কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃক্ষ গ্রহন করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই বেশী করে বৃক্ষ রোপনের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, বেশী করে ফলদ বৃক্ষ রোপন করতে হবে, কারণ ফলদ বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। ঠিক তেমনি খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পুরন করে, আসবাবপত্র ও গৃহনির্মান সামগ্রী তৈরীতে অবদান রাখতে পারে। তিনি ফলদ বৃক্ষের পাশাপাশি বনজ ও ঔষধী বৃক্ষ রোপনের জন্য প্রত্যেককে অন্তত ৩ টি করে বৃক্ষের চারা সংগ্রহ করে রোপন করার অনুরোধ জানান।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, দেশী ফলে বেশী পুষ্টি গুন বিবেচনায় বেশী করে বিলুপ্ত প্রায় দেশী ফল গাছের চারা লাগানো ও নার্সারী মালিকদের চারা উৎপাদনের জন্য স্টল স্থাপনকারি নার্সারী মালিকদের অনুরোধ জানান।

২০ দিন ব্যাপী মেলায় সামাজিক বন বিভাগ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারীসহ ৬২ টি স্টল অংশ গ্রহন করে। আলোচনা শেষে উপকারভোগী ও ভুমি মালিক সংস্থার মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ ও মেলার ষ্টল পরিদর্শন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বন বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারী ছাড়াও আটশতাধিক কৃষক/ কিষাণী উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।