বিমান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রাইসা মনির মৃত দেহর খোজ মিললো সিএমএইচয়ে

ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের উপর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ থাকা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার শিশু শিক্ষার্থী রাইসা মনিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ১২ মিনিটে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ৯ বছর বয়সী শিশু রাইসা মনি, যিনি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিধ্বস্তের পর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। অবশেষে আজ (মঙ্গলবার) ২২ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে জানানো হয়, দুর্ঘটনাস্থল থেকে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া কিছু শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং পরিবারের সদস্যরা সেখান থেকে রাইসা মনির মরা দেহ শনাক্ত করেছেন।
নিহত রাইসা ঢাকার মিরপুর এলাকায় তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত। তার পিত্রালয় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাজড়া গ্রামে।
রাইসার চাচাতো ভাই তারিকুল শেখ বলেন, “দুর্ঘটনার পর থেকেই আমরা রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে খোঁজ করছি। অবশেষে সিএমএইচে এসে হৃদয়বিদারকভাবে জানতে পারি, আমাদের রাইসা আর নেই। পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যখন শনাক্ত করি, তখন আর কিছুই বলার ছিল না। সে পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছিল।”
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান দিয়াবাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনের ওপর পড়ে যায়। তাতে ভবনের একটি অংশ ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়।
গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে আতঙ্কিত মানুষের ভিড়, ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধার তৎপরতা, এবং ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পুড়ে যাওয়া অংশবিশেষ।
দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এরইমধ্যে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।