London ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
পটুয়াখালীতে নিরাপত্তা জোরদারে ডিআইজি’র আকস্মিক থানা পরিদর্শন রাজশাহীতে পুরোহিতকে মারধর মেডিকেল ক্যাম্প–রক্তদানে ব্যতিক্রমী আয়োজন, পালিত হলো প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গার ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী দিনব্যাপী সেবামূলক কার্যক্রমে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন ভাই আজাদসহ দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত রাজশাহীতে চলছে ট্রাফিক সপ্তাহ ২০২৫ কালিয়াকৈর ৫ নং ওয়ার্ড পৌর বি এন পির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা ও মতবিনিময় বিক্ষোভ সমাবেশে ক্ষোভের বিস্ফোরণ: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক রায়ের প্রতিবাদে লন্ডনে প্রবাসীদের গণজমায়েত রাজশাহীতে চলছে উদ্যোক্তা মেলা গাজীপুর-১ আসন কালিয়াকৈরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর

সুন্দরগঞ্জের ধর্মপুর কলেজে উপাধ্যক্ষ ও দুই প্রভাষক নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। কলেজটির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ও ফলাফল ভালো। এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানরা এখানে লেখাপড়া করে থাকে। কিন্তু বর্তমান কর্তৃপক্ষ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি পরিপন্থী উপাধ্যক্ষ পদে এহেতেশামুুল হক ডাকুয়াকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ভোটের মাধ্যমে গভর্নিং বডিতে তিনজন অভিভাবক সদস্য ও তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার কথা। কিন্তু কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ভূয়া কাগজ দেখিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিটির অনুমোদন নেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ এ প্রতিবেদককে জানান, ইতোমধ্যে সমাজ বিজ্ঞানের মো. রুহুল আজম মামুন ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহিম নামে দুইজন প্রভাষক (তৃতীয় শিক্ষক) এমপিওভূক্ত হয়েছে। এই দুই শিক্ষককে ছাত্রছাত্রী ও কলেজ সংশ্লিষ্ট কেউ চেনেন না। কিন্তু তারা নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। এনটিআরসি’র মাধ্যমে নিয়োগের বিধান থাকলেও কিভাবে তারা এমপিওভূক্ত হয়েছে তা নিয়ে সুধীমহলে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ছয়মাস পূর্বেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় ওই দুই শিক্ষকের স্বাক্ষর করতে দেখা যায়নি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক সহকারী অধ্যাপক পদে ‘তিনবছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা’ থাকলে তিনি উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করতে পারবেন। তবে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেয়ার সময় সহকারী অধ্যাপকের পদ থেকে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ আইনের তোয়াক্কা না করে গোপনে নিজস্ব প্রার্থী দিয়ে আবেদন করে গত ৪ জুলাই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির যোগসাজসে কলেজ প্রাঙ্গণে নিয়োগ পরীক্ষা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এহেতেশামুুল হক ডাকুয়া গভর্নিং বডির সভাপতির আপন জ্যাঠাতো ভাই হওয়ায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।

এ বিষয়ে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম মুকুল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দাবি জানিয়েছেন।
নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি সভাপতির নির্দেশ পালন করেছি মাত্র।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আজাহারুল ইসলাম জানান, কলেজের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। গভর্নিং বডির সভাপতি আসাদু-দৌলা ডাকুয়া জানান, আমি এত কিছু বুঝি না, সদস্য সচিব ভালো বোঝেন, ওনার কাছ থেকে বিষয়গুলো জেনে নেবেন।
এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
১০৯
Translate »

সুন্দরগঞ্জের ধর্মপুর কলেজে উপাধ্যক্ষ ও দুই প্রভাষক নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ

আপডেট : ০৩:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। কলেজটির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ও ফলাফল ভালো। এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানরা এখানে লেখাপড়া করে থাকে। কিন্তু বর্তমান কর্তৃপক্ষ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি পরিপন্থী উপাধ্যক্ষ পদে এহেতেশামুুল হক ডাকুয়াকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ভোটের মাধ্যমে গভর্নিং বডিতে তিনজন অভিভাবক সদস্য ও তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার কথা। কিন্তু কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ভূয়া কাগজ দেখিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিটির অনুমোদন নেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ এ প্রতিবেদককে জানান, ইতোমধ্যে সমাজ বিজ্ঞানের মো. রুহুল আজম মামুন ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহিম নামে দুইজন প্রভাষক (তৃতীয় শিক্ষক) এমপিওভূক্ত হয়েছে। এই দুই শিক্ষককে ছাত্রছাত্রী ও কলেজ সংশ্লিষ্ট কেউ চেনেন না। কিন্তু তারা নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। এনটিআরসি’র মাধ্যমে নিয়োগের বিধান থাকলেও কিভাবে তারা এমপিওভূক্ত হয়েছে তা নিয়ে সুধীমহলে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি ছয়মাস পূর্বেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় ওই দুই শিক্ষকের স্বাক্ষর করতে দেখা যায়নি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক সহকারী অধ্যাপক পদে ‘তিনবছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা’ থাকলে তিনি উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করতে পারবেন। তবে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নেয়ার সময় সহকারী অধ্যাপকের পদ থেকে তাকে পদত্যাগ করতে হবে। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ আইনের তোয়াক্কা না করে গোপনে নিজস্ব প্রার্থী দিয়ে আবেদন করে গত ৪ জুলাই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির যোগসাজসে কলেজ প্রাঙ্গণে নিয়োগ পরীক্ষা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এহেতেশামুুল হক ডাকুয়া গভর্নিং বডির সভাপতির আপন জ্যাঠাতো ভাই হওয়ায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।

এ বিষয়ে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাহারুল ইসলাম মুকুল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে দাবি জানিয়েছেন।
নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি সভাপতির নির্দেশ পালন করেছি মাত্র।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আজাহারুল ইসলাম জানান, কলেজের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। গভর্নিং বডির সভাপতি আসাদু-দৌলা ডাকুয়া জানান, আমি এত কিছু বুঝি না, সদস্য সচিব ভালো বোঝেন, ওনার কাছ থেকে বিষয়গুলো জেনে নেবেন।
এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।