London ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
আত্রাইয়ে জমি দখলের চেষ্টার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ফেসবুক লাইভে তীব্র প্রতিবাদ ফেনী সমিতি ইঊকের নাম,লোগো,রেজিষ্টেশন নাম্বার ব্যবহার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। ‘বড় মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে অনুপ্রেরণা যোগাবে কায়সার কামালের অভিনন্দন বার্তা’ এনসিপির উপর ছাত্রলীগের হামলা অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই আন্দোলনে শহীদ ছাদের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদ গাইবান্ধায় বৃষ্টিতে ভিজে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ কালিয়াকৈরে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় প্রজন্মের দ্বৈরথে জমজমাট ফুটবল ম্যাচ সিলেট সদর ইউনাইটেড ইউকের ব্যতিক্রমী আয়োজন ড্যাগেনহামে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচারের প্রতিবাদে রাজধানীর “আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ” সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজশাহীতে অভিনব কৌশলে হিরোইন পাচার

WHO দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে

ডেস্ক রিপোর্ট
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের (SEARO) বিতর্কিত আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে যাচ্ছেন। এর চার মাস আগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুটি মামলা করে।
WHO মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস এক সংক্ষিপ্ত অভ্যন্তরীণ ইমেইলে জানান, শুক্রবার থেকে সায়মা ওয়াজেদ ছুটিতে যাচ্ছেন এবং তার অনুপস্থিতিতে WHO-এর সহকারী মহাপরিচালক ড. ক্যাথারিনা বোমে “অফিসার ইন চার্জ” হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ড. টেড্রোস আরও জানান, ড. বোমে আগামী মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, নয়াদিল্লির SEARO অফিসে যোগ দেবেন।
সায়মা ওয়াজেদ, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা, যিনি গত আগস্টে দেশে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে দেশ ছেড়ে যান, তার WHO আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার প্রচেষ্টার সময় থেকেই এই অভিযোগগুলোর সূত্রপাত।
সায়মা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অফিসে যোগ দেন, তবে তার প্রচারণা শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল। অভিযোগ রয়েছে, তার প্রভাবশালী মা শেখ হাসিনা কন্যার নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়েছেন।
দুদক জানুয়ারিতে তদন্ত শুরু করে, যা আগে Health Policy Watch-এ রিপোর্ট করা হয়েছিল।
সরকারি অভিযোগপত্র অনুযায়ী, সায়মা তার আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার প্রচারণার সময় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারা (প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি) এবং ৪৭১ ধারা (জাল নথি উপস্থাপন)-এর লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের আরও অভিযোগ, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একটি সম্মানসূচক ভূমিকার উল্লেখ করে ভুলভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেন, যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে। এই ভূমিকাটি তিনি WHO পদ পেতে ব্যবহার করেন।
এই অভিযোগগুলো উপস্থাপন করেন দুদকের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম।
সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি তার প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে শুচনা ফাউন্ডেশন—যার তিনি আগে প্রধান ছিলেন—এর জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেন।তবে মামলার অভিযোগপত্রে এ অর্থ কীভাবে ব্যয় করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ নেই। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে: দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা ও সম্পত্তি আত্মসাত), এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা।
এই অভিযোগগুলো আনা হওয়ার পর থেকে সায়মা ওয়াজেদ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে স্বাধীনভাবে ভ্রমণ করতে পারছেন না, কারণ তিনি বাংলাদেশে গ্রেপ্তারের মুখে রয়েছেন।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৪৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
১৭
Translate »

WHO দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে

আপডেট : ০৩:৪৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের (SEARO) বিতর্কিত আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ শুক্রবার (১১ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে যাচ্ছেন। এর চার মাস আগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুটি মামলা করে।
WHO মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস এক সংক্ষিপ্ত অভ্যন্তরীণ ইমেইলে জানান, শুক্রবার থেকে সায়মা ওয়াজেদ ছুটিতে যাচ্ছেন এবং তার অনুপস্থিতিতে WHO-এর সহকারী মহাপরিচালক ড. ক্যাথারিনা বোমে “অফিসার ইন চার্জ” হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ড. টেড্রোস আরও জানান, ড. বোমে আগামী মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, নয়াদিল্লির SEARO অফিসে যোগ দেবেন।
সায়মা ওয়াজেদ, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা, যিনি গত আগস্টে দেশে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে দেশ ছেড়ে যান, তার WHO আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার প্রচেষ্টার সময় থেকেই এই অভিযোগগুলোর সূত্রপাত।
সায়মা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অফিসে যোগ দেন, তবে তার প্রচারণা শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল। অভিযোগ রয়েছে, তার প্রভাবশালী মা শেখ হাসিনা কন্যার নির্বাচনে প্রভাব খাটিয়েছেন।
দুদক জানুয়ারিতে তদন্ত শুরু করে, যা আগে Health Policy Watch-এ রিপোর্ট করা হয়েছিল।
সরকারি অভিযোগপত্র অনুযায়ী, সায়মা তার আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার প্রচারণার সময় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারা (প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি) এবং ৪৭১ ধারা (জাল নথি উপস্থাপন)-এর লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের আরও অভিযোগ, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একটি সম্মানসূচক ভূমিকার উল্লেখ করে ভুলভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেন, যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে। এই ভূমিকাটি তিনি WHO পদ পেতে ব্যবহার করেন।
এই অভিযোগগুলো উপস্থাপন করেন দুদকের উপপরিচালক আখতারুল ইসলাম।
সায়মা ওয়াজেদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি তার প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে শুচনা ফাউন্ডেশন—যার তিনি আগে প্রধান ছিলেন—এর জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেন।তবে মামলার অভিযোগপত্রে এ অর্থ কীভাবে ব্যয় করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ নেই। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে: দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা (প্রতারণা ও সম্পত্তি আত্মসাত), এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা।
এই অভিযোগগুলো আনা হওয়ার পর থেকে সায়মা ওয়াজেদ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে স্বাধীনভাবে ভ্রমণ করতে পারছেন না, কারণ তিনি বাংলাদেশে গ্রেপ্তারের মুখে রয়েছেন।