London ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় প্রাণ ফিরেছে পোশাক কারখানায়

আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা কেটে স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরতে শুরু করেছে। বুধবার বিজিএমইএর সিদ্ধান্তের পর সকাল থেকে অধিকাংশ কারখানা খোলা হয়েছে। শ্রমিকরাও শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে আজও ১৪টি কারখানা বন্ধ (অনির্দিষ্টকালের জন্য) ও ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

কারখানা ও শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, বিজিএমইএর দাবি মেনে নিয়ে আজ থেকে সকল কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সকালে অধিকাংশ কারখানা খোলার পর শ্রমিকরা নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়ে কাজে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত আশুলিয়ার কোথাও কোনো বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। একটি কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশের পর কর্মবিরতী পালন করেছে। অন্যদিকে আজও বন্ধ রয়েছে ১৪টি কারখানা।এদিকে জিরাবো এলাকার অনন্ত, নরসিংহপুর এলাকার জেনারেশন ও জামগড়ার ডেকো গার্মেন্টসসহ ৫টি কারখানায় আর্থিক সমস্যা ও অভ‍্যন্তরীন বিষয় নিয়ে কর্মবিরতী পালন করলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে নরসিংহপুর এলাকার নিট এশিয়া কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। তারা কারখানার মালিকের কাছ থেকে দাবির বিষয়ে সরাসরি আশ্বস্ত হওয়া দাবি জানিয়ে এই বিক্ষোভ পালন করেন।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল আলম মিন্টু বলেন, আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকরা কাজে ফিরেছে। ৪/৫ টি কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই ও বকেয়া বেতন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও গতকাল বিজিএমইএতে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে ওইসব কারখানার শ্রমিকদের মধ‍্যে বিষয়গুলো সুন্দরভাবে অবহিত করার পাশাপাশি দ্রুত আলোচনা করে সমাধান করার দাবি জানান তিনি। এছাড়াও বন্ধ থাকা কারখানাগুলো চালুর করার দাবি জানান।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, গতকাল শ্রমিকদের ১৮ দাবি মেনে নেওয়ার পর আজ সকাল থেকে অধিকাংশ কারখানা খোলা হয়েছে। তবে ১৪টি কারখানায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে ও ৫টি কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা কর্মবিরতী করলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও যে কোন অপ্রিতীকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১০:২১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫৩
Translate »

আশুলিয়ায় প্রাণ ফিরেছে পোশাক কারখানায়

আপডেট : ১০:২১:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা কেটে স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরতে শুরু করেছে। বুধবার বিজিএমইএর সিদ্ধান্তের পর সকাল থেকে অধিকাংশ কারখানা খোলা হয়েছে। শ্রমিকরাও শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে আজও ১৪টি কারখানা বন্ধ (অনির্দিষ্টকালের জন্য) ও ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

কারখানা ও শিল্প পুলিশ সূত্র জানায়, বিজিএমইএর দাবি মেনে নিয়ে আজ থেকে সকল কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সকালে অধিকাংশ কারখানা খোলার পর শ্রমিকরা নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়ে কাজে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত আশুলিয়ার কোথাও কোনো বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। একটি কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশের পর কর্মবিরতী পালন করেছে। অন্যদিকে আজও বন্ধ রয়েছে ১৪টি কারখানা।এদিকে জিরাবো এলাকার অনন্ত, নরসিংহপুর এলাকার জেনারেশন ও জামগড়ার ডেকো গার্মেন্টসসহ ৫টি কারখানায় আর্থিক সমস্যা ও অভ‍্যন্তরীন বিষয় নিয়ে কর্মবিরতী পালন করলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে নরসিংহপুর এলাকার নিট এশিয়া কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। তারা কারখানার মালিকের কাছ থেকে দাবির বিষয়ে সরাসরি আশ্বস্ত হওয়া দাবি জানিয়ে এই বিক্ষোভ পালন করেন।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল আলম মিন্টু বলেন, আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকরা কাজে ফিরেছে। ৪/৫ টি কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই ও বকেয়া বেতন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও গতকাল বিজিএমইএতে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে ওইসব কারখানার শ্রমিকদের মধ‍্যে বিষয়গুলো সুন্দরভাবে অবহিত করার পাশাপাশি দ্রুত আলোচনা করে সমাধান করার দাবি জানান তিনি। এছাড়াও বন্ধ থাকা কারখানাগুলো চালুর করার দাবি জানান।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, গতকাল শ্রমিকদের ১৮ দাবি মেনে নেওয়ার পর আজ সকাল থেকে অধিকাংশ কারখানা খোলা হয়েছে। তবে ১৪টি কারখানায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে ও ৫টি কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা কর্মবিরতী করলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও যে কোন অপ্রিতীকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।