পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক রিকশা চালককে চড়-থাপ্পর মারার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগকারী রিকশাচালকের নাম আব্দুল মমিন খন্দকার। তিনি পৌর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাবিব খন্দকারের পুত্র।
বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইউএনওর বিরুদ্ধে মমিন খন্দকারের একটি ভিডিও বক্তব্য ভাইরাল হলে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মমিন খন্দকার। তিনি বলেন, “সাংবাদিক সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে ইউএনওর খারাপ আচরণের প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে যখন মিছিল ও মানববন্ধন হয়, তখন আমি কয়েকজন সাংবাদিক ভাইকে আমার ঘটনার কথা বলি। এপ্রিল মাসের ২৫ বা ২৬ তারিখ রাত ১১টার দিকে আমি রিকশা নিয়ে উপজেলা পরিষদের প্রধান গেটের সামনে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তখন গেটটি ভিতর থেকে বন্ধ ছিল।”
“সেসময় ইউএনওর সঙ্গে অস্ত্রধারী দুইজন আনসার সদস্য ছিল। গেট খুলে তারা বের হবেন মনে হচ্ছিল। আমাকে গেটের সামনে দেখে ইউএনও আনসার সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘ওকে ধরে ভিতরে নিয়ে আয়।’ এরপর আনসার সদস্যরা আমাকে ধরে মসজিদের ঘাটলার সামনে নিয়ে যায়। ইউএনও তখন বলেন, ‘তুই গেটের সামনে কী করিস?’ আমি বলি, ‘যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এতে কি কোনো দোষ হয়েছে?’
“এই কথা বলার পরপরই একজন আনসার সদস্য আমাকে চড় মারেন। এরপর ইউএনও নিজে আমার গালে চারটি চড়-থাপ্পর মারেন। পরে আনসার সদস্যরা আমাকে ধরে ইউএনওর বাসভবনের সামনে নিয়ে যান। আমাকে বলেন, ইউএনওর পা ধরে মাফ চাইতে। আমি বলি, ‘আমি তো কোনো অপরাধ করিনি।’ এ সময় ইউএনওর গাড়িচালক ইব্রাহিম ভাই এসে বলেন, ‘স্যার, ও মমিন, রিকশা চালায়, ভালো ছেলে।’ এরপর তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।”
এ বিষয়ে ইউএনও মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।” এর আগে তিনি একজন সাংবাদিককে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেন।