London ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নির্যাতন নিপীড়ন সত্ত্বেও রাজপথে অবিচল তৃণমূলের আস্থার প্রতীক-মির্জা মোস্তফা জামান সিরাজগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে প্রস্তুতি সভা সলঙ্গায় পানিতে ডুবে ৪ বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু গোবিন্দগঞ্জে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা থ্রী হুইলার উল্টে নিহত ১ : আহত ১ বসুন্ধরা শুভসংঘের শেরপুর জেলা কমিটি গঠন : সভাপতি মিনহাজ, সম্পাদক শামীম লন্ডনে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বারের লন্ডন রিজিওনাল কমিটির অভিষেক রাইসা মনি”র, কবর জিয়ারত করতে জামায়াত ইসলামির ড.ইলিয়াস মোল্লা কাঁকনহাটে কৃষকদের বিক্ষোভ ইউটিউব বদলে দিল ভাগ্য: ভিডিও বানিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় করছেন বদলগাছীর তানভীর রায়হান মাইলস্টোন ট্র‍্যাজেডিতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দুর্গাপুরে দোয়া মাহফিল

বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

মো: গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

পত্রিকা খুললেই দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট কিশোর ছেলে হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসী ।বিভিন্ন দেশী অস্ত্রশস্ত্র সহ পুলিশের কাছে ধরা পড়ছে । কি কারনে একটা কিশোর হয়ে উঠছে সন্ত্রাসী ??পরিবারের পিতামাতা কি কখনো খেয়াল রাখেন না, তার সন্তান কোথায় যায় ??কি করে ??? যে ছেলে পড়াশোনা করার কথা লেখাপড়া করে সমাজের দেশের মুখ উজ্জ্বল করার কথা , সেখানে সেই কিশোর হয়ে উঠছে সন্ত্রাসী । ১০-১২ জন ছোট ছোট কিশোর গড়ে তুলছে কিশোর গ্রুপ। বিভিন্ন রকম অপকর্মের সাথে তারা জড়িয়ে যাচ্ছে ষ এই সামান্য বয়সী কিশোর নেশা করা থেকে শুরু করে , চুরি ছিনতাই থেকে শুরু করে , নানান ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা ।

 

অভিভাবকদেরও অনেকটা ব্যস্ততার কারণে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটানো ও সঙ্গ দেওয়ার সময় নেই কিংবা কেউ কেউ প্রয়োজনও বোধ করছে না। এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি হচ্ছে। গ্রুপের ভালো-মন্দ বোঝার মতো ক্ষমতা কিশোরদের মধ্যে নাও থাকতে পারে। উঠতি বয়সের কিশোরদের মধ্যে এক ধরনের উন্মাদনা কাজ করে। তারা অন্য কারো দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। কোনো প্রকার ভৌত অবকাঠামো ছাড়াই তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে এক জায়গায় একত্র হয়ে অপরাধমূলক কাজের পরিকল্পনা, খুন ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ তারা করছে।

 

সমাজে যখন আমরা ভালো-মন্দ উভয় দিক খেয়াল করি, তখন খারাপ গ্রুপকে ভালো করার কাজটি আমাদেরই করতে হবে। এমন সব কাজ করতে হবে, যেখানে খারাপ হওয়ার সুযোগ তৈরি না হয়। কিশোরদের মাঝে বড় বিষয় হলো অল্প বয়স ও পরিপক্বতার অভাব, যার কারণে কোনটি সঠিক আর কোনটি সঠিক নয়, তা বুঝতে না পারা। ফলে অনেক সময়ই গ্যাং কালচারকে বড় বিষয় মনে হয়। শারীরিক পরিবর্তন এবং এর সঙ্গে মানসিক অবস্থার পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিবার ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ তাদের সংঘবদ্ধ হতে এবং গ্রুপ গঠন করতে সহায়তা করে। তাই আজ কে থেকেই শুরু করেন, আপনার আদরের ছোট সন্তানের খোজ, খবর নেয়া । আপনার সন্তান কোথায় যায় ??কাদের সাথে মিশছে?? কি করে ?? গোপনে কোন মাদকদ্রব্য গ্রহন করে কিনা ??আপনার সন্তান কি ঠিক মত স্কুল বা কলেজে যাচ্ছে কি ?? আপনি শত ব্যস্ততার মধ্যেও সন্তানের জন্য সময় দিন। আপনার এই সন্তান একদিন বড় হয়ে, আপনার পরিবারের, সমাজের, দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে , সেই লক্ষ্য নিয়ে সন্তান কে পরিচালিত করুন ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫
৭৬
Translate »

বেপরোয়া কিশোর গ্যাং

আপডেট : ১১:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

পত্রিকা খুললেই দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট কিশোর ছেলে হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসী ।বিভিন্ন দেশী অস্ত্রশস্ত্র সহ পুলিশের কাছে ধরা পড়ছে । কি কারনে একটা কিশোর হয়ে উঠছে সন্ত্রাসী ??পরিবারের পিতামাতা কি কখনো খেয়াল রাখেন না, তার সন্তান কোথায় যায় ??কি করে ??? যে ছেলে পড়াশোনা করার কথা লেখাপড়া করে সমাজের দেশের মুখ উজ্জ্বল করার কথা , সেখানে সেই কিশোর হয়ে উঠছে সন্ত্রাসী । ১০-১২ জন ছোট ছোট কিশোর গড়ে তুলছে কিশোর গ্রুপ। বিভিন্ন রকম অপকর্মের সাথে তারা জড়িয়ে যাচ্ছে ষ এই সামান্য বয়সী কিশোর নেশা করা থেকে শুরু করে , চুরি ছিনতাই থেকে শুরু করে , নানান ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা ।

 

অভিভাবকদেরও অনেকটা ব্যস্ততার কারণে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটানো ও সঙ্গ দেওয়ার সময় নেই কিংবা কেউ কেউ প্রয়োজনও বোধ করছে না। এখন প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি হচ্ছে। গ্রুপের ভালো-মন্দ বোঝার মতো ক্ষমতা কিশোরদের মধ্যে নাও থাকতে পারে। উঠতি বয়সের কিশোরদের মধ্যে এক ধরনের উন্মাদনা কাজ করে। তারা অন্য কারো দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। কোনো প্রকার ভৌত অবকাঠামো ছাড়াই তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে এক জায়গায় একত্র হয়ে অপরাধমূলক কাজের পরিকল্পনা, খুন ও হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ তারা করছে।

 

সমাজে যখন আমরা ভালো-মন্দ উভয় দিক খেয়াল করি, তখন খারাপ গ্রুপকে ভালো করার কাজটি আমাদেরই করতে হবে। এমন সব কাজ করতে হবে, যেখানে খারাপ হওয়ার সুযোগ তৈরি না হয়। কিশোরদের মাঝে বড় বিষয় হলো অল্প বয়স ও পরিপক্বতার অভাব, যার কারণে কোনটি সঠিক আর কোনটি সঠিক নয়, তা বুঝতে না পারা। ফলে অনেক সময়ই গ্যাং কালচারকে বড় বিষয় মনে হয়। শারীরিক পরিবর্তন এবং এর সঙ্গে মানসিক অবস্থার পরিবর্তনের পাশাপাশি পরিবার ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ তাদের সংঘবদ্ধ হতে এবং গ্রুপ গঠন করতে সহায়তা করে। তাই আজ কে থেকেই শুরু করেন, আপনার আদরের ছোট সন্তানের খোজ, খবর নেয়া । আপনার সন্তান কোথায় যায় ??কাদের সাথে মিশছে?? কি করে ?? গোপনে কোন মাদকদ্রব্য গ্রহন করে কিনা ??আপনার সন্তান কি ঠিক মত স্কুল বা কলেজে যাচ্ছে কি ?? আপনি শত ব্যস্ততার মধ্যেও সন্তানের জন্য সময় দিন। আপনার এই সন্তান একদিন বড় হয়ে, আপনার পরিবারের, সমাজের, দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে , সেই লক্ষ্য নিয়ে সন্তান কে পরিচালিত করুন ।