London ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৫ বছর ও ৬৯৪ ম্যাচ পর ক্যারিয়ারে প্রথম শিরোপা

অনলাইন ডেস্ক:

২০১০ সাল থেকে ক্যারিয়ার শুরু। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু ২০১৫ সাল থেকে। ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে ১৫ বছরের ক্যারিয়ার। সব মিলিয়ে খেলেছেন ৬৯৪টি ম্যাচ। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ারে নামের পাশে একটিও শিরোপা নেই।

অবশেষে সেই ‘শাপমুক্তি’ হলো হ্যারি কেইনের। আগে ৬বার শিরোপার কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিবার তীরে গিয়ে তরি ডুবত। কাপও ঠোঁটের দূরত্বতে থেকেই যাচ্ছিল। বারবার হতাশা নিয়ে ফিরতে ফিরতে এক সময় হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন, জীবনে আর কোনো শিরোপা হাতে ওঠার সম্ভাবনা নেই।

অবশেষে ১৫ বছরের কেরিয়ারের শেষ মুহূর্তে এসে হাসলেন। ট্রফি উঠল হ্যারি কেইনের হাতে। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জার্মান বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতলেন কেইন। ৬৯৪তম ম্যাচ পর এই প্রথম ট্রফিজয়ের স্বাদ পেলেন ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক।

রোববার রাতে বায়ার লেভারকুসেন ড্র করার সঙ্গে সঙ্গে যখন বায়ার্নের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেলো, তখন খালি ব্যাকগ্রাউন্ড রেখে ট্রফি ইমোজি দিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেন কেইন। এর একটু পর একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। যেখানে দেখা যায় সতীর্থদের সঙ্গে তিনি গাইছেন ‘উই আর চ্যাম্পিয়ন’।

শনিবার আরবি লেইপজিগের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র হয় বায়ার্ন মিউনিখের। জিতলে ওই ম্যাচেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেতো ভাবারিয়ানদের। কিন্তু অপেক্ষায় থাকতে হলো ড্র করে।

তবে পরের ম্যাচে মাঠে নামার আগেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত হয়ে গেলো বায়ার্নের। রোববার রাতে ফ্রেইবার্গের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার লেভারকুসেন। বায়ারের ড্র’য়ের ফলে বুন্দেসলিগার পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে বায়ার্ন। ৩২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭৬।

গতবারের চ্যাম্পিয়ন লেভারকুসেনের পয়েন্ট ৩২ ম্যাচে ৬৮। তাদের থেকে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে বায়ার্ন। বাকি আর দুই ম্যাচ। অর্থাৎ, কোনোভাবেই বায়ার্নের কাছে পৌঁছাতে পারবে না লেভারকুসেন। সে কারণে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন হ্যারি কেইনরা।

২০১০ সাল থেকে সিনিয়র ফুটবল শুরু করেন কেইন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি খেলেছেন টটেনহ্যাম হটস্পারে। সেখানে ৩১৭ ম্যাচে ২১৩ গোল করলেও কোনও দিন কোনো লিগ বা টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি তিনি। তার অধিনায়কত্বে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ও ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল খেলেছে। ইউরোর শেষ দুই আসরেই ফাইনাল খেলেছে ইংলিশরা। কিন্তু একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।

ইংল্যান্ডের হয়ে ১০৫ ম্যাচে ৭১ গোল করেছেন কেন। কিন্তু কখনো ট্রফির স্বাদ পাননি। অবশেষে তা পেলেন। মূলত ট্রফির জন্য টটেনহ্যাম ছেড়ে ২০২৩ সালে জার্মানির ক্লাবে যোগ দেন কেন। তার সেই সিদ্ধান্ত যে সঠিক, প্রমাণিত হল।

বায়ার্নকে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল কেইনের। লিগে সবচেয়ে বেশি ২৪টি গোল করেছেন তিনি। বায়ার্নের হয়ে দুই মৌসুমে ৬১ ম্যাচ খেলে ৬০ গোল করেছেন এই ইংলিশ ফুটবলার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:৫৩:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
Translate »

১৫ বছর ও ৬৯৪ ম্যাচ পর ক্যারিয়ারে প্রথম শিরোপা

আপডেট : ১১:৫৩:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

২০১০ সাল থেকে ক্যারিয়ার শুরু। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু ২০১৫ সাল থেকে। ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল মিলিয়ে ১৫ বছরের ক্যারিয়ার। সব মিলিয়ে খেলেছেন ৬৯৪টি ম্যাচ। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ারে নামের পাশে একটিও শিরোপা নেই।

অবশেষে সেই ‘শাপমুক্তি’ হলো হ্যারি কেইনের। আগে ৬বার শিরোপার কাছাকাছি পৌঁছেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিবার তীরে গিয়ে তরি ডুবত। কাপও ঠোঁটের দূরত্বতে থেকেই যাচ্ছিল। বারবার হতাশা নিয়ে ফিরতে ফিরতে এক সময় হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন, জীবনে আর কোনো শিরোপা হাতে ওঠার সম্ভাবনা নেই।

অবশেষে ১৫ বছরের কেরিয়ারের শেষ মুহূর্তে এসে হাসলেন। ট্রফি উঠল হ্যারি কেইনের হাতে। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জার্মান বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতলেন কেইন। ৬৯৪তম ম্যাচ পর এই প্রথম ট্রফিজয়ের স্বাদ পেলেন ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক।

রোববার রাতে বায়ার লেভারকুসেন ড্র করার সঙ্গে সঙ্গে যখন বায়ার্নের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেলো, তখন খালি ব্যাকগ্রাউন্ড রেখে ট্রফি ইমোজি দিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেন কেইন। এর একটু পর একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। যেখানে দেখা যায় সতীর্থদের সঙ্গে তিনি গাইছেন ‘উই আর চ্যাম্পিয়ন’।

শনিবার আরবি লেইপজিগের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র হয় বায়ার্ন মিউনিখের। জিতলে ওই ম্যাচেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেতো ভাবারিয়ানদের। কিন্তু অপেক্ষায় থাকতে হলো ড্র করে।

তবে পরের ম্যাচে মাঠে নামার আগেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত হয়ে গেলো বায়ার্নের। রোববার রাতে ফ্রেইবার্গের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার লেভারকুসেন। বায়ারের ড্র’য়ের ফলে বুন্দেসলিগার পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে বায়ার্ন। ৩২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭৬।

গতবারের চ্যাম্পিয়ন লেভারকুসেনের পয়েন্ট ৩২ ম্যাচে ৬৮। তাদের থেকে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে বায়ার্ন। বাকি আর দুই ম্যাচ। অর্থাৎ, কোনোভাবেই বায়ার্নের কাছে পৌঁছাতে পারবে না লেভারকুসেন। সে কারণে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন হ্যারি কেইনরা।

২০১০ সাল থেকে সিনিয়র ফুটবল শুরু করেন কেইন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি খেলেছেন টটেনহ্যাম হটস্পারে। সেখানে ৩১৭ ম্যাচে ২১৩ গোল করলেও কোনও দিন কোনো লিগ বা টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি তিনি। তার অধিনায়কত্বে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ও ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ভাল খেলেছে। ইউরোর শেষ দুই আসরেই ফাইনাল খেলেছে ইংলিশরা। কিন্তু একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।

ইংল্যান্ডের হয়ে ১০৫ ম্যাচে ৭১ গোল করেছেন কেন। কিন্তু কখনো ট্রফির স্বাদ পাননি। অবশেষে তা পেলেন। মূলত ট্রফির জন্য টটেনহ্যাম ছেড়ে ২০২৩ সালে জার্মানির ক্লাবে যোগ দেন কেন। তার সেই সিদ্ধান্ত যে সঠিক, প্রমাণিত হল।

বায়ার্নকে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল কেইনের। লিগে সবচেয়ে বেশি ২৪টি গোল করেছেন তিনি। বায়ার্নের হয়ে দুই মৌসুমে ৬১ ম্যাচ খেলে ৬০ গোল করেছেন এই ইংলিশ ফুটবলার।