London ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক, সামরিক হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিলেন মোদি বরিশালে বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ৮ এনসিপির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা জানালেন উমামা ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারির সিদ্ধান্ত বিশ্বরেকর্ড গড়া বৈভবের জন্য বড় পুরস্কার ঘোষণা হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হচ্ছেন নুসরাত-অপু-নিপুণ-ভাবনা-জায়েদ খানরা দীপ্ত টিভির সংবাদ কার্যক্রম সরকার বন্ধ করেনি: তথ্য উপদেষ্টা কালিয়াকৈরে উপজেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ও গ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ২টি কারখানাকে জরিমান ফাইনাল হেরে দর্শকের দিকে তেড়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ অভিনেতা সিদ্দিককে পিটুনি, মামলা থাকলে গ্রেফতার: পুলিশ

এশিয়ার নবম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক:

এশিয়ার মধ্যে নবম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হলো বাংলাদেশ। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারের ভিত্তিতে এই হিসাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশের জিডিপির আকার এখন ৪৫০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৪৫ হাজার ৫০ কোটি ডলার। এটি ২০২৪ সালের হিসাবের ভিত্তিতে করা হয়।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সম্প্রতি এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, যা ২০২৫ বেসিক স্ট্যাটিসটিকস নামে পরিচিত। সেখানে বাংলাদেশের এই চিত্র পাওয়া গেছে। ৪৬টি দেশের জিডিপির আকারের হিসাব দিয়েছে এডিবি। তবে সেই তালিকায় জাপান নেই।

এডিবির পরিসংখ্যান অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ায় এখন ভারতের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি সবচেয়ে বড়। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।

জিডিপি কী
একটি দেশের অভ্যন্তরে পণ্য ও সেবা উৎপাদন করতে গিয়ে যে পরিমাণ অর্থের মূল্য সংযোজন করে, তা জিডিপি দিয়ে প্রকাশ করা হয়। উদাহরণ হলো, তৈরি পোশাক বানাতে কাঁচামাল আমদানি বা উৎপাদন পর্যায় থেকে শুরু করে পণ্যটি বানানোর পর ক্রেতার হাতে পৌঁছাতে প্রতিটি ধাপে যত অর্থ মূল্য সংযোজন হচ্ছে, তা–ই জিডিপিতে যুক্ত হয়। এভাবেই সব পণ্য ও সেবা জিডিপিতে যুক্ত হচ্ছে।

কৃষি, শিল্প ও সেবা
এই তিন উপখাত দিয়ে জিডিপি গণনা করা হয়। তবে দেশের বাইরের আয়, যেমন প্রবাসী আয় জিডিপিতে যুক্ত হয় না। জিডিপির সঙ্গে প্রবাসী আয় যুক্ত হলে তা মোট জাতীয় আয় (জিএনআই) হয়। জিএনআই–কে দেশের জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে মাথাপিছু আয় বের করা হয়, জিডিপি দিয়ে নয়।

চীন শীর্ষে, দ্বিতীয় ভারত
এডিবির পরিসংখ্যান অনুসারে, অর্থনীতির আকারের দিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে চীন, ভারত, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইপে, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন।

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীন। চীনের জিডিপির আকার ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতের জিডিপির আকার ৩ লাখ ৯১ হাজার ১৪০ কোটি ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা কোরিয়ার জিডিপি হলো ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারের।

এ ছাড়া বাংলাদেশের ওপর থাকা অন্য দেশগুলোর জিডিপির আকার হলো, ইন্দোনেশিয়া ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার, তাইপে ৭৯ হাজার ৫৯০ কোটি ডলার; থাইল্যান্ড ৫৪ হাজার ৫০ কোটি ডলার, ভিয়েতনাম ৪৭ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার ও ফিলিপাইন ৪৬ হাজার ১৪০ কোটি ডলার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
Translate »

এশিয়ার নবম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ

আপডেট : ১১:১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

এশিয়ার মধ্যে নবম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হলো বাংলাদেশ। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকারের ভিত্তিতে এই হিসাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশের জিডিপির আকার এখন ৪৫০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বা ৪৫ হাজার ৫০ কোটি ডলার। এটি ২০২৪ সালের হিসাবের ভিত্তিতে করা হয়।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সম্প্রতি এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, যা ২০২৫ বেসিক স্ট্যাটিসটিকস নামে পরিচিত। সেখানে বাংলাদেশের এই চিত্র পাওয়া গেছে। ৪৬টি দেশের জিডিপির আকারের হিসাব দিয়েছে এডিবি। তবে সেই তালিকায় জাপান নেই।

এডিবির পরিসংখ্যান অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ায় এখন ভারতের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি সবচেয়ে বড়। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।

জিডিপি কী
একটি দেশের অভ্যন্তরে পণ্য ও সেবা উৎপাদন করতে গিয়ে যে পরিমাণ অর্থের মূল্য সংযোজন করে, তা জিডিপি দিয়ে প্রকাশ করা হয়। উদাহরণ হলো, তৈরি পোশাক বানাতে কাঁচামাল আমদানি বা উৎপাদন পর্যায় থেকে শুরু করে পণ্যটি বানানোর পর ক্রেতার হাতে পৌঁছাতে প্রতিটি ধাপে যত অর্থ মূল্য সংযোজন হচ্ছে, তা–ই জিডিপিতে যুক্ত হয়। এভাবেই সব পণ্য ও সেবা জিডিপিতে যুক্ত হচ্ছে।

কৃষি, শিল্প ও সেবা
এই তিন উপখাত দিয়ে জিডিপি গণনা করা হয়। তবে দেশের বাইরের আয়, যেমন প্রবাসী আয় জিডিপিতে যুক্ত হয় না। জিডিপির সঙ্গে প্রবাসী আয় যুক্ত হলে তা মোট জাতীয় আয় (জিএনআই) হয়। জিএনআই–কে দেশের জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে মাথাপিছু আয় বের করা হয়, জিডিপি দিয়ে নয়।

চীন শীর্ষে, দ্বিতীয় ভারত
এডিবির পরিসংখ্যান অনুসারে, অর্থনীতির আকারের দিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে চীন, ভারত, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তাইপে, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন।

এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ চীন। চীনের জিডিপির আকার ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতের জিডিপির আকার ৩ লাখ ৯১ হাজার ১৪০ কোটি ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা কোরিয়ার জিডিপি হলো ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারের।

এ ছাড়া বাংলাদেশের ওপর থাকা অন্য দেশগুলোর জিডিপির আকার হলো, ইন্দোনেশিয়া ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার, তাইপে ৭৯ হাজার ৫৯০ কোটি ডলার; থাইল্যান্ড ৫৪ হাজার ৫০ কোটি ডলার, ভিয়েতনাম ৪৭ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার ও ফিলিপাইন ৪৬ হাজার ১৪০ কোটি ডলার।