London ১১:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর এখন নতুন পোপ নির্বাচন করা হবে যেভাবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি এই সপ্তাহেই, আশা ট্রাম্পের প্রেমে ব্যর্থ হয়ে যেভাবে পোপ হয়েছিলেন ফ্রান্সিস ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি গ্রেফতার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিলো শ্রম সংস্কার কমিশন আলফাডাঙ্গায় আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। টিউলিপ বাংলাদেশি এনআইডি ও পাসপোর্টধারী, রয়েছে টিআইএনও ‘ছাত্রদল বাংলা সিনেমার শাবানা না’ বাণিজ্য যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে চাওয়া দেশগুলোর প্রতি পাল্টা ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি চীনের নতুন চুক্তিতে কত টাকা বেতন পাবেন রোহিত-কোহলিরা

আলফাডাঙ্গায় আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।

অনলাইন ডেস্ক:

 

ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আজ সোমবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে আকস্মিকভাবে একটি ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। মাত্র তিন মিনিটের এই ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে, বিশেষ করে ঘরবাড়ি ও বিদ্যুৎ লাইনে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ঝড়টি হঠাৎ করেই শুরু হয় এবং প্রচণ্ড বেগে বইতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে বহু ঘরবাড়ির চালা উড়ে যায়, গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং বিদ্যুৎ খুঁটি ভেঙে পড়ে যায়। এতে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ফরিদপুর , আলফাডাঙ্গার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) সোহানুর রহমান জানান, “ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের অনেক খুঁটি ভেঙে পড়েছে এবং বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে।”

ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার কুসুমদী, মিঠাপুর, শ্রীরামপুরসহ আশপাশের একাধিক গ্রামে। এসব এলাকায় বহু বাড়িঘর আংশিক কিংবা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গবাদি পশু, খামার ও ফসলের জমিতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাসেল ইকবাল, বলেন “আমরা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং স্থানীয় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক মহোদয়কে পাঠানো হয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত সহায়তা পৌঁছানোর আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নে সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:৪২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
Translate »

আলফাডাঙ্গায় আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন।

আপডেট : ১১:৪২:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

 

ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলায় আজ সোমবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে আকস্মিকভাবে একটি ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। মাত্র তিন মিনিটের এই ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে, বিশেষ করে ঘরবাড়ি ও বিদ্যুৎ লাইনে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ঝড়টি হঠাৎ করেই শুরু হয় এবং প্রচণ্ড বেগে বইতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে বহু ঘরবাড়ির চালা উড়ে যায়, গাছপালা উপড়ে পড়ে এবং বিদ্যুৎ খুঁটি ভেঙে পড়ে যায়। এতে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ফরিদপুর , আলফাডাঙ্গার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) সোহানুর রহমান জানান, “ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের অনেক খুঁটি ভেঙে পড়েছে এবং বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে।”

ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার কুসুমদী, মিঠাপুর, শ্রীরামপুরসহ আশপাশের একাধিক গ্রামে। এসব এলাকায় বহু বাড়িঘর আংশিক কিংবা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গবাদি পশু, খামার ও ফসলের জমিতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাসেল ইকবাল, বলেন “আমরা ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং স্থানীয় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক মহোদয়কে পাঠানো হয়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত সহায়তা পৌঁছানোর আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নে সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।