London ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ওয়াকফ আইন নিয়ে উত্তপ্ত ভারত সংখ্যালঘু মুসলিমদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে নিহত ৬৪ ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ১০ সদস্য নিহত যুক্তরাষ্ট্রে গণহারে ভারতীয় ছাত্রদের ভিসা বাতিল, আছে বাংলাদেশিরাও আখাউড়া প্রিন্ট ও টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি -,মিশু, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ কৃষকদের পাশে উপজেলা প্রশাসন: ধান কাটা ও লিচু চাষে সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা বার্সেলোনায় না ফেরার কারণ ও ইয়ামালের প্রশংসায় যা বললেন মেসি কসবায় হজ ও উমরাহ প্রশিক্ষণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত টঙ্গীতে ভাই-বোনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না

কসবায় দৈনিক কালবেলা সাংবাদিকের ওপর হামলা, মোবাইল ও ক্যামেরা ভাঙচুরের অভিযোগ

মোঃ বিল্লাল সরকার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।

 

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় এক সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা তার মোবাইল ও ক্যামেরা ভাঙচুর করে বলেও জানা গেছে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায়, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারের নিজাম মার্কেট সংলগ্ন একটি খালি জায়গায়। আক্রান্ত সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদ দৈনিক কালবেলা পত্রিকার কসবা উপজেলা প্রতিনিধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি। তিনি উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের মৃত মুর্শিদ খানের পুত্র।

লিয়াকত মাসুদের অভিযোগ, তিনি পেশাগত কাজে ঘটনাস্থলে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালানো হয়। অভিযুক্তরা হলেন—গোপীনাথপুর মাস্টার পাড়া খাবার মোড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে দ্বীন ইসলাম, হাজী আব্দুল ছাত্তারের ছেলে জহির খান সর্দার, হোসেন মিয়া এবং তাদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং গলা থেকে সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। এমনকি হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন লিয়াকত মাসুদ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দাবাদ গ্রামের নুরুল্লা ভূইয়া বলেন, “আমি পারিবারিক একটি অভিযোগ নিয়ে দ্বীন ইসলামের ডাকে গোপীনাথপুরে যাই। সেখানে দ্বীন ইসলাম আমার আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত দ্বীন ইসলাম ফোনে কালবেলাকে বলেন, “আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে ঠিক, তবে মোবাইল বা ক্যামেরা ভাঙচুরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি এবং পরে মিটিংয়ে সব মিমাংসা হয়েছে।”

এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল কাদের জানান, “সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:৫৮:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
১৭
Translate »

কসবায় দৈনিক কালবেলা সাংবাদিকের ওপর হামলা, মোবাইল ও ক্যামেরা ভাঙচুরের অভিযোগ

আপডেট : ১১:৫৮:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় এক সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা তার মোবাইল ও ক্যামেরা ভাঙচুর করে বলেও জানা গেছে। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার (১৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায়, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারের নিজাম মার্কেট সংলগ্ন একটি খালি জায়গায়। আক্রান্ত সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদ দৈনিক কালবেলা পত্রিকার কসবা উপজেলা প্রতিনিধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি। তিনি উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের মৃত মুর্শিদ খানের পুত্র।

লিয়াকত মাসুদের অভিযোগ, তিনি পেশাগত কাজে ঘটনাস্থলে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালানো হয়। অভিযুক্তরা হলেন—গোপীনাথপুর মাস্টার পাড়া খাবার মোড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে দ্বীন ইসলাম, হাজী আব্দুল ছাত্তারের ছেলে জহির খান সর্দার, হোসেন মিয়া এবং তাদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজন।

ভুক্তভোগীর অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং গলা থেকে সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। এমনকি হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন লিয়াকত মাসুদ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দাবাদ গ্রামের নুরুল্লা ভূইয়া বলেন, “আমি পারিবারিক একটি অভিযোগ নিয়ে দ্বীন ইসলামের ডাকে গোপীনাথপুরে যাই। সেখানে দ্বীন ইসলাম আমার আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং একপর্যায়ে সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত দ্বীন ইসলাম ফোনে কালবেলাকে বলেন, “আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে ঠিক, তবে মোবাইল বা ক্যামেরা ভাঙচুরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি এবং পরে মিটিংয়ে সব মিমাংসা হয়েছে।”

এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল কাদের জানান, “সাংবাদিক লিয়াকত মাসুদ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।