London ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ওয়াকফ আইন নিয়ে উত্তপ্ত ভারত সংখ্যালঘু মুসলিমদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে নিহত ৬৪ ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ১০ সদস্য নিহত যুক্তরাষ্ট্রে গণহারে ভারতীয় ছাত্রদের ভিসা বাতিল, আছে বাংলাদেশিরাও আখাউড়া প্রিন্ট ও টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি -,মিশু, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ কৃষকদের পাশে উপজেলা প্রশাসন: ধান কাটা ও লিচু চাষে সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা বার্সেলোনায় না ফেরার কারণ ও ইয়ামালের প্রশংসায় যা বললেন মেসি কসবায় হজ ও উমরাহ প্রশিক্ষণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত টঙ্গীতে ভাই-বোনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না

ব্যাংকিং খাতে পাঁচ লাখ কোটি টাকা আত্মসাত হয়েছে: গভর্নর

অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশে ব্যাংকিং খাত মানি লন্ডারিংয়ের বড় ভিকটিম। বড় বড় কিছু গ্রুপ ও পরিবার অর্থ পাচার করে দেশের বাইরে নিয়ে গেছে। এর পরিমাণ আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা।

সবমিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে প্রায় পাঁচ লাখ কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের বড় একটি গ্রুপ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে।

‘অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও সমসাময়িক ব্যাংকিং ইস্যু’ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এসব তথ্য তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পাবেন। কয়েকটি দেশে পাচারের অর্থে কেনা সম্পদ জব্দ করার চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে যেন আর অর্থ চুরি ও পাচার না হয়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।

গভর্নর বলেন, ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লুটপাটে জড়িত থাকার সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে তা আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঢাকার পর চট্টগ্রাম বড় ইউনিট উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের একটি বড় জায়গা আছে। তাই এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের মূল দায়িত্ব সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভারসাম্য নিয়ে আসা। শেয়ারবাজার ও রিজার্ভ স্থিতিশীল আছে। আমরা স্বস্তির জায়গায় চলে এসেছি। রপ্তানি বাড়ছে। মূল্যস্ফিতি এখন সহনীয়। কোনো সংকট আছে বলে মনে করি না। বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত এলএনজি আমদানি হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফ্যাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম কার্যালয়ের  পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন প্রমুখ। উপস্থাপনায় ছিলেন উপ-পরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:৪১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
Translate »

ব্যাংকিং খাতে পাঁচ লাখ কোটি টাকা আত্মসাত হয়েছে: গভর্নর

আপডেট : ০২:৪১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশে ব্যাংকিং খাত মানি লন্ডারিংয়ের বড় ভিকটিম। বড় বড় কিছু গ্রুপ ও পরিবার অর্থ পাচার করে দেশের বাইরে নিয়ে গেছে। এর পরিমাণ আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা।

সবমিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে প্রায় পাঁচ লাখ কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের বড় একটি গ্রুপ প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে।

‘অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও সমসাময়িক ব্যাংকিং ইস্যু’ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রামের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এসব তথ্য তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখতে পাবেন। কয়েকটি দেশে পাচারের অর্থে কেনা সম্পদ জব্দ করার চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে যেন আর অর্থ চুরি ও পাচার না হয়, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।

গভর্নর বলেন, ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লুটপাটে জড়িত থাকার সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে তা আমলে নেওয়ার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঢাকার পর চট্টগ্রাম বড় ইউনিট উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের একটি বড় জায়গা আছে। তাই এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের মূল দায়িত্ব সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভারসাম্য নিয়ে আসা। শেয়ারবাজার ও রিজার্ভ স্থিতিশীল আছে। আমরা স্বস্তির জায়গায় চলে এসেছি। রপ্তানি বাড়ছে। মূল্যস্ফিতি এখন সহনীয়। কোনো সংকট আছে বলে মনে করি না। বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত এলএনজি আমদানি হচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফ্যাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম কার্যালয়ের  পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন প্রমুখ। উপস্থাপনায় ছিলেন উপ-পরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।