London ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ওয়াকফ আইন নিয়ে উত্তপ্ত ভারত সংখ্যালঘু মুসলিমদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে নিহত ৬৪ ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ১০ সদস্য নিহত যুক্তরাষ্ট্রে গণহারে ভারতীয় ছাত্রদের ভিসা বাতিল, আছে বাংলাদেশিরাও আখাউড়া প্রিন্ট ও টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি -,মিশু, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ কৃষকদের পাশে উপজেলা প্রশাসন: ধান কাটা ও লিচু চাষে সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা বার্সেলোনায় না ফেরার কারণ ও ইয়ামালের প্রশংসায় যা বললেন মেসি কসবায় হজ ও উমরাহ প্রশিক্ষণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত টঙ্গীতে ভাই-বোনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না

মেসি ম্যাজিক চলছেই

অনলাইন ডেস্ক:

ম্যাচের শুরুতেই অ্যারন লং যখন গোল করলেন, ইন্টার মায়ামি তখন খাদের কিনারায়। প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া দলের সামনে তখন দুই গোল ফিরিয়ে দেওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ। লিওনেল মেসি নামের জাদুকর আছে যে দলে, তাদের জন্য অসম্ভব বলে তো কিছু নেই! ৩৭ বছর বয়সেও সেরা সময়ের ছবি মেলে ধরে সেই চ্যালেঞ্জ জিতেই ইন্টার মায়ামিকে সেমি-ফাইনালে তুললেনে আর্জেন্টাইন মহানায়ক।

কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লস অ্যাঞ্জেলস এফসিকে ৩-১ গোলে হারাল ইন্টার মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের অগ্রগামিতায় মেসির দল পৌঁছে গেল শেষ চারে।

জোড়া গোল করে সেই জয়ের নায়ক মেসি। পিছিয়ে থাকা দলের আশা ফেরে তার গোলে, পরে জয়সূচক গোলও আসে তার পা থেকে।

প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলসের মাঠে ১-০ গোলে হেরে আসা মায়ামি দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে আরও পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের নবম মিনিটেই। জটলার মধ্য থেকে মায়ামির রক্ষণের ভুলে নবম মিনিটে গোল করেন অ্যারন লং।

৩১তম মিনিটে চকিতে ফ্রি-কিক নিয়ে সরাসরি বল জালে পাঠান মেসি। মায়ামি মেতে ওঠে উল্লাসে। তবে লস অ্যাঞ্জেলসের গোলকিপার উগো লরিস ও অন্যরা কেউ তখনও প্রস্তুতই ছিলেন না। তাদের দাবির মুখে ভিএআর দেখে গোল দেননি রেফারি।

তবে মিনিট চারেক পরই সমতায় ফেরে মায়ামি। লুইস সুয়ারেসের টোকায় বক্সের একটু বাইরে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকেই আচমকা শট নেন মেসি। তার বাঁ পায়ের দুর্দান্ত কোনাকুনি শট আশ্রয় নেয় জালে।

 

মায়ামির দ্বিতীয় গোলটি ছিল অদ্ভুত। ৬১তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে গোলমুকে আলতো করে চিপ করেন নোয়াহ অ্যালেন। তার সতীর্থ ফেদেরিকো রেদোন্দো ছুটে গিয়েও বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি, তবে উড়ন্ত বল ধরতে এগিয়ে এসে ফ্লাইট বুঝতে পারেননি লস অ্যাঞ্জেলসের গোলকিপার লরিসও। বল মাটিতে পড়ে ঢুকে যায় জালে।

৮২তম মিনিটে মায়ামির কর্নার থেকে লস অ্যাঞ্জেলসের গোলমুখে জটলার মধ্যে হ্যান্ডবলের আবেদন তোলেন মেসিরা। ভিএআর দেখে রেফারি নিশ্চিত হন, মার্ক দেলগাদোর হাতে লেগেছে বল। থেকে ঠাণ্ডা মাথায় নেওয়া পেনাল্টিতে গোল করেন মেসি।

ম্যাচের শেষ দিকে দুই দফায় বড় বিপদ থেকে মায়ামিকে রক্ষা করেন গোলকিপার অস্কার উস্তারি। শেষ বাঁশি বাজতেই খ্যাপাটে উদযাপনে মেতে ওঠেন মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:০৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
১২
Translate »

মেসি ম্যাজিক চলছেই

আপডেট : ০১:০৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ম্যাচের শুরুতেই অ্যারন লং যখন গোল করলেন, ইন্টার মায়ামি তখন খাদের কিনারায়। প্রথম লেগে ১-০ গোলে হেরে যাওয়া দলের সামনে তখন দুই গোল ফিরিয়ে দেওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ। লিওনেল মেসি নামের জাদুকর আছে যে দলে, তাদের জন্য অসম্ভব বলে তো কিছু নেই! ৩৭ বছর বয়সেও সেরা সময়ের ছবি মেলে ধরে সেই চ্যালেঞ্জ জিতেই ইন্টার মায়ামিকে সেমি-ফাইনালে তুললেনে আর্জেন্টাইন মহানায়ক।

কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লস অ্যাঞ্জেলস এফসিকে ৩-১ গোলে হারাল ইন্টার মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের অগ্রগামিতায় মেসির দল পৌঁছে গেল শেষ চারে।

জোড়া গোল করে সেই জয়ের নায়ক মেসি। পিছিয়ে থাকা দলের আশা ফেরে তার গোলে, পরে জয়সূচক গোলও আসে তার পা থেকে।

প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলসের মাঠে ১-০ গোলে হেরে আসা মায়ামি দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে আরও পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের নবম মিনিটেই। জটলার মধ্য থেকে মায়ামির রক্ষণের ভুলে নবম মিনিটে গোল করেন অ্যারন লং।

৩১তম মিনিটে চকিতে ফ্রি-কিক নিয়ে সরাসরি বল জালে পাঠান মেসি। মায়ামি মেতে ওঠে উল্লাসে। তবে লস অ্যাঞ্জেলসের গোলকিপার উগো লরিস ও অন্যরা কেউ তখনও প্রস্তুতই ছিলেন না। তাদের দাবির মুখে ভিএআর দেখে গোল দেননি রেফারি।

তবে মিনিট চারেক পরই সমতায় ফেরে মায়ামি। লুইস সুয়ারেসের টোকায় বক্সের একটু বাইরে বল পেয়ে প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকেই আচমকা শট নেন মেসি। তার বাঁ পায়ের দুর্দান্ত কোনাকুনি শট আশ্রয় নেয় জালে।

 

মায়ামির দ্বিতীয় গোলটি ছিল অদ্ভুত। ৬১তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে গোলমুকে আলতো করে চিপ করেন নোয়াহ অ্যালেন। তার সতীর্থ ফেদেরিকো রেদোন্দো ছুটে গিয়েও বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি, তবে উড়ন্ত বল ধরতে এগিয়ে এসে ফ্লাইট বুঝতে পারেননি লস অ্যাঞ্জেলসের গোলকিপার লরিসও। বল মাটিতে পড়ে ঢুকে যায় জালে।

৮২তম মিনিটে মায়ামির কর্নার থেকে লস অ্যাঞ্জেলসের গোলমুখে জটলার মধ্যে হ্যান্ডবলের আবেদন তোলেন মেসিরা। ভিএআর দেখে রেফারি নিশ্চিত হন, মার্ক দেলগাদোর হাতে লেগেছে বল। থেকে ঠাণ্ডা মাথায় নেওয়া পেনাল্টিতে গোল করেন মেসি।

ম্যাচের শেষ দিকে দুই দফায় বড় বিপদ থেকে মায়ামিকে রক্ষা করেন গোলকিপার অস্কার উস্তারি। শেষ বাঁশি বাজতেই খ্যাপাটে উদযাপনে মেতে ওঠেন মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো।