London ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

অনলাইন ডেস্ক

সন্ত্রাসী-দখলদার ইসরায়েল কর্তৃক গাজায় নির্মম ও নিষ্ঠুর গণহত্যার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ, আরব লীগ, ওআইসি ও কমনওয়েলথসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর ২টায় রাজধানীর বাড্ডায় উত্তর বাড্ডা কামিল মাদরাসার সামনের সড়কে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত, মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দিন, প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার, নাসির উদ্দীন, মহানগর পশ্চিম শিবির সভাপতি সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।

বিশাল মিছিল উত্তর বাড্ডা কামিল মাদ্রাসার সামনে থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রামপুরা ব্রিজে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিলোত্তর সমাবেশে ড. রেজাউল করিম বলেন, পবিত্র মাহে রমজান মাসে সন্ত্রাসী অবৈধ রাষ্ট্র শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় হামলা ও নির্মম গণহত্যা চালিয়ে বিশ্বের সাড়ে ৭শ কোটি মানুষের কলিজায় আঘাত করেছে। এ হামলার মাধ্যমে তারা শুধু শান্তিচুক্তি ভঙ্গই করেনি বরং যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু এসব করে দখলদার আগ্রাসী বাহিনীর শেষ রক্ষা হবে না বরং অচিরেই ইসলাম ও মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হবে।

তিনি অতীতের ইতিহাস টেনে বলেন, ইতিহাস সাক্ষী মুসলমানরা কখনো পরাজিত হয়নি বরং পবিত্র মাহে রমজানে ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে সীমিত সামর্থ্য ও জনবল নিয়ে বিশাল কাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। তাই জায়নবাদী নির্মমতায় মুসলিম উম্মাহর বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বরং চূড়ান্ত বিজয় গাজা ও ফিলিস্তিনবাসীর জন্য অপেক্ষা করছে।

তিনি ইসরায়েলী বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও আত্মসচেতন মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় জায়নবাদীরা গোটা বিশ্বকেই অস্থির করে তুলবে।

তিনি বলেন, গত প্রায় ১৬ বছর পতিত আওয়ামী বাকশালী ও ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশে অপশাসন, দুঃশাসন ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে। তারা ইসরায়েল থেকে অস্ত্র আমদানি করে জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের ওপর ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে।

তিনি অবিলম্বে এটিএম আজহারসহ আলেম-ওলামাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

মহানগর কমিটির সেক্রেটারি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়নি। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে এখনো পতিত স্বৈরাচারের প্রতিভূরা সক্রিয় রয়েছে। তাই দেশকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের প্রভাবমুক্ত করতে সবার আগে ফ্যাসিবাদী ও তাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। খুনিদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না।

প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরই নির্বাচন হতে হবে উল্লেখ করে ছাত্রশিবিরের সাবেক এ কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, সংস্কার, বিচার ও আগে স্থানীয় নির্বাচন ছাড়া জনগণ কোনও নির্বাচন মেনে নেবে না। যারা সংস্কার ছাড়াই নির্বাচন চাচ্ছেন তারা জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১০:১৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
১৩
Translate »

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

আপডেট : ১০:১৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

সন্ত্রাসী-দখলদার ইসরায়েল কর্তৃক গাজায় নির্মম ও নিষ্ঠুর গণহত্যার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ, আরব লীগ, ওআইসি ও কমনওয়েলথসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর ২টায় রাজধানীর বাড্ডায় উত্তর বাড্ডা কামিল মাদরাসার সামনের সড়কে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিমুদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত, মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দিন, প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার, নাসির উদ্দীন, মহানগর পশ্চিম শিবির সভাপতি সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।

বিশাল মিছিল উত্তর বাড্ডা কামিল মাদ্রাসার সামনে থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রামপুরা ব্রিজে এসে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।

মিছিলোত্তর সমাবেশে ড. রেজাউল করিম বলেন, পবিত্র মাহে রমজান মাসে সন্ত্রাসী অবৈধ রাষ্ট্র শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় হামলা ও নির্মম গণহত্যা চালিয়ে বিশ্বের সাড়ে ৭শ কোটি মানুষের কলিজায় আঘাত করেছে। এ হামলার মাধ্যমে তারা শুধু শান্তিচুক্তি ভঙ্গই করেনি বরং যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু এসব করে দখলদার আগ্রাসী বাহিনীর শেষ রক্ষা হবে না বরং অচিরেই ইসলাম ও মুসলমানদের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হবে।

তিনি অতীতের ইতিহাস টেনে বলেন, ইতিহাস সাক্ষী মুসলমানরা কখনো পরাজিত হয়নি বরং পবিত্র মাহে রমজানে ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে সীমিত সামর্থ্য ও জনবল নিয়ে বিশাল কাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। তাই জায়নবাদী নির্মমতায় মুসলিম উম্মাহর বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বরং চূড়ান্ত বিজয় গাজা ও ফিলিস্তিনবাসীর জন্য অপেক্ষা করছে।

তিনি ইসরায়েলী বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও আত্মসচেতন মানুষকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় জায়নবাদীরা গোটা বিশ্বকেই অস্থির করে তুলবে।

তিনি বলেন, গত প্রায় ১৬ বছর পতিত আওয়ামী বাকশালী ও ফ্যাসিবাদী শক্তি দেশে অপশাসন, দুঃশাসন ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে। তারা ইসরায়েল থেকে অস্ত্র আমদানি করে জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী দলের ওপর ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে।

তিনি অবিলম্বে এটিএম আজহারসহ আলেম-ওলামাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

মহানগর কমিটির সেক্রেটারি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়নি। রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে এখনো পতিত স্বৈরাচারের প্রতিভূরা সক্রিয় রয়েছে। তাই দেশকে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের প্রভাবমুক্ত করতে সবার আগে ফ্যাসিবাদী ও তাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। খুনিদেরকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না।

প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরই নির্বাচন হতে হবে উল্লেখ করে ছাত্রশিবিরের সাবেক এ কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, সংস্কার, বিচার ও আগে স্থানীয় নির্বাচন ছাড়া জনগণ কোনও নির্বাচন মেনে নেবে না। যারা সংস্কার ছাড়াই নির্বাচন চাচ্ছেন তারা জাতীয় স্বার্থের বিপরীতে নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।