London ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া পল্লীর প্রভাবশালী সর্দারনী ঝুমুর ও তার স্বামী গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর প্রভাবশালী সর্দারনী ঝুমুর বেগমকে (৪২) মাদকসহ ও ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা জলিল ফকিরকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।

রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।

গ্রেপ্তার ঝুমুর বেগম গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সোহরাব মন্ডলের গ্রামের মৃত সোনাই শেখের মেয়ে ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল ফকিরের স্ত্রী। জলিল ফকির সোহরাব মন্ডল পাড়ার মৃত সৈজুদ্দিন ফকিরের ছেলে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া রেলস্টেশন-সংলগ্ন হোটেল নিরালা বোডিংয়ের নিচ তলার ৭নং রুমের ভেতর হতে দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর প্রভাবশালী সর্দারনী ঝুমুর বেগমকে দেশি ও বিদেশি মদসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে ঝুমুরের নামে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দুটি মানবপাচার আইনে মামলা ছিল। এর মধ্যে একটি থেকে সে অব্যাহতি পান। অন্য মামলার এজাহার নামীয় আসামি তিনি। গ্রেপ্তারকৃত ঝুমুরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, গত ৪ আগস্ট গোয়ালন্দ রেলগেট এলাকায় আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে ১০ ডিসেম্বর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন শরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী। এতে ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার আসামি ঝুমুর বেগমের স্বামী দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জলিল ফকিরকে শনিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হোটেল নিরালা বোডিং থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঝুমুর বেগম দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর একজন প্রভাবশালী সর্দারনী। তার নেতৃত্বে দৌলতদিয়া পল্লীর ভেতর রমরমা মাদকব্যবসা পরিচালিত হতো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:৫১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
২৩
Translate »

দৌলতদিয়া পল্লীর প্রভাবশালী সর্দারনী ঝুমুর ও তার স্বামী গ্রেপ্তার

আপডেট : ০৪:৫১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর প্রভাবশালী সর্দারনী ঝুমুর বেগমকে (৪২) মাদকসহ ও ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা জলিল ফকিরকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।

রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম।

গ্রেপ্তার ঝুমুর বেগম গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সোহরাব মন্ডলের গ্রামের মৃত সোনাই শেখের মেয়ে ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল ফকিরের স্ত্রী। জলিল ফকির সোহরাব মন্ডল পাড়ার মৃত সৈজুদ্দিন ফকিরের ছেলে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া রেলস্টেশন-সংলগ্ন হোটেল নিরালা বোডিংয়ের নিচ তলার ৭নং রুমের ভেতর হতে দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর প্রভাবশালী সর্দারনী ঝুমুর বেগমকে দেশি ও বিদেশি মদসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে ঝুমুরের নামে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দুটি মানবপাচার আইনে মামলা ছিল। এর মধ্যে একটি থেকে সে অব্যাহতি পান। অন্য মামলার এজাহার নামীয় আসামি তিনি। গ্রেপ্তারকৃত ঝুমুরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, গত ৪ আগস্ট গোয়ালন্দ রেলগেট এলাকায় আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে ১০ ডিসেম্বর গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন শরিফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী। এতে ৫৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার আসামি ঝুমুর বেগমের স্বামী দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জলিল ফকিরকে শনিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হোটেল নিরালা বোডিং থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঝুমুর বেগম দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর একজন প্রভাবশালী সর্দারনী। তার নেতৃত্বে দৌলতদিয়া পল্লীর ভেতর রমরমা মাদকব্যবসা পরিচালিত হতো। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।