London ০৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মো: বিল্লাল সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি

কসবায় নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্দোলনে সোচ্চার হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় পৌর ছাত্র সমাজসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন একত্রিত হয়ে আজ একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

মিছিলটি কসবা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে মুক্তিযুদ্ধ চত্বর প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী ও যুবক অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারীরা নারীদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বলেন, সমাজে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের কোনো স্থান থাকতে পারে না। তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাবেশে ছাত্র নেতারা বলেন, “নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা শুধু ব্যক্তিগত অপরাধ নয়, এটি সমাজের জন্য এক ভয়ংকর ব্যাধি। এই অপরাধের মূল শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। যারা এমন অপরাধ করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।”

তারা আরও বলেন, “এই ধরনের বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা না নিলে, আগামী দিনে আরও ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই— ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনা করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

মূল দাবিগুলো:

✅ ধর্ষণের অপরাধে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা।
✅ আইনি প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও দ্রুত কার্যকর করা।
✅ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেওয়া।
✅ নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ।

প্রতিবাদকারীরা “ধর্ষণমুক্ত বাংলা চাই, ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি চাই”, “আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকদের ঠাঁই নাই”—এমন শ্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তুলেন।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন মোঃ তানভীর আলম শাহীন, মিজানুর রহমান দুলাল, মোঃ বিল্লাল সরকার, তাইন মাহমুদ, মোঃ মাহমুদুল হাসান, মোঃ হাসান চৌধুরীসহ আরো অনেকেই।

এই আন্দোলন কেবল অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সমাজে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও নিরাপত্তার প্রতি জনগণের দায়বদ্ধতারও প্রতিফলন। তরুণ ও ছাত্র সমাজের এই প্রতিবাদ নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়ানোর এক বলিষ্ঠ বার্তা বহন করে, যা ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:২৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
Translate »

আপডেট : ০২:২৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

কসবায় নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্দোলনে সোচ্চার হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় পৌর ছাত্র সমাজসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন একত্রিত হয়ে আজ একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।

মিছিলটি কসবা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে মুক্তিযুদ্ধ চত্বর প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী ও যুবক অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারীরা নারীদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বলেন, সমাজে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের কোনো স্থান থাকতে পারে না। তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

সমাবেশে ছাত্র নেতারা বলেন, “নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা শুধু ব্যক্তিগত অপরাধ নয়, এটি সমাজের জন্য এক ভয়ংকর ব্যাধি। এই অপরাধের মূল শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। যারা এমন অপরাধ করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।”

তারা আরও বলেন, “এই ধরনের বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা না নিলে, আগামী দিনে আরও ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই— ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনা করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

মূল দাবিগুলো:

✅ ধর্ষণের অপরাধে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা।
✅ আইনি প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও দ্রুত কার্যকর করা।
✅ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেওয়া।
✅ নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ।

প্রতিবাদকারীরা “ধর্ষণমুক্ত বাংলা চাই, ধর্ষণের শাস্তি ফাঁসি চাই”, “আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকদের ঠাঁই নাই”—এমন শ্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে তুলেন।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন মোঃ তানভীর আলম শাহীন, মিজানুর রহমান দুলাল, মোঃ বিল্লাল সরকার, তাইন মাহমুদ, মোঃ মাহমুদুল হাসান, মোঃ হাসান চৌধুরীসহ আরো অনেকেই।

এই আন্দোলন কেবল অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সমাজে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও নিরাপত্তার প্রতি জনগণের দায়বদ্ধতারও প্রতিফলন। তরুণ ও ছাত্র সমাজের এই প্রতিবাদ নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়ানোর এক বলিষ্ঠ বার্তা বহন করে, যা ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।