ইউক্রেন নিয়ে লন্ডনে সম্মেলন শুরু, যোগ দিয়েছেন ইউরোপের নেতারা

ইউক্রেন সংকট নিয়ে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে সম্মেলন শুরু হয়েছে। রোববার এই সম্মেলনের আয়োজন করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের এক ডজনের বেশি নেতা অংশ নিয়েছেন।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা চলছে। এই সংকট সমাধানের উদ্দেশে সম্মেলন শুরুর আগে কিয়ার স্টারমার বিভিন্ন দেশের নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে যে ঘটনা ঘটেছে, তা কেউ দেখতে চায় না।
গণমাধ্যমকে স্টারমার বলেন, ‘আমরা তিন বছর ধরে চলমান একটি সংঘাতের মধ্যে রয়েছি। এখন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি শান্তির দিকে এগোতে হবে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ফ্রান্স এবং সম্ভবত আরও এক–দুটি দেশকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাজ্য। পরে ওই পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’ ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও একই সুরে কথা বলেন।
লন্ডনের সম্মেলনে ফ্রান্স ও ইতালি ছাড়াও জার্মানি, ডেনমার্ক, তুরস্ক, রোমানিয়া, ফিনল্যান্ড ও পোল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতারা অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান মার্ক রুটে ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও। সম্মেলনের আগে মার্ক রুটে বলেন, এই জোটকে শক্তিশালী করার জন্য ইউরোপ তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াবে। ইউরোপের দেশগুলোকে আরও অর্থ দিতে হবে।
এর আগে শনিবার যুক্তরাজ্যে জেলেনস্কিকে স্বাগত জানান কিয়ার স্টারমার। এদিন বিকেলেই দুজন একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠকের আগে স্টারমার বলেন, যতদিন প্রয়োজন হবে ইউক্রেনের পাশে থাকবে যুক্তরাজ্যে। জবাবে জেলেনস্কি বলেন, যুক্তরাজ্যের মতো বন্ধু পেয়ে তিনি গর্বিত। আজ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে জেলেনস্কির।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বিতণ্ডার পরই লন্ডনে ইউরোপীয় নেতাদের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবারের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার সময় দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপর হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন জেলেনস্কি। বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে একটি খনিজ সম্পদ চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।