London ০৮:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেরে গেল ইংল্যান্ড, আরও আড়াই কোটি টাকা পেল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের কোনো সাফল্য নেই। তবে আর্থিক দিক থেকে বেশ লাভবান হয়েছে টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ড হেরে যাওয়ায় প্রাইজমানি হিসেবে অতিরিক্ত আরও ২ কোটি ৫৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকার বেশি পাচ্ছে বাংলাদেশ দল।

প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়ায় ১ পয়েন্ট নিয়ে দেশে ফেরে টাইগাররা। এতে বাংলাদেশের জন্য সপ্তম স্থানটা নির্ধারিতই ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইংল্যান্ড হেরে গেলে আরও এক ধাপ উপরে উঠে যায় শান্ত-মিরাজরা।

শনিবার (১ মার্চ) আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৮০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১২৫ বল এবং ৮ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

এই ম্যাচে ইংল্যান্ড জয় পেলে বাংলাদেশ হতো সপ্তম। সে ক্ষেত্রে আইসিসির পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণের সুবাদে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার ও সপ্তম হিসেবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার পেত টাইগাররা। অর্থাৎ তাদের মিলত মোট ২ লাখ ৬৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়াত ৩ কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার টাকার বেশি।

 

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুসারে, ষষ্ঠ হিসেবে আরও ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার পাচ্ছে টাইগাররা। অর্থাৎ অংশগ্রহণের সুবাদে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারসহ তাদের পকেটে ঢুকেছে মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকার বেশি।

বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানের পয়েন্টও ১। তবে নেট রান রেটে পিছিয়ে তারা। ফলে স্বাগতিকরা সব মিলিয়ে হয়েছে সপ্তম। আর পঞ্চম হয়েছে ‘বি’ গ্রুপে ৩ পয়েন্ট পাওয়া আফগানিস্তান। আর এক ম্যাচেও জয় না পাওয়া ইংলিশদের অবস্থান অষ্টম।

সবশেষ আসরের তুলনায় এবার শতকরা ৫৩ ভাগ প্রাইজমানি বাড়িয়েছে আইসিসি। আর্থিক পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রানার্সআপদের মিলবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দুই দলের পকেটে যাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে।

আর পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে শেষ করা দুই দল পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে। আর তলানিতে থাকা দুই দলের জুটবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার করে। আট দলের প্রতিটি কেবল অংশগ্রহণের সুবাদে আলাদাভাবে পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার। তাছাড়া, গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচের বিজয়ী দলের মিলবে ৩৪ হাজার ডলার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:৩৭:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
Translate »

হেরে গেল ইংল্যান্ড, আরও আড়াই কোটি টাকা পেল বাংলাদেশ

আপডেট : ০৪:৩৭:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের কোনো সাফল্য নেই। তবে আর্থিক দিক থেকে বেশ লাভবান হয়েছে টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ড হেরে যাওয়ায় প্রাইজমানি হিসেবে অতিরিক্ত আরও ২ কোটি ৫৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকার বেশি পাচ্ছে বাংলাদেশ দল।

প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ড্র হওয়ায় ১ পয়েন্ট নিয়ে দেশে ফেরে টাইগাররা। এতে বাংলাদেশের জন্য সপ্তম স্থানটা নির্ধারিতই ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইংল্যান্ড হেরে গেলে আরও এক ধাপ উপরে উঠে যায় শান্ত-মিরাজরা।

শনিবার (১ মার্চ) আগে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৮০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১২৫ বল এবং ৮ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

এই ম্যাচে ইংল্যান্ড জয় পেলে বাংলাদেশ হতো সপ্তম। সে ক্ষেত্রে আইসিসির পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণের সুবাদে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার ও সপ্তম হিসেবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার পেত টাইগাররা। অর্থাৎ তাদের মিলত মোট ২ লাখ ৬৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়াত ৩ কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার টাকার বেশি।

 

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুসারে, ষষ্ঠ হিসেবে আরও ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার পাচ্ছে টাইগাররা। অর্থাৎ অংশগ্রহণের সুবাদে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারসহ তাদের পকেটে ঢুকেছে মোট ৪ লাখ ৭৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকার বেশি।

বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানের পয়েন্টও ১। তবে নেট রান রেটে পিছিয়ে তারা। ফলে স্বাগতিকরা সব মিলিয়ে হয়েছে সপ্তম। আর পঞ্চম হয়েছে ‘বি’ গ্রুপে ৩ পয়েন্ট পাওয়া আফগানিস্তান। আর এক ম্যাচেও জয় না পাওয়া ইংলিশদের অবস্থান অষ্টম।

সবশেষ আসরের তুলনায় এবার শতকরা ৫৩ ভাগ প্রাইজমানি বাড়িয়েছে আইসিসি। আর্থিক পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। রানার্সআপদের মিলবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দুই দলের পকেটে যাবে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে।

আর পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থানে শেষ করা দুই দল পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার করে। আর তলানিতে থাকা দুই দলের জুটবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার করে। আট দলের প্রতিটি কেবল অংশগ্রহণের সুবাদে আলাদাভাবে পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার। তাছাড়া, গ্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচের বিজয়ী দলের মিলবে ৩৪ হাজার ডলার।