London ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
পটুয়াখালীতে সাংবাদিক হত্যাচেষ্টার আসামী গ্রেফতার বৃটেনের কার্ডিফ শহরে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার উদ্বোধনী ক্লাস অনুষ্ঠিত নাটোরে বিএনপি’র ব্যানার-ফেস্টুনে প্রতিপক্ষের ভূতের আছর কুয়েতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত বাগমারার সরকারী খাদ্য গুদামে পচা চাল স্কটিশ পার্লামেন্টে আলোচনা সভায় যোগদেন ইবিএফসিআই প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালি তাসার উদ্দিন এমবিই নেত্রকোণায় দুদকের ১৮৩তম গণশুনানি, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা বৃদ্ধির আহ্বান জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে হাত-পা ও মা’থাবিহীন অ’জ্ঞাতনামা একটি লা’শ উদ্ধার রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জন

চটপটির দোকান দেখিয়ে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া নওরোজের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক

চটপটির দোকান দেখিয়ে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী নাজমী নওরোজের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন বলে জানা গেছে। দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খান এই আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম (এস আলম গ্রুপের কর্ণধার) ও অন্যদের বিরুদ্ধে চটপটির দোকানে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত নাজমী নওরোজকে এই ঋণ দেওয়া হয়েছে। দুদকের অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাঁর বিদেশে যাওয়া রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, দুদক সূত্রে জানা গেছে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের তিনটি শাখা থেকে প্রায় ১৫১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করেছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নাজমী নওরোজ। সেই ঋণ সুদ-আসলে এখন ২৩৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

চট্টগ্রামে নওরোজ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ও দুটি রেস্তোরাঁ দেখিয়ে নওরোজ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আসকার দীঘিরপাড়ের শাখা থেকে নিয়েছেন ৭০ কোটি টাকা, যা সুদ-আসলে ১১৭ কোটি টাকা হয়েছে। একই ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখা থেকে একই প্রতিষ্ঠানের নামে নিয়েছেন আরও ৫৪ কোটি টাকা; যা সুদ-আসলে ৯০ কোটি টাকার বেশি হয়েছে। ব্যাংকটির চকবাজার শাখা থেকে নিয়েছেন ২৭ কোটি টাকা। মূলত ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ও তাঁদের উপহার দিয়ে তিনি এই সুবিধা নেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:০০:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫৪
Translate »

চটপটির দোকান দেখিয়ে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া নওরোজের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আপডেট : ১১:০০:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চটপটির দোকান দেখিয়ে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী নাজমী নওরোজের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন বলে জানা গেছে। দুদকের উপপরিচালক আফরোজা হক খান এই আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল আলম (এস আলম গ্রুপের কর্ণধার) ও অন্যদের বিরুদ্ধে চটপটির দোকানে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত নাজমী নওরোজকে এই ঋণ দেওয়া হয়েছে। দুদকের অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাঁর বিদেশে যাওয়া রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, দুদক সূত্রে জানা গেছে, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের তিনটি শাখা থেকে প্রায় ১৫১ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করেছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নাজমী নওরোজ। সেই ঋণ সুদ-আসলে এখন ২৩৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

চট্টগ্রামে নওরোজ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ও দুটি রেস্তোরাঁ দেখিয়ে নওরোজ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আসকার দীঘিরপাড়ের শাখা থেকে নিয়েছেন ৭০ কোটি টাকা, যা সুদ-আসলে ১১৭ কোটি টাকা হয়েছে। একই ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখা থেকে একই প্রতিষ্ঠানের নামে নিয়েছেন আরও ৫৪ কোটি টাকা; যা সুদ-আসলে ৯০ কোটি টাকার বেশি হয়েছে। ব্যাংকটির চকবাজার শাখা থেকে নিয়েছেন ২৭ কোটি টাকা। মূলত ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ও তাঁদের উপহার দিয়ে তিনি এই সুবিধা নেন।