London ১০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রায়ো ভায়োকানোকে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে বার্সেলোনা

অনলাইন ডেস্ক

আক্রমণাত্মক ফুটবলের সুফলটা বার্সেলোনা বেশ ভালোভাবেই পেয়েছে বার্সেলোনা। রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে জয়টা নাহয় এসেছে এক গোলে। কিন্তু লা লিগার শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ওপর গোলবন্যা বইয়ে দেয়া দলটা এখন সবার ওপরে উঠে গিয়েছে কেবল গোল ব্যবধানের সুফল ধরে। রিয়াল মাদ্রিদ আর অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের ভুলের সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে ব্লুগ্রানারা।

রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে ম্যাচেও বার্সেলোনা নেহাত কম সুযোগ পায়নি। বলতে গেলে আক্রমণের ঝড়ই বইয়ে দিয়েছিল প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ওপরে। তবে লামিন ইয়ামাল, রাফিনিয়া বা দানি ওলমোরা ব্যর্থ হয়েছেন গোলের দেখা পেতে। সফল হয়েছেন কেবল রবার্ট লেভানডফস্কি। তার একমাত্র পেনাল্টি গোলেই বার্সেলোনা এখন লা লিগার টেবিল টপার।

রায়ো ভায়োকানোকে হারানোর রাতে প্রায় দুই মাস পর লিগ টেবিলের শীর্ষে ফিরল হান্সি ফ্লিকের দল। এই সপ্তাহে রিয়াল ও আতলেতিকো নিজ নিজ ম্যাচে পয়েন্ট হারানোয় বার্সেলোনার সামনে সুযোগ আসে শীর্ষে ওঠার। সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগাল তারা। ২৪ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৫১। সমান ম্যাচে রিয়ালেরও ৫১ পয়েন্ট। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে কাতালান দলটি।

সবশেষ ৯ ম্যাচে অপরাজিত ভায়োকানোর বিপক্ষে চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বার্সেলোনা। বক্সে ঢুকে বাঁ দিক থেকে রাফিনিয়ার ছোট্ট মাপা ক্রসে লাফিয়ে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি লেভানদোভস্কি। ২০ মিনিটের পর দুবার সুযোগ নষ্ট করেন রাফিনিয়া। আলেহান্দ্রো বাল্দের কাট-ব্যাকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। মিনিট তিনেক পর তার শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক আগুস্তো।

২৮তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন লেভানডফস্কি। এবারেও গোল না হওয়ার সুযোগ ছিল প্রবল। বল পোস্টে লেগে জালে জড়ায়। ভায়োকানোর বক্সে বার্সেলোনার ডিফেন্ডার ইনিগো মার্তিনেজ ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।

৩১তম মিনিটে লামিনে ইয়ামালের শট ফেরান ভায়োকানোর আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক আগুস্তো। ৩৭ মিনিটে এসে দেখা গেল বার্সা গোলরক্ষক ওলশেক সেজনির ডাবল সেভ। এনতেকার নিচু শট ঠেকানোর পর রিবাউন্ডে আসা আলভারো গার্সিয়ার প্রচেষ্টা রুখে দেন পোলিশ গোলরক্ষক। ৪৩তম মিনিটে ভাইয়েকানোর হোর্হে দে ফ্রুতোস বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও সেটা বাতিল হয় ভিএআরে। অফসাইডে থাকা এনতেকা বার্সেলোনার ডিফেন্ডার মার্তিনেজকে বাধা দেন তিনি।

৫৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হারান লেভানডফস্কি। ৭২তম মিনিটে রাফিনিয়ার চিপ শটের সবই ছিল ঠিকঠাক। তবে চিপটা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনা ১-০ গোলের জয়েই ছিল তৃপ্ত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:০৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
২৩
Translate »

রায়ো ভায়োকানোকে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে বার্সেলোনা

আপডেট : ০১:০৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আক্রমণাত্মক ফুটবলের সুফলটা বার্সেলোনা বেশ ভালোভাবেই পেয়েছে বার্সেলোনা। রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে জয়টা নাহয় এসেছে এক গোলে। কিন্তু লা লিগার শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ওপর গোলবন্যা বইয়ে দেয়া দলটা এখন সবার ওপরে উঠে গিয়েছে কেবল গোল ব্যবধানের সুফল ধরে। রিয়াল মাদ্রিদ আর অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের ভুলের সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে ব্লুগ্রানারা।

রায়ো ভায়োকানোর বিপক্ষে ম্যাচেও বার্সেলোনা নেহাত কম সুযোগ পায়নি। বলতে গেলে আক্রমণের ঝড়ই বইয়ে দিয়েছিল প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ওপরে। তবে লামিন ইয়ামাল, রাফিনিয়া বা দানি ওলমোরা ব্যর্থ হয়েছেন গোলের দেখা পেতে। সফল হয়েছেন কেবল রবার্ট লেভানডফস্কি। তার একমাত্র পেনাল্টি গোলেই বার্সেলোনা এখন লা লিগার টেবিল টপার।

রায়ো ভায়োকানোকে হারানোর রাতে প্রায় দুই মাস পর লিগ টেবিলের শীর্ষে ফিরল হান্সি ফ্লিকের দল। এই সপ্তাহে রিয়াল ও আতলেতিকো নিজ নিজ ম্যাচে পয়েন্ট হারানোয় বার্সেলোনার সামনে সুযোগ আসে শীর্ষে ওঠার। সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগাল তারা। ২৪ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৫১। সমান ম্যাচে রিয়ালেরও ৫১ পয়েন্ট। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে কাতালান দলটি।

সবশেষ ৯ ম্যাচে অপরাজিত ভায়োকানোর বিপক্ষে চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বার্সেলোনা। বক্সে ঢুকে বাঁ দিক থেকে রাফিনিয়ার ছোট্ট মাপা ক্রসে লাফিয়ে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি লেভানদোভস্কি। ২০ মিনিটের পর দুবার সুযোগ নষ্ট করেন রাফিনিয়া। আলেহান্দ্রো বাল্দের কাট-ব্যাকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। মিনিট তিনেক পর তার শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক আগুস্তো।

২৮তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন লেভানডফস্কি। এবারেও গোল না হওয়ার সুযোগ ছিল প্রবল। বল পোস্টে লেগে জালে জড়ায়। ভায়োকানোর বক্সে বার্সেলোনার ডিফেন্ডার ইনিগো মার্তিনেজ ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।

৩১তম মিনিটে লামিনে ইয়ামালের শট ফেরান ভায়োকানোর আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক আগুস্তো। ৩৭ মিনিটে এসে দেখা গেল বার্সা গোলরক্ষক ওলশেক সেজনির ডাবল সেভ। এনতেকার নিচু শট ঠেকানোর পর রিবাউন্ডে আসা আলভারো গার্সিয়ার প্রচেষ্টা রুখে দেন পোলিশ গোলরক্ষক। ৪৩তম মিনিটে ভাইয়েকানোর হোর্হে দে ফ্রুতোস বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও সেটা বাতিল হয় ভিএআরে। অফসাইডে থাকা এনতেকা বার্সেলোনার ডিফেন্ডার মার্তিনেজকে বাধা দেন তিনি।

৫৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হারান লেভানডফস্কি। ৭২তম মিনিটে রাফিনিয়ার চিপ শটের সবই ছিল ঠিকঠাক। তবে চিপটা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনা ১-০ গোলের জয়েই ছিল তৃপ্ত।