London ১২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
শ্যামনগরে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী গাজী নজরুল ইসলামের ব্যাপক জনসংযোগ রাজশাহীতে নেসকোর দুই কর্মচারী আহত হবিগঞ্জ-০৪ আসনে দলীয় মনোনয়নে বিরন ঐক্য- সৈয়দ মোঃ ফয়সলের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ রাজশাহীতে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার মনোনয়নপ্রাপ্ত হওয়ায় “ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা হবিগঞ্জ-০৪-এর — সৈয়দ ফয়সলের নির্বাচনী বার্তা শের আলী খান স্বপন: পাবনা-১ আসনে বিএনপির ক্লিন ইমেজধারী নেতা কসবায় ক্যান্সারে আক্রান্ত পাখি আক্তারের পাশে ‘অগ্রভাগীয় সাহিত্য সংগঠন (সি.টি.এল) এর’ ২৫০ তম মানবিক সহায়তার কাজ সম্পন্ন সিরাজগঞ্জে অসহায় নারীর জমি দখল, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ফরিদপুরে ৪৩ বছর পর সরকারী হাসপাতালের জমি পুনঃউদ্ধার কালিয়াকৈরে শ্রমিক দলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়

২৬ দিনে চাকরি হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০ হাজার সরকারি কর্মী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সরকারি ব্যয় সংকোচনের জন্য কর্মী ছাঁটাইয়ের যে পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন, তার জেরে গত ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৬ দিনে দেশটিতে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৯ হাজার ৫ শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মী। এক প্রতিবেদেন এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহনের পর ‘সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি’ নামে নতুন একটি দপ্তর খোলার নির্দেশ জারি করেন ট্রাম্প। সেই দপ্তরের প্রধান করা হয় ইলন মাস্ককে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেস সীকৃতি না দেওয়ায় এখনও মন্ত্রণালয়ের মর্যাদা পায়নি সেই দপ্তর, মাস্ককেও মন্ত্রীর পরিবর্তে ‘উপদেষ্টা’ পদবীতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিন থেকেই সরকারী কর্মকর্তা-কর্মীদের ছাঁটাই করা শুরু হয়, যা বর্তমানে প্রায় ১০ হাজারে ঠেকেছে।

স্বরাষ্ট্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালনি, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের পুনর্বাসন, কৃষি, স্বাস্থ্য, মানবিক পরিষেবাসহ প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মীরা রয়েছেন চাকরিচ্যুতদের তালিকায়। আর এই চাকরিচ্যুতি বা ছাঁটাইয়ের পুরো বিষয়টি ঘটছে ইলন মাস্কের ‘সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি’র তত্ত্বাবধানে।

শিগগিরই তালিকায় আরও হাজারের অধিক কর্মী যুক্ত হতে যাচ্ছেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কর আদায়কারী সরকারি সংস্থা ইন্টারনাল রেভিন্যু সার্ভিস (আইআরএস) গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে যে সামনের সপ্তাহেই ১ হাজারের বেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের নোটিশ দেওয়া হবে। আইআরএস যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ সরকারি দপ্তর।

ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি ‘বাইআউট কর্মসূচি’ বা ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’-এর মুখে পড়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা ও কর্মী। সরকারি তথ্য অনুসারে, গত ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ‘বাইআউট কর্মসূচি’-এর আওতায় স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার কমর্কর্তা ও কর্মী।

কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি অনেক সরকারি দপ্তর ও সংস্থায় আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে সেসব দপ্তর-সংস্থা। দেশটির ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক সরকারি সংস্থা কনজ্যুমার ফিন্যানন্সিয়াল প্রোটেকশন ব্যুরো ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে, বাকি বেশ কয়েকটি দপ্তর-সংস্থা বন্ধ হওয়ার পথে আছে।

কর্মীদের গণহারে ছাঁটাই এবং সরকারি সংস্থায় অর্থ বরাদ্দ বন্ধের প্রসঙ্গে সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আকার-আয়তন অনেক ‘স্ফীত’ হয়ে পড়েছে এবং এর ফলে প্রচুর অর্থের অপচয় ও দুর্নীতি-জালিয়াতি হচ্ছে। গত বছর সরকারের দেনা পৌঁছেছে ৩৬ লাখ কোটি ডলারে এবং বাজেটে ঘাটতি ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার। তাই সরকারি ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে ‘সর্বসম্মতিক্রমে’ এই ছাঁটাই ও বরাদ্দ বন্ধের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের একাধিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ট্রাম্পের এই ‘সংস্কার কর্মসূচি’তে তার দল রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতাদের সমর্থন থাকলেও বিরোধী দল ডেমোক্রেটির পার্টির কোনো সমর্থন নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৬৩
Translate »

২৬ দিনে চাকরি হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১০ হাজার সরকারি কর্মী

আপডেট : ০৫:৪৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সরকারি ব্যয় সংকোচনের জন্য কর্মী ছাঁটাইয়ের যে পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন, তার জেরে গত ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৬ দিনে দেশটিতে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৯ হাজার ৫ শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মী। এক প্রতিবেদেন এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহনের পর ‘সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি’ নামে নতুন একটি দপ্তর খোলার নির্দেশ জারি করেন ট্রাম্প। সেই দপ্তরের প্রধান করা হয় ইলন মাস্ককে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেস সীকৃতি না দেওয়ায় এখনও মন্ত্রণালয়ের মর্যাদা পায়নি সেই দপ্তর, মাস্ককেও মন্ত্রীর পরিবর্তে ‘উপদেষ্টা’ পদবীতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিন থেকেই সরকারী কর্মকর্তা-কর্মীদের ছাঁটাই করা শুরু হয়, যা বর্তমানে প্রায় ১০ হাজারে ঠেকেছে।

স্বরাষ্ট্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালনি, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের পুনর্বাসন, কৃষি, স্বাস্থ্য, মানবিক পরিষেবাসহ প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মীরা রয়েছেন চাকরিচ্যুতদের তালিকায়। আর এই চাকরিচ্যুতি বা ছাঁটাইয়ের পুরো বিষয়টি ঘটছে ইলন মাস্কের ‘সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি’র তত্ত্বাবধানে।

শিগগিরই তালিকায় আরও হাজারের অধিক কর্মী যুক্ত হতে যাচ্ছেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কর আদায়কারী সরকারি সংস্থা ইন্টারনাল রেভিন্যু সার্ভিস (আইআরএস) গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে যে সামনের সপ্তাহেই ১ হাজারের বেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের নোটিশ দেওয়া হবে। আইআরএস যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ সরকারি দপ্তর।

ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি ‘বাইআউট কর্মসূচি’ বা ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’-এর মুখে পড়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা ও কর্মী। সরকারি তথ্য অনুসারে, গত ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ‘বাইআউট কর্মসূচি’-এর আওতায় স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার কমর্কর্তা ও কর্মী।

কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি অনেক সরকারি দপ্তর ও সংস্থায় আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে সেসব দপ্তর-সংস্থা। দেশটির ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক সরকারি সংস্থা কনজ্যুমার ফিন্যানন্সিয়াল প্রোটেকশন ব্যুরো ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে, বাকি বেশ কয়েকটি দপ্তর-সংস্থা বন্ধ হওয়ার পথে আছে।

কর্মীদের গণহারে ছাঁটাই এবং সরকারি সংস্থায় অর্থ বরাদ্দ বন্ধের প্রসঙ্গে সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আকার-আয়তন অনেক ‘স্ফীত’ হয়ে পড়েছে এবং এর ফলে প্রচুর অর্থের অপচয় ও দুর্নীতি-জালিয়াতি হচ্ছে। গত বছর সরকারের দেনা পৌঁছেছে ৩৬ লাখ কোটি ডলারে এবং বাজেটে ঘাটতি ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার। তাই সরকারি ব্যবস্থাকে সংস্কার করতে ‘সর্বসম্মতিক্রমে’ এই ছাঁটাই ও বরাদ্দ বন্ধের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের একাধিক সূত্রের বরাতে জানা গেছে, ট্রাম্পের এই ‘সংস্কার কর্মসূচি’তে তার দল রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতাদের সমর্থন থাকলেও বিরোধী দল ডেমোক্রেটির পার্টির কোনো সমর্থন নেই।