London ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নাহিদ ইসলাম এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসাতে অভ্যুত্থান হয়নি শ্যামনগরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত, কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনগড়া লোডশেডিংয়ে, চরম বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালকিনিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ৮ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির আভাস রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী ৪ নারী খেলোয়াড় কালই বুঝতে পারবেন-কী করতে পারি

শাহবাগে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অবস্থানে পুলিশের জলকামান

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করেছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষককে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার পর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। তারপর পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান নিক্ষেপ করেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে তাদের ঘিরে রাখা হয়েছে

আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলেন, আমরা মেধা দিয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। পুলিশ ভেরিফাই করেই আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কেন আন্দোলন করতে হবে। আমাদের দাবি মানতে হবে। আমরা সাত দিন ধরে একটি যৌক্তিক দাবির জন্য আন্দোলন করছি। কোনো উপদেষ্টা কথা বলছেন না। আমরা কী এই দেশের নাগরিক না? আমরা তো ছাত্রদের পাশে ছিলাম। এখন আমাদের পাশে ছাত্র প্রতিনিধি নেই কেন?

নিয়োগ পুনর্বহালের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এর আগেও তারা সড়ক অবরোধ করেন। সে সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলাকামান ব্যবহার করে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে আন্দোলন চলাকালে সন্ধ্যার আগে নিয়োগপ্রত্যাশীরা ঘোষণা দেন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শহবাগে অবস্থান কর্মসূচি ‘জাস্টিস ফর টিচার’, ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ শুরু হবে। ৬ হাজার ৫৩১ জনের যোগদান নিশ্চিত করতে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পুলিশি নির্যাতনের পর মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীরা বৈঠক করেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে আদালতে আপিল করা হয়। কাউকে নিয়োগ থেকে বাদ দেওয়া হবে না জানানো হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
১৮
Translate »

শাহবাগে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অবস্থানে পুলিশের জলকামান

আপডেট : ১১:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান নিক্ষেপ করেছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষককে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার পর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। তারপর পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান নিক্ষেপ করেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে তাদের ঘিরে রাখা হয়েছে

আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলেন, আমরা মেধা দিয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। পুলিশ ভেরিফাই করেই আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কেন আন্দোলন করতে হবে। আমাদের দাবি মানতে হবে। আমরা সাত দিন ধরে একটি যৌক্তিক দাবির জন্য আন্দোলন করছি। কোনো উপদেষ্টা কথা বলছেন না। আমরা কী এই দেশের নাগরিক না? আমরা তো ছাত্রদের পাশে ছিলাম। এখন আমাদের পাশে ছাত্র প্রতিনিধি নেই কেন?

নিয়োগ পুনর্বহালের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এর আগেও তারা সড়ক অবরোধ করেন। সে সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলাকামান ব্যবহার করে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে আন্দোলন চলাকালে সন্ধ্যার আগে নিয়োগপ্রত্যাশীরা ঘোষণা দেন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শহবাগে অবস্থান কর্মসূচি ‘জাস্টিস ফর টিচার’, ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ শুরু হবে। ৬ হাজার ৫৩১ জনের যোগদান নিশ্চিত করতে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়।

সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পুলিশি নির্যাতনের পর মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীরা বৈঠক করেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে আদালতে আপিল করা হয়। কাউকে নিয়োগ থেকে বাদ দেওয়া হবে না জানানো হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।