London ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নির্যাতন নিপীড়ন সত্ত্বেও রাজপথে অবিচল তৃণমূলের আস্থার প্রতীক-মির্জা মোস্তফা জামান সিরাজগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে প্রস্তুতি সভা সলঙ্গায় পানিতে ডুবে ৪ বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু গোবিন্দগঞ্জে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা থ্রী হুইলার উল্টে নিহত ১ : আহত ১ বসুন্ধরা শুভসংঘের শেরপুর জেলা কমিটি গঠন : সভাপতি মিনহাজ, সম্পাদক শামীম লন্ডনে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বারের লন্ডন রিজিওনাল কমিটির অভিষেক রাইসা মনি”র, কবর জিয়ারত করতে জামায়াত ইসলামির ড.ইলিয়াস মোল্লা কাঁকনহাটে কৃষকদের বিক্ষোভ ইউটিউব বদলে দিল ভাগ্য: ভিডিও বানিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় করছেন বদলগাছীর তানভীর রায়হান মাইলস্টোন ট্র‍্যাজেডিতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দুর্গাপুরে দোয়া মাহফিল

জাতিসংঘে ৯৫ জনের তালিকা দিয়েছে পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের (ওএইচসিএইচআর) কাছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ ৯৫ জনের একটি তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ৯৫ জন সদস্যের নাম এবং তাদের ভূমিকা কী ছিল তার বিস্তারিত বিবরণ ওএইচসিএইচআর-কে সরবরাহ করা হয়েছে।

পুলিশের মতে এসব ব্যক্তিরাই বিক্ষোভের সময় সহিংস হামলায় ব্যবহারের জন্য নাগরিকদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। যাদের অস্ত্র সরবরাহ যাদের করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ১০ জন তখনকার সংসদ সদস্য, ১৪ জন আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ে নেতা, ১৬ জন যুবলীগ ও ১৬ জন ছাত্রলীগ নেতা এবং সাতজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

রিপোর্টে বলা হয়, পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর দ্বারা শিশুরা টার্গেট কিলিং এর শিকার হয়েছে। এছাড়া অমানবিক পরিবেশে আটক, নির্যাতন ও বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর আচরণের শিকার হয়েছে।

নারী ও মেয়ে শিশুরাও নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছে বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশেষত শুরুর দিকে বিক্ষোভের সম্মুখসারিতে থাকা নারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকরা মারাত্মকভাবে আক্রমণ করেছে। নারীরা যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ছিল লিঙ্গ-ভিত্তিক শারীরিক সহিংসতা ও ধর্ষণের হুমকি। কয়েকটি ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে।

এতে আরও বলা হয়েছে ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য এবং ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ওএইচসিএইচআর নিশ্চিত হয়েছে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকদের একটি সম্প্রসারিত দল পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে বা ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:৩১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৩৬
Translate »

জাতিসংঘে ৯৫ জনের তালিকা দিয়েছে পুলিশ

আপডেট : ১১:৩১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের (ওএইচসিএইচআর) কাছে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ ৯৫ জনের একটি তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ৯৫ জন সদস্যের নাম এবং তাদের ভূমিকা কী ছিল তার বিস্তারিত বিবরণ ওএইচসিএইচআর-কে সরবরাহ করা হয়েছে।

পুলিশের মতে এসব ব্যক্তিরাই বিক্ষোভের সময় সহিংস হামলায় ব্যবহারের জন্য নাগরিকদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। যাদের অস্ত্র সরবরাহ যাদের করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ১০ জন তখনকার সংসদ সদস্য, ১৪ জন আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ে নেতা, ১৬ জন যুবলীগ ও ১৬ জন ছাত্রলীগ নেতা এবং সাতজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

রিপোর্টে বলা হয়, পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর দ্বারা শিশুরা টার্গেট কিলিং এর শিকার হয়েছে। এছাড়া অমানবিক পরিবেশে আটক, নির্যাতন ও বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর আচরণের শিকার হয়েছে।

নারী ও মেয়ে শিশুরাও নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছে বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশেষত শুরুর দিকে বিক্ষোভের সম্মুখসারিতে থাকা নারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকরা মারাত্মকভাবে আক্রমণ করেছে। নারীরা যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ছিল লিঙ্গ-ভিত্তিক শারীরিক সহিংসতা ও ধর্ষণের হুমকি। কয়েকটি ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সমর্থকদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে।

এতে আরও বলা হয়েছে ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য এবং ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ওএইচসিএইচআর নিশ্চিত হয়েছে যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সশস্ত্র আওয়ামী লীগ সমর্থকদের একটি সম্প্রসারিত দল পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে বা ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল।