London ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি কর্মচারীদের মহাসমাবেশ ৭ দফা না মানলে ১ মার্চ থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি

অনলাইন ডেস্ক

বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল ও ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতাসহ ৭ দফা দাবিতে টানা আন্দেলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে ১ মার্চ থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়। সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ মহাসমাবেশ করা হয়।

ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো:
আগামী ১৬-২২ ফেব্রুয়ারি সপ্তাহব্যাপী সারা দেশে সরকারি অফিসসমূহে দাবি সংবলিত ব্যানার সাঁটানো, লিফলেট বিতরণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমে যোগাযোগের মাধ্যমে দাবির স্বপক্ষে জনমত গঠন।

 

আগামী ২৩-২৮ ফেব্রুয়ারি সব অফিস প্রধান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা প্রশাসক (ডিসি), বিভাগীয় কমিশনার ও সচিবালয়ে কর্মসূচির বিষয়ে অবহিত করে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

এসব কর্মসূচির পরও দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১ মার্চ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

কর্মচারীদের সাত দফা দাবি
১. বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পে-কমিশন গঠন ও পে-স্কেল ব্যক্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন সময়ের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা (১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য) জানুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর করতে হবে।

২. যে সকল কর্মচারী মূল বেতনের শেষ ধাপে উন্নীত হয়েছেন, তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে। বেতন স্কেলের বৈষম্য নিরসনের জন্য ১০ ধাপে বেতন স্কেলে নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

৩. সচিবালয়ের ন্যায় সকল সরকারি, আধাসরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের সমপদগুলোর পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ন করে কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য দূর করতে হবে।

৪. ২০১৫ সালে পে-স্কেলের গেজেটে প্রত্যাহারকৃত তিনটি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল ও সকল স্বায়তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুয়িটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্র্যাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৫. বাজারমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মুল্যস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে প্রদেয় সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ, ১১-২০ গ্রেডের রেশন ব্যবস্থার প্রর্বতন ও সরকার প্রদত্ত গৃহ ঋণ সুবিধা সহজীকরণ করতে হবে।

৬. ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে। এছাড়া টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দিতে হবে।

৭. উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের প্রকল্পের চাকরিকাল গণনা করে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদান করার অবকাশ নেই মর্মে অর্থ মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত বৈষম্যমূলক আদেশ ও আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:২২:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
২৩
Translate »

সরকারি কর্মচারীদের মহাসমাবেশ ৭ দফা না মানলে ১ মার্চ থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি

আপডেট : ১১:২২:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল ও ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতাসহ ৭ দফা দাবিতে টানা আন্দেলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে ১ মার্চ থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়। সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ মহাসমাবেশ করা হয়।

ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো:
আগামী ১৬-২২ ফেব্রুয়ারি সপ্তাহব্যাপী সারা দেশে সরকারি অফিসসমূহে দাবি সংবলিত ব্যানার সাঁটানো, লিফলেট বিতরণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমে যোগাযোগের মাধ্যমে দাবির স্বপক্ষে জনমত গঠন।

 

আগামী ২৩-২৮ ফেব্রুয়ারি সব অফিস প্রধান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা প্রশাসক (ডিসি), বিভাগীয় কমিশনার ও সচিবালয়ে কর্মসূচির বিষয়ে অবহিত করে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

এসব কর্মসূচির পরও দাবি বাস্তবায়ন না হলে ১ মার্চ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

কর্মচারীদের সাত দফা দাবি
১. বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পে-কমিশন গঠন ও পে-স্কেল ব্যক্তবায়নের পূর্ব পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন সময়ের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা (১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য) জানুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর করতে হবে।

২. যে সকল কর্মচারী মূল বেতনের শেষ ধাপে উন্নীত হয়েছেন, তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে। বেতন স্কেলের বৈষম্য নিরসনের জন্য ১০ ধাপে বেতন স্কেলে নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে।

৩. সচিবালয়ের ন্যায় সকল সরকারি, আধাসরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের সমপদগুলোর পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে এবং এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ন করে কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য দূর করতে হবে।

৪. ২০১৫ সালে পে-স্কেলের গেজেটে প্রত্যাহারকৃত তিনটি টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল ও সকল স্বায়তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পাশাপাশি পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচুয়িটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে শতভাগ নির্ধারণ ও পেনশন গ্র্যাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৫. বাজারমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং মুল্যস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয় বিবেচনা করে প্রদেয় সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ, ১১-২০ গ্রেডের রেশন ব্যবস্থার প্রর্বতন ও সরকার প্রদত্ত গৃহ ঋণ সুবিধা সহজীকরণ করতে হবে।

৬. ব্লক পোস্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে। এছাড়া টেকনিক্যাল কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দিতে হবে।

৭. উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের প্রকল্পের চাকরিকাল গণনা করে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রদান করার অবকাশ নেই মর্মে অর্থ মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত বৈষম্যমূলক আদেশ ও আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে।