London ০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার পাবনার যুবদল ও কৃষকদল নেতা বহিষ্কার পাবনার ফরিদপুরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মা-মেয়ে নিহত, আহত বাবা রাজশাহীতে নতুন জাতের আম কটিমন দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়বে বিএনপি,দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় নেতৃবৃন্দ কালিয়াকৈরে বনের জমিতে অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ অভিযান বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে লালবাগ থানা ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি টি.আর বরাদ্দে দুর্নীতি: কাগজে কাজ শেষ, মাঠে রাস্তা নেই দুর্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১জন পাবনার সাঁথিয়ায় মানসিক রোগী পুত্রবধূর ধারালো বটির কোপে শ্বশুর নিহত পাবনায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

আয়শা সাথীর কবিতা: স্মৃতির করিডোরে

অনলাইন ডেস্ক

প্রচণ্ড মন খারাপের দিনগুলোতে
হুটহাট দাঁড়াই স্মৃতির করিডোরে।
বহুকালব্যাপী আমরা অচেনা;
দেখাহীন, কথাহীন, চাওয়াহীন।
এত্তসব না থাকার মাঝেও
অম্লান রইলো তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতিটুকুই।

অজান্তেই থেকে গেল ভালোবেসে
যেন বইয়ের ভাঁজে রাখা পুরোনো গোলাপ পাপড়ি,
যাদের আজ নিজস্ব কোনো ভাষা নেই, কথা নেই।
যা আছে তা শুধুই
ঘনঘোর শীত-কুয়াশাময় রাতের
কারণহীন ফুঁপিয়ে ওঠা গোপন রোদন।

কী জানো,
দূর আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জির মতো
স্মৃতিগুলোও এখন পুরোনো ক্ষণগুলোর প্রতিচ্ছবি।
সদ্যজন্মা মা-হীন ছানা যেভাবে
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে প্রত্যাশায়
স্মৃতি রোমন্থনে তেমনই তোমায় হাতড়ে ফিরি আনমনায়।

কী এমন ক্ষতি হতো,
শীতের সন্ধ্যায় শাল জড়িয়ে
চা খেতে খেতে গোটা এক জীবনের ছক কষলে?
আমরাও কি পারতাম না কাঁধে মাথা রেখে
এক থালা ভাতের গল্প বলতে বলতে
গোটা একটা জীবন কাটিয়ে দিতে?
বলো পারতাম না?

কিসের জন্য ছেড়ে যায় মানুষ?
কেন আলাদা হয়?

সুখের জন্য?

বলো তো,
আমিহীন তুমি কতটা সুখ খুঁজে পেয়েছো?

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৭:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৬৯
Translate »

আয়শা সাথীর কবিতা: স্মৃতির করিডোরে

আপডেট : ০৭:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রচণ্ড মন খারাপের দিনগুলোতে
হুটহাট দাঁড়াই স্মৃতির করিডোরে।
বহুকালব্যাপী আমরা অচেনা;
দেখাহীন, কথাহীন, চাওয়াহীন।
এত্তসব না থাকার মাঝেও
অম্লান রইলো তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতিটুকুই।

অজান্তেই থেকে গেল ভালোবেসে
যেন বইয়ের ভাঁজে রাখা পুরোনো গোলাপ পাপড়ি,
যাদের আজ নিজস্ব কোনো ভাষা নেই, কথা নেই।
যা আছে তা শুধুই
ঘনঘোর শীত-কুয়াশাময় রাতের
কারণহীন ফুঁপিয়ে ওঠা গোপন রোদন।

কী জানো,
দূর আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জির মতো
স্মৃতিগুলোও এখন পুরোনো ক্ষণগুলোর প্রতিচ্ছবি।
সদ্যজন্মা মা-হীন ছানা যেভাবে
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে প্রত্যাশায়
স্মৃতি রোমন্থনে তেমনই তোমায় হাতড়ে ফিরি আনমনায়।

কী এমন ক্ষতি হতো,
শীতের সন্ধ্যায় শাল জড়িয়ে
চা খেতে খেতে গোটা এক জীবনের ছক কষলে?
আমরাও কি পারতাম না কাঁধে মাথা রেখে
এক থালা ভাতের গল্প বলতে বলতে
গোটা একটা জীবন কাটিয়ে দিতে?
বলো পারতাম না?

কিসের জন্য ছেড়ে যায় মানুষ?
কেন আলাদা হয়?

সুখের জন্য?

বলো তো,
আমিহীন তুমি কতটা সুখ খুঁজে পেয়েছো?