London ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ১৭৯ জন নিহত, পাখায় মিলল পাখির পালক

অনলাইন ডেস্ক

গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ১৭৯ জন নিহতের ঘটনায় তদন্তে নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। ওই উড়োজাহাজের পাখায় পাখি ধাক্কা খেয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। সোমবার প্রকাশিত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, উড়োজাহাজের পাখার মধ্যে পাখির পালক পাওয়া গেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ২৯ ডিসেম্বর রানওয়েতে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এতে উড়োজাহাজটির ১৮১ জনের মধ্যে ১৭৯ জনই মারা যায়। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

এবার জানানো হলো, জিজু এয়ারের ওই উড়োজাহাজের দুটো পাখাতেই মিলেছে পাখির পালক ও রক্ত। এই পালক বৈকাল তিলিহাঁসের বলে জানা যায়। এটি একটি পরিযায়ী পাখি, বড় আকারে দল বেঁধে উড়ে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যায়।

বিধ্বস্তের পর জানানো হয়েছিল, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি দেয়ালের সঙ্গে আঘাত লেগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে উড়োজাহাজাটি। তবে এখন নতুন সব তথ্য সামনে আসছে। এবার পাখির পালক নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।

এবারের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানের ইঞ্জিন নিয়ে চলবে পর্যবেক্ষণ। এ ছাড়া এর কংক্রিট কাঠামোও রয়েছে তদন্তের আওতায়।

উড়োজাহাজটি কীভাবে রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়, তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরে অবতরণ করছে। রানওয়ে ধরে জোর গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময় উড়োজাহাজটির কোনো ল্যান্ডিং গিয়ার দেখা যাচ্ছিল না।

এক পর্যায়ে উড়োজাহাজটি রানওয়ের শেষ প্রান্তে থাকা একটি দেয়ালে গিয়ে প্রচণ্ড বেগে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে বড় বিস্ফোরণ ঘটে। আগুনের শিখা আকাশের দিকে উঠে যায়। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডুলিতে ছেয়ে যায় আকাশ।

ওই সময় দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা জানান, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের আগে পাখির আঘাত বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার। তবে পাখির সঙ্গে আঘাতের কারণে দুর্ঘটনা কি না, তা নিশ্চিত করেননি তিনি। এবার সেটি নিয়ে অধিকতর তদন্ত হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:১৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫
Translate »

উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ১৭৯ জন নিহত, পাখায় মিলল পাখির পালক

আপডেট : ১১:১৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে ১৭৯ জন নিহতের ঘটনায় তদন্তে নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। ওই উড়োজাহাজের পাখায় পাখি ধাক্কা খেয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। সোমবার প্রকাশিত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, উড়োজাহাজের পাখার মধ্যে পাখির পালক পাওয়া গেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ২৯ ডিসেম্বর রানওয়েতে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। এতে উড়োজাহাজটির ১৮১ জনের মধ্যে ১৭৯ জনই মারা যায়। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

এবার জানানো হলো, জিজু এয়ারের ওই উড়োজাহাজের দুটো পাখাতেই মিলেছে পাখির পালক ও রক্ত। এই পালক বৈকাল তিলিহাঁসের বলে জানা যায়। এটি একটি পরিযায়ী পাখি, বড় আকারে দল বেঁধে উড়ে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যায়।

বিধ্বস্তের পর জানানো হয়েছিল, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে এসে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি দেয়ালের সঙ্গে আঘাত লেগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে উড়োজাহাজাটি। তবে এখন নতুন সব তথ্য সামনে আসছে। এবার পাখির পালক নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।

এবারের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানের ইঞ্জিন নিয়ে চলবে পর্যবেক্ষণ। এ ছাড়া এর কংক্রিট কাঠামোও রয়েছে তদন্তের আওতায়।

উড়োজাহাজটি কীভাবে রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়, তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরে অবতরণ করছে। রানওয়ে ধরে জোর গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময় উড়োজাহাজটির কোনো ল্যান্ডিং গিয়ার দেখা যাচ্ছিল না।

এক পর্যায়ে উড়োজাহাজটি রানওয়ের শেষ প্রান্তে থাকা একটি দেয়ালে গিয়ে প্রচণ্ড বেগে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে বড় বিস্ফোরণ ঘটে। আগুনের শিখা আকাশের দিকে উঠে যায়। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডুলিতে ছেয়ে যায় আকাশ।

ওই সময় দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা জানান, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের আগে পাখির আঘাত বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার। তবে পাখির সঙ্গে আঘাতের কারণে দুর্ঘটনা কি না, তা নিশ্চিত করেননি তিনি। এবার সেটি নিয়ে অধিকতর তদন্ত হবে।