London ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকদের সব দাবি মেনে নিতে হবে: জোনায়েদ সাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমাদের সন্তানদের যদি যথাযথভাবে গড়ে তুলতে চাই তাহলে শিক্ষকদের সম্মান দিতে হবে। তাদের সব দাবি মেনে নিতে হবে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষক ঐক্যজোট, আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত বৈষম্যের শিকার সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণের দাবিতে’ মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ভবিষ্যৎ কারিগর হয়ে উঠবে। তাদের যদি আমরা যথার্থভাবে গড়ে তুলতে চাই তাহলে যারা তাদের গড়ে তুলবে, সেই শিক্ষকরা; তাদের মর্যাদা দিতে হবে। তাদের সব দাবিদাওয়া পূরণ করতে হবে। শিক্ষকদের জীবন মানবেতর জায়গায় রেখে এই জনগোষ্ঠী এই জাতি ওপরে উঠবে তা আশা করা যায় না।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি বাংলাদেশের শিক্ষকরা মানবেতর জায়গায় আছেন। বিশেষ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিভিন্ন জায়গায়। কেউ বদলি হতে পারছেন না, কেউ বেতন পাচ্ছেন না, কেউ মর্যাদা পাচ্ছেন না। কাজেই আমরা এই প্রশ্নগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা সরকার যেন বাস্তবায়ন করে সেই দাবি জানাই।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায় সরকারি বিধি-নিয়ম অনুসরণ করে ৪০ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতার পেশায় দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু আমাদের কোনো বেতন-ভাতা না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকরের শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি জোর দাবি জানান তারা।

ঘোষিত ৬ দফা দাবিগুলো হলো-
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণ করা; প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া; মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোডবিহীন মাদরাসাগুলোকে অবিলম্বে কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের পিটিআই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ সৃষ্টি করা; এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন প্রদান এবং ভৌত অবকাঠামো নিশ্চিত করা।

আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে দাবিগুলোর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। পরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট, আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির শিক্ষকদের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১০:৩৪:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
Translate »

শিক্ষকদের সব দাবি মেনে নিতে হবে: জোনায়েদ সাকি

আপডেট : ১০:৩৪:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমাদের সন্তানদের যদি যথাযথভাবে গড়ে তুলতে চাই তাহলে শিক্ষকদের সম্মান দিতে হবে। তাদের সব দাবি মেনে নিতে হবে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষক ঐক্যজোট, আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত বৈষম্যের শিকার সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণের দাবিতে’ মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ভবিষ্যৎ কারিগর হয়ে উঠবে। তাদের যদি আমরা যথার্থভাবে গড়ে তুলতে চাই তাহলে যারা তাদের গড়ে তুলবে, সেই শিক্ষকরা; তাদের মর্যাদা দিতে হবে। তাদের সব দাবিদাওয়া পূরণ করতে হবে। শিক্ষকদের জীবন মানবেতর জায়গায় রেখে এই জনগোষ্ঠী এই জাতি ওপরে উঠবে তা আশা করা যায় না।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি বাংলাদেশের শিক্ষকরা মানবেতর জায়গায় আছেন। বিশেষ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিভিন্ন জায়গায়। কেউ বদলি হতে পারছেন না, কেউ বেতন পাচ্ছেন না, কেউ মর্যাদা পাচ্ছেন না। কাজেই আমরা এই প্রশ্নগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা সরকার যেন বাস্তবায়ন করে সেই দাবি জানাই।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ন্যায় সরকারি বিধি-নিয়ম অনুসরণ করে ৪০ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতার পেশায় দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু আমাদের কোনো বেতন-ভাতা না থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকরের শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতি জোর দাবি জানান তারা।

ঘোষিত ৬ দফা দাবিগুলো হলো-
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় জাতীয়করণ করা; প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিসহ সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া; মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোডবিহীন মাদরাসাগুলোকে অবিলম্বে কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের পিটিআই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদ সৃষ্টি করা; এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন প্রদান এবং ভৌত অবকাঠামো নিশ্চিত করা।

আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক শামসুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে দাবিগুলোর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। পরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট, আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির শিক্ষকদের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়।