London ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনিয়ন ঘোষণার ১৪ বছরেও পাকা সড়ক-কালভার্ট হয়নি দুর্ভোগ চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ইউনিয়ন ঘোষণার পর ১৪ বছর হতে চললেও এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। গড়ে ওঠেনি পাকা সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্ট। দুটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ হলেও সেটি এখন জরাজীর্ণ। ফলে চরম দুর্ভোগে প্রায় ১২ হাজার মানুষ। বলা হচ্ছিল ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন ঢালচর ইউনিয়নের কথা।

ইউনিয়নবাসী জানান, প্রায় শতবছর ধরে জনবসতি গড়ে উঠেছে এই ঢালচরে। এরমধ্যে ইউনিয়ন ঘোষণা হয় ২০১০ সালের দিকে। এখানকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মোটরসাইকেল।

শুরু থেকেই ঢালচর ইউনিয়নে কোনো পাকা সড়ক নেই। তবে ২০২৩ সালের দিকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি ইটের রাস্তা তৈরি করে দেয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তাটি। শুধু রাস্তাই নয়, ঢালচরে গড়ে উঠেনি কোনো পাকা ব্রিজ ও কালভার্ট। তবে ২০২১ সালের দিকে এলজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যমে দুটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ হলেও সেটি এখন জরাজীর্ণ।

ঢালচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মোসলেউদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন ও মো. মোস্তাফিজ আক্ষেপ করে বলেন, দেশে এত সরকার এলো গেলো, কিন্তু ঢালচরে কোনো উন্নয়ন হয়নি। কোনো সরকারের আমলে ঢালচরে পাকা সড়ক ও ব্রিজ কালভার্ট হয়নি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
১৭
Translate »

ইউনিয়ন ঘোষণার ১৪ বছরেও পাকা সড়ক-কালভার্ট হয়নি দুর্ভোগ চরমে

আপডেট : ১২:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ইউনিয়ন ঘোষণার পর ১৪ বছর হতে চললেও এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। গড়ে ওঠেনি পাকা সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্ট। দুটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ হলেও সেটি এখন জরাজীর্ণ। ফলে চরম দুর্ভোগে প্রায় ১২ হাজার মানুষ। বলা হচ্ছিল ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন ঢালচর ইউনিয়নের কথা।

ইউনিয়নবাসী জানান, প্রায় শতবছর ধরে জনবসতি গড়ে উঠেছে এই ঢালচরে। এরমধ্যে ইউনিয়ন ঘোষণা হয় ২০১০ সালের দিকে। এখানকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মোটরসাইকেল।

শুরু থেকেই ঢালচর ইউনিয়নে কোনো পাকা সড়ক নেই। তবে ২০২৩ সালের দিকে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি ইটের রাস্তা তৈরি করে দেয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তাটি। শুধু রাস্তাই নয়, ঢালচরে গড়ে উঠেনি কোনো পাকা ব্রিজ ও কালভার্ট। তবে ২০২১ সালের দিকে এলজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যমে দুটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ হলেও সেটি এখন জরাজীর্ণ।

ঢালচর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মোসলেউদ্দিন, মো. জসিম উদ্দিন ও মো. মোস্তাফিজ আক্ষেপ করে বলেন, দেশে এত সরকার এলো গেলো, কিন্তু ঢালচরে কোনো উন্নয়ন হয়নি। কোনো সরকারের আমলে ঢালচরে পাকা সড়ক ও ব্রিজ কালভার্ট হয়নি।