London ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি নির্বাচন কমিশন কারও হুকুম মতো চলবে না: সিইসি ঝড় তুললেন বিদ্যা সিনহা মিম! সমন্বয়ককে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম ডাকেটের ১৬৫, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডের বিশ্বরেকর্ড সংগ্রহ অচেনা বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্পের দাবি আমরা অন্যের ওপর দোষ চাপাই, কিন্তু নিজেরা বদলাই না পরিবেশ উপদেষ্টা সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামানে পণ্ড আউটসোর্সিং কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি: তিন ডাকাত গ্রেপ্তার, এএসআই বরখাস্ত টেকসই ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির জন্য ইবিএফসিআই ও বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের অংশীদারিত্ব জোরদারের আহ্বান

৩০০ বছর আগের চিঠিতে নিউটন লিখেছেন, পৃথিবী ধ্বংস হবে ২০৬০ সালে!

অনলাইন ডেস্ক

মহাবিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন ৩০০ বছরেরও বেশি সময় আগে একটি চিঠিতে পৃথিবী ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। তাঁর সেই বিস্ময়কর চিঠি নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

মহাকর্ষ সূত্রের আবিষ্কার ‍হিসেবে কালজয়ী হয়ে আছেন স্যার আইজ্যাক নিউটন। তিনি ১৭০৪ সালে একটি চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিটিতে বলেছিলেন, ২০৬০ সালে পৃথিবী বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে তিনি ‘ধ্বংস’ শব্দের পরিবর্তে ‘পুনঃস্থাপন’ শব্দটি লিখেছেন।

ওই চিঠিতে নিউটন আরও লিখেছেন, যীশু এবং সাধুরা আবারও পৃথিবীতে ফিরে আসবেন এবং বিশ্বজুড়ে ১ হাজার বছরব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।

কানাডার হ্যালিফ্যাক্সের ইউনিভার্সিটি অব কিংস কলেজের অধ্যাপক স্টিফেন ডি স্নোবেলেন বলেন, ‘একজন ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান হিসেবে নিউটন পবিত্র গ্রন্থ বুক অব ড্যানিয়েলে উল্লিখিত তারিখগুলো ব্যবহার করে পৃথিবী ধ্বংসের দিনক্ষণ গণনা করেছেন।’

স্টিফেন ডি স্নোবেলেন ডেইলি মেইলকে বলেন, নিউটনের ভবিষ্যদ্বাণীতে তাঁর উদ্ভাবিত ক্যালকুলাসের মতো জটিল কোনো কিছুর ব্যবহার ছিল না। শিশুরা পারে এমন সহজ পাটিগণিত ব্যবহার করেছিলেন তিনি। নিউটন ১২৬০, ১২৯০, ১৩৩৫ ও ২৩০০ দিন ব্যবহার করেছিলেন, যা খ্রিষ্টানদের পবিত্রগ্রন্থ বুক অব ড্যানিয়েল ও রেভেলেশনসে পাওয়া যায়।

নিউটনের মতো একজন পদার্থবিদ কেন ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে মেতে ছিলেন সে ব্যাপারে অধ্যাপক স্নোবেলেন বলেন, ‘নিউটন আধুনিক অর্থে বিজ্ঞানী ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একজন প্রাকৃতিক দার্শনিক। মধ্যযুগ থেকে ১৮ শতক পর্যন্ত প্রচলিত প্রাকৃতিক দর্শনে কেবল প্রকৃতির অধ্যয়নই অন্তর্ভুক্ত ছিল না; বরং প্রকৃতিতে ঈশ্বরের উপস্থিতি নিয়ে অধ্যয়নও অন্তর্ভুক্ত ছিল। নিউটনের জন্য ধর্ম ও আমরা এখন যাকে বিজ্ঞান বলি, তার মধ্যে কোনো অভেদ্য পার্থক্য ছিল না। তিনি দীর্ঘ জীবনজুড়ে প্রকৃতি বা ধর্মগ্রন্থের মধ্যে থাকা সত্য আবিষ্কার করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:৩৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

৩০০ বছর আগের চিঠিতে নিউটন লিখেছেন, পৃথিবী ধ্বংস হবে ২০৬০ সালে!

আপডেট : ০২:৩৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মহাবিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন ৩০০ বছরেরও বেশি সময় আগে একটি চিঠিতে পৃথিবী ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। তাঁর সেই বিস্ময়কর চিঠি নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

মহাকর্ষ সূত্রের আবিষ্কার ‍হিসেবে কালজয়ী হয়ে আছেন স্যার আইজ্যাক নিউটন। তিনি ১৭০৪ সালে একটি চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিটিতে বলেছিলেন, ২০৬০ সালে পৃথিবী বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে তিনি ‘ধ্বংস’ শব্দের পরিবর্তে ‘পুনঃস্থাপন’ শব্দটি লিখেছেন।

ওই চিঠিতে নিউটন আরও লিখেছেন, যীশু এবং সাধুরা আবারও পৃথিবীতে ফিরে আসবেন এবং বিশ্বজুড়ে ১ হাজার বছরব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।

কানাডার হ্যালিফ্যাক্সের ইউনিভার্সিটি অব কিংস কলেজের অধ্যাপক স্টিফেন ডি স্নোবেলেন বলেন, ‘একজন ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান হিসেবে নিউটন পবিত্র গ্রন্থ বুক অব ড্যানিয়েলে উল্লিখিত তারিখগুলো ব্যবহার করে পৃথিবী ধ্বংসের দিনক্ষণ গণনা করেছেন।’

স্টিফেন ডি স্নোবেলেন ডেইলি মেইলকে বলেন, নিউটনের ভবিষ্যদ্বাণীতে তাঁর উদ্ভাবিত ক্যালকুলাসের মতো জটিল কোনো কিছুর ব্যবহার ছিল না। শিশুরা পারে এমন সহজ পাটিগণিত ব্যবহার করেছিলেন তিনি। নিউটন ১২৬০, ১২৯০, ১৩৩৫ ও ২৩০০ দিন ব্যবহার করেছিলেন, যা খ্রিষ্টানদের পবিত্রগ্রন্থ বুক অব ড্যানিয়েল ও রেভেলেশনসে পাওয়া যায়।

নিউটনের মতো একজন পদার্থবিদ কেন ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে মেতে ছিলেন সে ব্যাপারে অধ্যাপক স্নোবেলেন বলেন, ‘নিউটন আধুনিক অর্থে বিজ্ঞানী ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একজন প্রাকৃতিক দার্শনিক। মধ্যযুগ থেকে ১৮ শতক পর্যন্ত প্রচলিত প্রাকৃতিক দর্শনে কেবল প্রকৃতির অধ্যয়নই অন্তর্ভুক্ত ছিল না; বরং প্রকৃতিতে ঈশ্বরের উপস্থিতি নিয়ে অধ্যয়নও অন্তর্ভুক্ত ছিল। নিউটনের জন্য ধর্ম ও আমরা এখন যাকে বিজ্ঞান বলি, তার মধ্যে কোনো অভেদ্য পার্থক্য ছিল না। তিনি দীর্ঘ জীবনজুড়ে প্রকৃতি বা ধর্মগ্রন্থের মধ্যে থাকা সত্য আবিষ্কার করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন।’