৩০০ বছর আগের চিঠিতে নিউটন লিখেছেন, পৃথিবী ধ্বংস হবে ২০৬০ সালে!

মহাবিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন ৩০০ বছরেরও বেশি সময় আগে একটি চিঠিতে পৃথিবী ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। তাঁর সেই বিস্ময়কর চিঠি নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
মহাকর্ষ সূত্রের আবিষ্কার হিসেবে কালজয়ী হয়ে আছেন স্যার আইজ্যাক নিউটন। তিনি ১৭০৪ সালে একটি চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিটিতে বলেছিলেন, ২০৬০ সালে পৃথিবী বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে তিনি ‘ধ্বংস’ শব্দের পরিবর্তে ‘পুনঃস্থাপন’ শব্দটি লিখেছেন।
ওই চিঠিতে নিউটন আরও লিখেছেন, যীশু এবং সাধুরা আবারও পৃথিবীতে ফিরে আসবেন এবং বিশ্বজুড়ে ১ হাজার বছরব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।
কানাডার হ্যালিফ্যাক্সের ইউনিভার্সিটি অব কিংস কলেজের অধ্যাপক স্টিফেন ডি স্নোবেলেন বলেন, ‘একজন ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান হিসেবে নিউটন পবিত্র গ্রন্থ বুক অব ড্যানিয়েলে উল্লিখিত তারিখগুলো ব্যবহার করে পৃথিবী ধ্বংসের দিনক্ষণ গণনা করেছেন।’
স্টিফেন ডি স্নোবেলেন ডেইলি মেইলকে বলেন, নিউটনের ভবিষ্যদ্বাণীতে তাঁর উদ্ভাবিত ক্যালকুলাসের মতো জটিল কোনো কিছুর ব্যবহার ছিল না। শিশুরা পারে এমন সহজ পাটিগণিত ব্যবহার করেছিলেন তিনি। নিউটন ১২৬০, ১২৯০, ১৩৩৫ ও ২৩০০ দিন ব্যবহার করেছিলেন, যা খ্রিষ্টানদের পবিত্রগ্রন্থ বুক অব ড্যানিয়েল ও রেভেলেশনসে পাওয়া যায়।
নিউটনের মতো একজন পদার্থবিদ কেন ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে মেতে ছিলেন সে ব্যাপারে অধ্যাপক স্নোবেলেন বলেন, ‘নিউটন আধুনিক অর্থে বিজ্ঞানী ছিলেন না; বরং তিনি ছিলেন একজন প্রাকৃতিক দার্শনিক। মধ্যযুগ থেকে ১৮ শতক পর্যন্ত প্রচলিত প্রাকৃতিক দর্শনে কেবল প্রকৃতির অধ্যয়নই অন্তর্ভুক্ত ছিল না; বরং প্রকৃতিতে ঈশ্বরের উপস্থিতি নিয়ে অধ্যয়নও অন্তর্ভুক্ত ছিল। নিউটনের জন্য ধর্ম ও আমরা এখন যাকে বিজ্ঞান বলি, তার মধ্যে কোনো অভেদ্য পার্থক্য ছিল না। তিনি দীর্ঘ জীবনজুড়ে প্রকৃতি বা ধর্মগ্রন্থের মধ্যে থাকা সত্য আবিষ্কার করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন।’