London ০১:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
হামজার ছোঁয়ায় ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দারুণ জয় এই রাতে আলো ছিল, জয় ছিল, আর ছিল একজন হামজা চৌধুরী ইতালিতে সাংগঠনিক কাজে‌ বিশেষ অবদান রাখায় ইকবাল বেপারী‌কে সংবর্ধনা দিলো‌ প্রগতি ব্যবসায়ী সমিতি পটুয়াখালীতে কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষনে বিনামূল্যে ৪৭ মেট্রিক টন লবন বিতরণ পটুয়াখালীতে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলছে বিভিন্ন পশুর হাট রাজশাহীতে প্রতারণা করে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ ব্যারিস্টার কায়সার কামালের ঈদ উপহার পেলো দুর্গাপুরের চার শহীদের পরিবার সিরাজগঞ্জে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী‌কে খুনের অ‌ভি‌যোগ-আটক ১ জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ইতালির পিসাকানে স্কুলে টেস্ট দ্যা ওয়ার্ল্ড নামে অনুষ্ঠিত বহুজাতিক সংস্কৃতির মিলনমেলা

২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছেই। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার মধ্যাঞ্চলে একটি ব্যস্ত বাজারে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। খবর আল জাজিরার।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (আনরোয়া) জানিয়েছে, তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো সহায়তা প্রবেশ করেনি। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে দিয়েছে যে, গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তীব্র ক্ষুধা ও অপুষ্টির মুখোমুখি হচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতি ৪৫ মিনিটে একটি শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল কমপক্ষে ১৭ হাজার ৪০০ শিশুকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৬০০ শিশুকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে চাপা পড়ে আছে, যাদের বেশিরভাগকেই মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ লাখই শিশু। গত ১৭ মাস ধরে ইসরায়েলি হামলার কারণে তাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের স্কুল ধ্বংস করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোও ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ২০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক লাখ ১৩ হাজার ৯১০ জন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, মোট নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। কারণ যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন তারা আর বেঁচে নেই বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজা থেকে তাদের এক-তৃতীয়াংশ কর্মীকে সরিয়ে আনা হবে। কোনোভাবেই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে কর্মীদের তারা গাজায় রাখতে চাইছেন না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৩০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
২১
Translate »

২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

আপডেট : ০৩:৩০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছেই। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার মধ্যাঞ্চলে একটি ব্যস্ত বাজারে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। খবর আল জাজিরার।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (আনরোয়া) জানিয়েছে, তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো সহায়তা প্রবেশ করেনি। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করে দিয়েছে যে, গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তীব্র ক্ষুধা ও অপুষ্টির মুখোমুখি হচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রতি ৪৫ মিনিটে একটি শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল কমপক্ষে ১৭ হাজার ৪০০ শিশুকে হত্যা করেছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৬০০ শিশুকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে চাপা পড়ে আছে, যাদের বেশিরভাগকেই মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ লাখই শিশু। গত ১৭ মাস ধরে ইসরায়েলি হামলার কারণে তাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের স্কুল ধ্বংস করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোও ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ হাজার ২০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক লাখ ১৩ হাজার ৯১০ জন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, মোট নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। কারণ যারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন তারা আর বেঁচে নেই বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজা থেকে তাদের এক-তৃতীয়াংশ কর্মীকে সরিয়ে আনা হবে। কোনোভাবেই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে কর্মীদের তারা গাজায় রাখতে চাইছেন না।