হামাসের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরু করেছে কাতার
হামাসরে শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর কাতার দোহায় হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ শুরু করেছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে তাদের সঙ্গে কিছু বৈঠক হয়েছে; তবে ভবিষ্যতের পথ কী হবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। আল থানি আরও জানান, যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের বিষয়ে হামাসের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।হামাসের শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- গাজায় যুদ্ধের অবসান, ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি। এই দাবিগুলো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একাধিকবার প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আল থানি জানান, হামাসের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে মিশরে অবস্থান করছে এবং সেখানে আলোচনা চলছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আলোচনাকারী দল দোহা সফর করবে গাজা নিয়ে একটি নতুন সমঝোতা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে।
আল থানি বলেন, এই আলোচনা থেকে একটি সমঝোতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে এবং যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে সব পক্ষের ওপর আমাদের চাপ অব্যাহত থাকবে। এটি আমাদের অগ্রাধিকার।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আশা প্রকাশ করেছেন, গাজায় অবশিষ্ট বন্দীদের মুক্তির জন্য আলোচকরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বৈঠকে বসবেন। দোহায় কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর ব্লিঙ্কেন এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি বিবেচনায় শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। তিনি জানান, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় জড়িত রয়েছে। এছাড়াও সিনওয়ারের মৃত্যুর পর হামাসের অবস্থান নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ব্লিঙ্কেন আরো বলেন, ইসরায়েল তার কৌশলগত লক্ষ্যগুলো পূরণ করেছে (হামাসের সামরিক সংগঠনকে ভেঙে ফেলা এবং ৭ অক্টোবরের হামলার ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা)। এখন এই মুহূর্তকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধের অবসান ঘটানো ও বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করা জরুরি।
অন্যদিকে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানির সঙ্গে আলোচনায় লেবাননে যুদ্ধবিরতি ও গাজায় ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আল থানি জানান, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ ও বন্দী ও আটক ব্যক্তিদের মুক্তির সমাধান খুঁজে বের করতে যৌথ প্রচেষ্টা চলছে।