উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে উদ্বাস্তু শিবিরে আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) হামলায় শতাধিক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। গত দুদিনে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের নর্থ দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল ফাশের এলাকায় পৃথক দুটি শিবিরে হামলায় নিহত হয়েছেন ওই বেসামরিকরা।
রোববার এল ফাশেরের স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা আরএসএফের হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানির এই তথ্য জানিয়েছেন। নর্থ দারফুর রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক ইব্রাহিম খাতির বলেছেন, শুক্রবার জামজামের উদ্বাস্তু শিবিরে আরএসএফের মিলিশিয়ারা নির্মম হামলা চালিয়েছে। এতে শতাধিক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ।
তিনি বলেন, শনিবার রাজ্যের আবু শৌক উদ্বাস্তু শিবিরে মিলিশিয়াদের আরেক হামলায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এই শিবিরে হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
জামজাম শিবিরে আরএসএফের হামলায় নিহতদের মাঝে বেসরকারি সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের পরিচালিত একটি ফিল্ড হাসপাতালের ৯ জন কর্মচারী আছেন বলে জানিয়েছেন ইব্রাহিম খাতির।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইমার্জেন্সি রুম এক বিবৃতিতে বলেছে, শনিবার আবু শৌক শিবিরে আরএসএফের যোদ্ধাদের ব্যাপক গোলাবর্ষণের কারণে কমপক্ষে ৪০ বেসামরিক নিহত ও শত শত মানুষ আহত হয়েছেন।
তবে এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য জানায়নি আরএসএফ। ২০২৪ সালের ১০ মে থেকে এল ফাশেরে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) ও আরএসএফের মাঝে প্রাণঘাতী লড়াই চলছে।
সুদান সংকটের পর্যবেক্ষণকারী স্থানীয় একটি গোষ্ঠীর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে সুদানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আধা-সামরিক বাহিনীর সংঘাতের শুরু হয়। তখন থেকে চলা এই সংঘাতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ও আহত হয়েছেন হাজার হাজার। এছাড়া দেশটির দুই বাহিনীর সংঘাতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
সূত্র: আইএএনএস।